প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান; আজকে তোমরা আমাদের এই আর্টিকেলে পাচ্ছো একাদশ শ্রেণির শিক্ষা বিজ্ঞানের মানব জীবনে বিকাশের স্তর ও অনুকূল শিক্ষার স্তর অধ্যায় থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন এবং তাঁর উত্তর যেটা হল ভারতে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গুলি সম্পর্কে আলোচনা করো? যা তোমাদের আগামী পরিক্ষার জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। তাই আর দেরি না করে এই প্রশ্নটির উত্তরটি ভালোভাবে পড়ে নাও, আর যদি সম্ভব হয় প্রস্নের উত্তরটি তোমাদের নোটবুকে লিখে নিতে পারো।
ভারতে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গুলি সম্পর্কে আলোচনা করো
প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানঃ
ভারতে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার জন্য বিভিন্ন ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য করা যায়, তার মধ্যে বিশেষ কয়েকটি প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হল – ক্রেস, নার্সারি বিদ্যালয়, কিন্ডারগার্টেন বিদ্যালয়, মন্তেশ্বরী বিদ্যালয়, প্রাক বুনিয়াদি বিদ্যালয় প্রভৃতি।

এবারে একে একে দেখে নেয়া যাক ভারতে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানগুলি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা –
১) ক্রেসঃ
ক্রেস হল প্রাক প্রাথমিক শিক্ষার প্রথম প্রতিষ্ঠান, এই ধরনের প্রতিষ্ঠাণে মূলত শিশু পালনের দিকেই বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। যে সমস্ত শিশুর পিতা মাতা বিশেষ করে মা শিশুর পরিচর্যায় সময় দিতে পারে না কিংবা বাড়িতে তেমন কোন লোকজন থাকে না তাদের যত্ন নেবার জন্যই এই ধরনের প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে।
২) নার্সারি বিদ্যালয়ঃ
যে সমস্ত শিশুর বাবা-মা দুজনেই চাকরি কিংবা অন্য পেশায় নিযুক্ত, তারা তাদের সন্তানদের দৈহিক ও মানসিক চাহিদা পূরণ করার সময় পান না, সেই সব সন্তানের চাহিদা পূরণের জন্য তাদের প্রতি বিশেষ লক্ষ্য রাখার জন্য মার্গারেট ম্যাকমিলান ও র্যাচেল ম্যাকমিলান নামে দুই বোন লন্ডনে প্রথম নার্সারি বিদ্যালয় স্থাপন করেন।
বর্তমানে আমাদের দেশেও এই ধরনের বিদ্যালয় গড়ে উঠেছে। এই বিদ্যালয়ে গৃহ পরিবেশের মতো পরিবেশ গড়ে তোলা হয়। খেলাধুলা ছবি আঁকা গল্পবলা নাচ গান মাটির কাজ বা হাতের কাজ কাগজের কাজ প্রভৃতির মাধ্যমে শিশুদের শিক্ষা দেওয়া হয়, কোন প্রকার পাঠ্যপুস্তক এর ব্যবস্থা এখানে থাকেনা।
৩) কিন্ডারগার্টেন বিদ্যালয়ঃ
ফ্র্যয়বেল সর্বপ্রথম এই ধরনের বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। এই ধরনের বিদ্যালয় উপহার এবং বৃত্তি এই দুই প্রকার উপকরণের সাহায্যে শিশুদের শিক্ষাদান করা হয়। ফ্রয়বেল এই বিদ্যালয়ে ২০টি উপহার ব্যবহার করেছিলেন।
নানা রঙের ও আকৃতির কাঠের বা অন্যান্য জিনিসের দ্বারা তৈরি একটি সেট কে উপহার বলা হয়, আর বৃত্তি বলতে বোঝায় বালি মাটি প্রভৃতি দিয়ে তৈরি বিভিন্ন বস্তু। এই বিদ্যালয় লেখাপড়া গান করা ছবি আঁকা অভিনয় করা গান গাওয়া প্রভৃতির ব্যবস্থাও করা হয়।
৪) মন্তেশ্বরী বিদ্যালয়ঃ
মাদাম মারিয়া মন্তেসরি এই ধরনের বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা। তার প্রতিষ্ঠিত এই ধরনের বিদ্যালয়ের নাম কাসা দাই কাম কি নি – এর অর্থ হলো শিশুর জন্য গৃহ বা শিশু নিকেতন। এই বিদ্যালয়ে যে যান্ত্রিক কৌশলের দ্বারা শিক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয় তার নাম ডাইডাকটিক অপারেটরস। এই বিদ্যালয়ের শিশুদের ইন্দ্রিয় প্রশিক্ষণের জন্য প্রকৃতি পর্যবেক্ষণ বাগান তৈরি হাতের কাজ সংগীত প্রভৃতির আয়োজন করা হয়।
৫) প্রাক বুনিয়াদি বিদ্যালয়ঃ
মহাত্মা গান্ধীর শিক্ষা আদর্শের ভিত্তিতে এই ধরনের বিদ্যালয় গড়ে তোলা হয়। এখানে পড়াশোনার পাশাপাশি শিশুদের আত্মবিশ্বাস গড়ে তোলা এবং নিয়মানুবর্তিতার বিষয়ক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
আমাদের দেশে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা নিয়ন্ত্রিত শিক্ষা ব্যবস্থার অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন ধরনের বিদ্যালয় গড়ে উঠেছে, যাদের মাধ্যমে এই শিক্ষা শিশুদের দেওয়া হচ্ছে।
আরো পড়ুন প্রাক প্রাথমিক শিক্ষার উদ্দেশ্য গুলি আলোচনা করো?
বিঃ দ্রঃ প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এই প্রস্নের উত্তরটি তৈরি করার জন্য আমাদের কিছু বইয়ের এবং গুগল থেকে তথ্য সংগ্রহ করতে হয়েছে, তাইভারতে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গুলি সম্পর্কে আলোচনা করো উত্তরটি নিয়ে আম্পনাদের কারো যদি কোনোরকম সমস্যা হয়ে থাকে দয়াকরে আমাদের ইমেল করুন [email protected] এই ঠিকানায়, এবং আমাদের আপনার সমস্যার কথা জানান।
আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করবো আপনার সমস্যা দূর করার। (কারন আমাদের তরফ থেকে কোনো প্রকাশকের সাথে যোগাযোগ করা হয়ে ওঠেনি)। আর এভাবেই https://artsschool.in এর পাশে থেকে তোমাদের সাপোর্ট দেখিয়ো যাতে ভবিষ্যতে আমরা এরকম আরো শিক্ষামূলক আর্টিকেলগুলি তোমাদের সামনে তুলে ধরতে পারি। ধন্যবাদ।