গ্রহরুপে পৃথিবীঃ আজকের এই ব্লগ পোস্টের আলোচনার বিষয় গ্রহরুপে পৃথিবী যা কিনা নবম শ্রেণীর পাঠ্যের অন্তর্গত। আজকে আমরা গ্রহরুপে পৃথিবী অধ্যায় থেকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ছোট প্রশ্ন ও উত্তর নিয়ে আলোচনা করবো। যেগুলি তোমরা যদি ভালো করে ফলো করে তবে তোমাদের বিশেষ কাজে আসবে।
কিন্তু তোমাদের কাছে একটাই অনুরোধ গ্রহরুপে পৃথিবী অধ্যায়ের ছোট প্রশ্ন ও উত্তরগুলি এখান থেকে দেখার আগে একটিবার তোমাদের WBBSE বা পর্ষদ প্রদত্ত পাঠ্য বইটি থেকে অধ্যায়টি ভালো ভাবে রিডিং পরে নাও তাহলে সব প্রশ্ন ও উত্তর গুলি সহজেই ধরতে পারবে।
তাহলে দেখে নেওয়া যাক গ্রহরুপে পৃথিবী অধ্যায়ের কিছু গুরুত্বপূর্ণ ছোট প্রশ্ন ও উত্তর।
১ সৌরজগৎ কী?
উঃ; মহাকাশে সূর্যকে কেন্দ্র করে গ্রহ উপগ্রহ ধূমকেতু গ্রহাণুপুঞ্জ প্রভৃতি মহাজাগতিক বস্তু নির্দিস্ট কক্ষপথে ঘুরে চলেছে। সূর্যসহ এইসকল মহাজাগতিক বস্তুর বিরাজক্ষেত্রই হল সৌরজগৎ।
২ নক্ষত্র কী?
উঃ মহাকাশে যেসব বৃহৎ জ্যোতিস্কের নিজস্ব আলো ও তাপ আছে, যাদের কেন্দ্র করে গ্রহ ও উপগ্রহসহ মহাজাগতিক বস্তুসমূহ নির্দিস্ট কক্ষপথে প্রদক্ষিণ করে তাদের নক্ষত্র বলে। যেমন সূর্য।
৩ গ্রহ কি?
উঃ গ্রহ হল মহাকাশে কোন নক্ষত্র থেকে সৃষ্ট কঠিন পিণ্ড। গ্রহের নিজস্ব আলো ও তাপ নেই, এরা নক্ষত্রের আলোয় আলোকিত হয়। এরা নির্দিস্ট কক্ষপথে উৎস নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণ করে। জেম্ন-পৃথিবী।
৪ উপগ্রহ কী?
উঃ উপগ্রহ হল কোনো গ্রহ থেকে সৃষ্ট ক্ষুদ্র কঠিন পিণ্ড। উপগ্রহের নিজস্ব আলো ও তাপ নেই নির্দিস্ট কক্ষপথে উৎস গ্রহকে প্রদক্ষিণ করে। জেম্ন-পৃথিবীর উপগ্রহ চাঁদ।
৫ সৌ্রজগতের গ্রহগুলিকে কী কী ভাগে ভাগ করা যায়?
উঃ সৌ্রজগতের গ্রহগুলিকে দুটি ভাগে ভাগ করা যায়। যথা- কুলীন গ্রহ ও বামন গ্রহ।
PART OF SPEECH কাকে বলে? জানতে এখানে ক্লিক করুন।
৬ বামন গ্রহ কী?
উঃ মহাকাশে এমন কিছু গ্রহ আছে যারা তাদের কক্ষপথের সন্নিহিত অঞ্চল থেকে অপেক্ষাকৃত ক্ষুদ্রাকার মহাজাগতিক বস্তুকে সরিয়ে দিতে পারে না এরাই বামন গ্রহ। যেমন- প্লুটো ।
৭ G.P.S-এর ব্যবহার প্রথম কোথায় শুরু হয়েছিল?
উঃ ১৯৭০- এর দশকে আমেরিকায় G.P.S-এর ব্যবহার প্রথম শুরু হয়েছিল। আমেরিকার প্রতিরক্ষা বিভাগ প্রথম এর ব্যবহার শুরু করে।
৮ পৃথিবীকে নীল গ্রহ বলে কেন?
