বাংলা আর ইংরেজি; আমাদের আজকের এই আর্টিকেলের আলোচনার বিষয় কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্গত গ্রাজুয়েশন ডিগ্রির প্রথম সেমিস্টারের আবশ্যিক বাংলা সিলেবাসের বাংলা আর ইংরেজি প্রবন্ধের বিষয়ে সবিস্তার আলোচনা যা তোমাদের অবশ্যই পরা দরকার; তাহলে চলো একটু জেনে নেওয়া যাক বাংলা আর ইংরেজি প্রবন্ধের সন্মন্ধে কিছু কথা
বাংলা আর ইংরেজি– অন্নদাশঙ্কর রায়
কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় – প্রথম সেমিস্টার
বাংলা আর ইংরেজি প্রবন্ধের লেখক অন্নদাশঙ্কর রায়ের সম্পর্কে উক্তিঃ
শব্দবিন্যাস ছোট ছোট বাক্য ব্যবহার যদি ব্যবহার পাঠকের উৎস জানিয়ে বক্তব্য বিষয়কে পরিবেশন পিতাকরা অন্নদাশঙ্করের গদ্যরীতির বিশেষ দিক – ডঃ দেবেশ কুমার আচার্য
বাংলা আর ইংরেজি প্রবন্ধের লেখক সন্মন্ধে কিছু কথা:
অন্নদাশঙ্কর রায় -জন্ম 1904 এবং মৃত্যু 2002 সালে। ছিলেন একজন উপন্যাসিক প্রাবন্ধিক কবি এবং চিন্তাবিদ। হাজার 900 তোকে বাঙালি রেনেসাঁ ঐতিহ্যের শেষ বুদ্ধিজীবী হিসেবে অভিহিত তিনি। ওড়িশার দেশীয় রাজ্য ঢেঙ্কানালের এক শাক্ত পরিবারের অন্নদাশঙ্কর রায়ের জন্ম হয়। তার পিতা নিমাইচড়া ও মা হেমনলিনী। তার পূর্ব পুরুষেরা আদি নিবাস ছিল পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার কোতরং গ্রামে। কর্মসূত্রে তারা উড়িষ্যার ঢেঙ্কানালে বসবাস শুরু করেন। জমিদার হিসেবে অন্নদাশঙ্করের পূর্বপুরুষেরা ছিলেন প্রজাহিতৈষী মানবতাবাদি ও অসাম্প্রদায়িকতায় বিশ্বাসী।
তাদের পরিবারে সাহিত্য সংস্কৃতির চর্চা হতো রীতিমতো। পিতামহ শ্রীনাথ রায়, পিতা নিমাই চরণ রায় ও কাকা হরিশ চন্দ্র রায় এরা সকলেই ছিলেন সাহিত্যরসিক এবং শিল্প সংস্কৃতির পৃষ্ঠপোষক। এক বন্ধুর সঙ্গে মিলে নিমাই চরণ শ্রীচৈতন্যচরিতামৃত অনুবাদ করেন উড়িষ্যার উড়িয়া ভাষায়। হেমনলিনী ছিলেন বৈষ্ণব ভাবাদর্শে বিশ্বাসী এবং বিখ্যাত পালিত পরিবারের সন্তান। প্রাচ্য পাশ্চাত্য সংস্কৃতির মিশ্র পরিবেশে কেটেছে অন্নদাশঙ্করের শৈশব।
অন্নদাশঙ্করের শিক্ষাজীবন আরম্ভ হয় ঢেঙ্কানালের এর প্রাথমিক বিদ্যালয়। ১৯২১ সালে ঢেঙ্কানাল হাই স্কুল থেকে তিনি ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষা পাস করেন এবং ভর্তি হন তৎকালীন পাটনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন কটক র্যাভেনস কলেজে। ১৯২৩ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের আই এ পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করেন। ১৯২৫ সালে তিনি পাটনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে অনার্স বিএ পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণীতে প্রথম হন।
এমএ শ্রেণীতে পড়াকালীন ১৯২৭ সালে অন্নদাশঙ্কর রায় আইসিএস পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করে প্রশিক্ষণের জন্য ইংল্যান্ডে যান। যেখানে তিনি লন্ডনের ইউনিভার্সিটি কলেজ, কিংস কলেজ, লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিক্স, লন্ডন স্কুল অফ অরিয়েন্টাল স্টাডিজ-এ পড়াশোনা ও প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। এরই ফাঁকে ঘুরে বেড়ান সুইজারল্যান্ড জার্মানি ইতালি ফ্রান্স প্রভৃতি দেশ। ফলে ভ্রমণের অভিজ্ঞতা প্রতিফলন ঘটে তার অনেক সাহিত্যে।
অন্নদাশঙ্কর রায়ের কর্মজীবন নিয়ে কিছু কথাঃ
প্রশিক্ষণ শেষে ফিরে ১৯২৯ অন্নদাশঙ্কর রায় মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুর অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যাজিস্ট্রেট পদে যোগ দেন। ১৯২৯ সাল থেকে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত ঢাকা-ময়মনসিংহ কুষ্টিয়া ত্রিপুরা মেদিনীপুর হুগলি এবংহাওড়ায় তিনি নিযুক্ত ছিলেন কখনো শাসন বিভাগের কখনো বিচার বিভাগে যথাক্রমে ম্যাজিস্ট্রেট ও জর্জ হিসেবে।
