অনিয়ন্ত্রিত শিক্ষার সীমাবদ্ধতা; আজকের আমাদের এই আর্টিকেলে আমরা দেখতে চলেছি একাদশ শ্রেণীর(ClassXI) শিক্ষাবিজ্ঞান (Education) এর তৃতীয় অধ্যায় শিক্ষার বিভিন্ন রূপ থেকে একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ প্রস্ন অনিয়ন্ত্রিত শিক্ষার সীমাবদ্ধতা, যা তোমাদের আগামী একাদশ শ্রেণীর বার্ষিক পরীক্ষার জন্য বিশেষ ভাবে সহায়ক হবে। আমাদের মতে এই আর্টিকেলটি পুরোপুরি পড়ে নিলে তোমাদের এই প্রশ্নের উত্তরটি নিয়ে আর ভাবতে হবে না।
একাদশ শ্রেণী – শিক্ষাবিজ্ঞান – তৃতীয় অধ্যায়
অনিয়ন্ত্রিত শিক্ষার সীমাবদ্ধতা ও ত্রুটি
প্রশ্নঃ অনিয়ন্ত্রিত শিক্ষার সীমাবদ্ধতা বা ত্রুটি গুলি সম্পর্কে আলোচনা কর।
উত্তরঃ আমাদের জীবনে প্রতিটি বিষয়ে যেমন কিছু সীমাবদ্ধতা থাকে, তেমনি শিক্ষার ক্ষেত্রেও কিন্তু এই সীমাবদ্ধতা গুলি দেখতে পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে অনিয়ন্ত্রিত শিক্ষা ব্যবস্থাও এর ব্যতিক্রম নয়।
অনিয়ন্ত্রিত শিক্ষার সীমাবদ্ধতাঃ
শিশুর জীবন বিকাশের ক্ষেত্রে অনিয়ন্ত্রিত শিক্ষা বিশেষ ভূমিকা পালন করলেও এই শিক্ষা সম্পূর্ণ ত্রুটি মুক্ত নয়। এর কয়েকটি সীমাবদ্ধতা বা ত্রুটি রয়েছে যেগুলি হল –
১) অসম্পূর্ণ অভিজ্ঞতা প্রদানঃ
কোনো নির্দিষ্ট পাঠক্রম বা পাঠ্যসূচি না থাকায় অনিয়ন্ত্রিত শিক্ষা কোনো বিষয়ে সম্পূর্ণ অভিজ্ঞতা দান করতে পারে না। তাছাড়া বর্তমানে জগৎ ও জীবন ক্রমশ জটিল হয়ে উঠেছে এই জটিল জীবনের উপযোগী শিক্ষার কিছুটা অংশ অনিয়ন্ত্রিত শিক্ষা থেকে পাওয়া গেলেও সম্পূর্ণতা পাওয়া অসম্ভব।
২) চাহিদা পূরনে অসমর্থঃ
অনিয়ন্ত্রিত শিক্ষা শিক্ষার সব চাহিদা পূরন করতে পারে না। প্রতিনিয়ত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির নতুন নতুন আবিষ্কার এর ফলে জ্ঞানের জগৎ ক্রমশ প্রসারিত হচ্ছে। বিভিন্ন জটিল এবং বিজ্ঞান ভিত্তিক বিষয়ে পাঠদানের জন্য প্রয়োজন অভিজ্ঞ শিক্ষক, উপযুক্ত শিক্ষালয় ও উন্নত পরীক্ষাগার। অনিয়ন্ত্রিত শিক্ষায় যেহেতু শিক্ষক, শিক্ষালয় ইত্যাদি থাকে না তাই এটি আমাদের ওইসব চাহিদাপূরনে অসমর্থ।
৩) সৃজনমূলক বিকাশে সহায়ক নয়ঃ
অনিয়ন্ত্রিত শিক্ষায় শিক্ষার্থীর সৃজনশীল প্রতিভার বিকাশ ঘটার সম্ভাবনা যথেষ্ট কম, কেননা এই ক্ষেত্রে কেবলমাত্র পর্যবেক্ষণ এবং অন্ধ অনুকরণের দ্বারা শিক্ষা আয়ত্ত করা হয়। তাই এই ক্ষেত্রে সৃজন মূলক বিকাশ হয়না বললেও চলে।
৪) প্রকৃত মূল্যায়নের অভাবঃ
অনিয়ন্ত্রিত শিক্ষার দ্বারা শিক্ষার্থীরা যে জ্ঞান অর্জন করে সেই জ্ঞানের প্রকৃত মূল্যায়নের কোনো ব্যবস্থা এই শিক্ষা পদ্ধতিতে নেই। সঠিক মূল্যায়ন ছাড়া কোনো শিক্ষা ব্যবস্থা কখনই সফল হয় না। অনিয়ন্ত্রিত শিক্ষার ক্ষেত্রে এটি একটি উল্লেখযোগ্য ত্রুটি।
৫) শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে সুযোগ ও গুরুত্বের অভাবঃ
অনিয়ন্ত্রিত শিক্ষায় যেহেতু কোনো সময়সূচি থাকে না তাই শিক্ষার্থীরা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম সুযোগ পায়। বহু পরিবারে বিভিন্ন কাজের জন্য পিতামাতাকে দিনের বেশিরভাগ সময় বাইরে থাকতে হয়, সেই ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা চাহিদা মতো বিষয় শেখার সুযোগ যথেষ্ট কম পায়।
অনিয়ন্ত্রিত শিক্ষা বর্তমান জটিল জীবনের পরিপ্রেক্ষিতে ত্রুটিপূর্ণ হলেও মানুষের শিক্ষা শুরু হয় অনিয়ন্ত্রিত শিক্ষার মাধ্যমে। আজও অনিয়ন্ত্রিত শিক্ষার মাধ্যমে পরিবার শিশুকে বিদ্যালয় পাঠানোর আগে বিভিন্ন বিষয়ের প্রাথমিক ধারণা দান করে। তাই বলা যায় আধুনিক জীবনের উপযোগী সব চাহিদা অনিয়ন্ত্রিত শিক্ষা থেকে পূরন না হলেও মানব শিশুর বিকাশে এর গুরুত্ব অনসীকার্য।
অবশেষে তোমাকে / আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সময় করে www.artsschool.in এর অনিয়ন্ত্রিত শিক্ষার সীমাবদ্ধতা বা ত্রুটি গুলি সম্পর্কে আলোচনা কর এই আর্টিকেলটি পুরোপুরি পড়ার জন্য। এভাবেই আমাদের এই ব্লগটির পাশে থেকে তোমাদের সাপোর্ট দেখিয়ো যাতে ভবিষ্যতে আমরা আজকের এই প্রশ্নের মতো আরো গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নগুলি উত্তর সহ তোমাদের সামনে উপস্থাপন করতে পারি। আর এই ব্লগটি যদি শিক্ষার জন্য উপযোগী মনে হয় তবে তোমাদের বন্ধু-বান্ধব দের মাঝে সেয়ার করে দিও।
বিঃদ্রঃ অনিয়ন্ত্রিত শিক্ষার সীমাবদ্ধতা বা ত্রুটি গুলি সম্পর্কে আলোচনা কর এই প্রশ্নের উত্তরটি তৈরি করতে আমাদের কিছু পাঠ্য বইয়ের সাহায্য নিতে হয়েছে, তাই আমাদের এই আর্টিকেলটি নিয়ে আপনাদের কারো যদি কোনো সমস্যা বা অভিযোগ থেকে থাকে তবে আমাদের ইমেল করতে ভুলবেন না [email protected] এই ঠিকানায়।