উঃ মহাকাশ থেকে পৃথিবীকে সাদা ও নীল রঙের দেখায়। বায়ুমণ্ডলের মেঘে সূর্যালোক পড়ে সাদা দেখায় এবং জলভাগকে নীল দেখায়। যেহেতু পৃথিবীর বেশিরভাগ অংশই সমুদ্রবেষ্টিত তাই মহাকাশ থেকে পৃথিবীকে নীল দেখায়। সেইজন্য পৃথিবীকে নীলগ্রহ বলে।
৯ পৃথিবীর নিরক্ষীয় ব্যাস ও মেরু ব্যাস সমান নয় কেন?
উঃ পৃথিবীর আবর্তনের জন্য নিরক্ষীয় অঞ্চলে কেন্দ্রবহির্মুখী শক্তির প্রভাবে নিরক্ষীয় প্রদেশটি বেশি স্ফীত এবং মেরু প্রদেশে কেন্দ্রমুখী শক্তির কারনে দুই মেরুপ্রদেশ চাপা হয়েছে।
১০ GPS কী?
উঃ GPS হল মহাকাশে ঘুরতে থাকা কৃ্ত্রিম উপগ্রহ পরিচালিত একটি ব্যবস্থা। GPS এর মাধ্যমে বর্তমানে জল স্থলে ও আকাশের নানা ধরনের তথ্য এবং কোনো স্থানের অক্ষাংশ দ্রাঘিমাংশ উচ্চতা ও সময় নিখুঁতভাবে নির্নয় করা হয়।
১১ দিগন্তরেখা বলতে কী বোঝ?
উঃ সমুদ্রের ধারে বা কোনো ফাঁকা জায়গায় দাঁড়িয়ে চারিদিকে তাকালে মনে হয় আকাশ ও ভূমি যেন একটি বৃত্তরেখায় মিশেছে। এই বৃত্তরেখাকে দিগন্তরেখা বলে। ভূপৃষ্ঠ থেকে যত ওপরে ওঠা যায় দিগন্তরেখার পরিধিও তত বাড়ে।
১২ কেন্দ্রাতিগ বলের প্রভাব কী?
উঃ কোনো নমনীয় গোলাকার বস্তুকে অনবরত ঘোরানো হলে তার মধ্যে একসঙ্গে পরস্পরবিরোধী দুটি বল ক্রিয়াশীল হয়। নিরক্ষীয় অঞ্চলে আবর্তন বেগ বেশি হওয়ায় কেন্দ্রাতিগ বলের প্রভাবে বস্তুসমূহ বাইরের দিকে বেরিয়ে আসতে চায়। সেইজন্য পৃথিবী অভিগত গোলাকৃতি।
গ্রহরুপে পৃথিবী অধ্যায় এর মতো এরকম ধরনের আরো আর্টিকেল পড়ার জন্য এখানে click করুন।
অবশেষে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সময় করে এই পোস্টটি পড়ার জন্য। এভাবেই চিরদিন https://artsschool.in এর এই ব্লগের পাশে থাকুন যাতে ভবিষ্যতে আরো উন্নত মানের Study material & Notes আপনাদের সামনে তুলে ধরতে পারি। একটাই অনুরোধ করবো নিয়মিত আমাদের এই ব্লগে Visit করুন এবং নিজের জ্ঞানের ভাণ্ডারকে আরো সমৃদ্ধ করে তুলুন।
বিঃ দ্রঃ এই আর্টিকেলের গ্রহরুপে পৃথিবী অধ্যায় এর প্রশ্ন ও উত্তর গুলি কিছু অভিজ্ঞ শিক্ষক ও পাঠ্য বই বা নোট বইয়ের সাহায্যে এবং নিজের চেষ্টায় তৈরি। শিক্ষকদের অনুমতি নেওয়া হলেও প্রকাশকদের কাছ থেকে কোনো অনুমতি নেওয়া হয়ে ওঠেনি। এবিষয়ে আপনাদের কারো যদি কোনো অসুবিধা থাকে তবে যোগাযোগ করুন আমাদের সাথে এবং জানান আপনার কথা।