১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের পর ইন্ডিয়ান সিভিল সার্ভিস এর মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে তিনি উচ্চতর পর্যায়ের ইন্ডিয়ান অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিসের সদস্য হিসেবে পশ্চিমবঙ্গের প্রশাসন ও বিচার বিভাগে কাজ করেন। রাজনৈতিক ও সাম্প্রদায়িক বিষয়কে কেন্দ্র করে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মতবিরোধ হওয়ায় ১৯৫০ সালে পদত্যাগপত্র দেন এবং ১৯৫১ সালে তিনি বিচার বিভাগের সচিব পদ থেকে অব্যাহতি পান।
কবি অন্নদাশঙ্কর রায়ের কবি প্রতিভাঃ
বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী ছিলেন অন্নদাশঙ্কর রায়, কুড়ি বছর বয়সে উড়িয়া সাহিত্যিক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। তার প্রথম কবিতা উড়িয়া ভাষায় রচিত। উড়িয়া ভাষায় হাতের লেখা একটি পত্রিকা বের করেন। বাংলা ইংরেজি উড়িয়া সংস্কৃত হিন্দি সব ভাষায় পারদর্শী হলেও বাংলাকেই তিনি সাহিত্য চর্চার মাধ্যম হিসেবে বেছে নেন। ও কলেজের গ্রন্থাগারে তিনি ভারতীয় এবং ইউরোপীয় সাহিত্যের সঙ্গে পরিচিত হন। স্কুলে তিনি শিশু সন্দেশ মৌচাক সবুজপত্র পত্রিকা পড়ার সুযোগ পান। 13 বছর বয়সে অক্সফোর্ড থেকে প্রকাশিত পত্রিকার গ্রাহক হোন এবং সে পত্রিকায় লেখা ছাপেন।
প্রমথ চৌধুরী সম্পাদিত সবুজপত্র ছিল তার লেখক হয়ে ওঠার প্রেরণা। সবুজপত্র পত্রিকার প্রধান লেখক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও প্রমথ চৌধুরীর জীবন দর্শন ও শিল্প দর্শন অন্নদাশঙ্করের সাহিত্য গঠনে দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব বিস্তার করে। অন্যদিকে তলস্তয় কেও তিনি আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করেন। তলস্তয় এর সত্যের প্রতি অনুরাগ এবং রবীন্দ্রনাথের সৌন্দর্য প্রীতি তাকে ভীষণ ভাবে আকৃষ্ট করে। 16 বছর বয়সের এর গল্প তিনটি প্রশ্ন তিনি বাংলায় অনুবাদ করেন এবং তা প্রবাসী পত্রিকায় ছাপা হয় ১৯২০ সালে।
বাংলা ভাষায় তার প্রথম প্রকাশিত মৌলিক রচনার বিষয় ছিল নারীর অধিকার ও স্বাধীনতা যা ভারতী পত্রিকায় ছাপা হয়। এ ধরণের বিষয় নিয়ে তিনি উড়িয়া ভাষায় লেখেন। এছাড়া রবীন্দ্রনাথের রক্তকরবী নাটকের উপর যে প্রবন্ধ লেখেন তার রবীন্দ্রনাথকেও আলোড়িত করে। অন্নদাশঙ্করের প্রথম প্রকাশিত প্রবন্ধ তারুণ্য ১928 সালে প্রকাশিত হয় বিচিত্রা পত্রিকায়। তবে তার ইউরোপ ভ্রমণের অভিজ্ঞতা নিয়ে লেখা পথে প্রবাসে ভ্রমণ কাহিনীর মাধ্যমেই তিনি বাংলা সাহিত্যে নিজের স্থান করে নেন।
বাংলা আর ইংরেজি এর উৎসঃ
বাংলা ইংরেজি প্রবন্ধটি অন্নদাশঙ্কর রায়ের প্রবন্ধ সংকলন থেকে নেওয়া হয়েছে।
বাংলা আর ইংরেজি প্রবন্ধের মূল বিষয়বস্তুঃ
মাতৃভাষাকে গুরুত্ব দিতে গিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের শিক্ষা নীতির পরিবর্তন নিয়ে দেশজুড়ে বিতরকের ঝড় ওঠে। প্রাথমিক স্তরে শুধু মাতৃভাষায় পড়ানো হবে- কোনভাবেই ইংরেজির বোঝা চাপানো চলবে না, এই নীতি একসময় জোরদার হয়ে ওঠে। একথা সত্য যে পৃথিবীর সব দেশে মাতৃভাষাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। লেখক স্বীকার করেছেন যে প্রাথমিক শিক্ষা মাতৃভাষাতেই দিতে হবে।
কিন্তু বিতর্ক দানা বাঁধে ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে বাড়বাড়ন্ত দেখে। সরকারি সাহায্য ছাড়াই আমাদের রাজ্যে ইংরেজি মাধ্যম স্কুল এর বাড়বাড়ন্ত চোখে পড়ার মতো। সেই সব স্কুলের ছেলেমেয়েদের ভর্তি করার জন্য অভিভাবকদের প্রচেষ্টা শেষ নাই। কেন এই আগ্রহ? কারণ অভিভাবকরা চাকরিসূত্রে যেখানে বদলি হবেন সেখানে ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে ভর্তি করে দিলে ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা অব্যাহত থাকবে। তা না হলে সেখানকার মাতৃভাষা নতুন করে শেখাতে হবে।
তাতে দু বছর নষ্ট হবে, আর যারা চাকরিজীবী নন তারা মনে করেন ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে পড়লে ইংরেজি লেকচার বুঝতে পারবে, প্রশ্নপত্রের উত্তর দিতে পারবে খুবই সহজে, পরীক্ষায় নম্বর ভালো পাবে। লেখক নিজে তার ছোট মেয়েকে প্রেসিডেন্সি কলেজে ভর্তি করতে গিয়ে অসুবিধায় পড়ে ছিলেন। অধ্যাপক তাকে বলেছিলেন যে, প্রথম শ্রেণীতে পাস করতে হলে ইংরেজিটা ভালো করে শিখতে হবে।
এরপর লেখক অন্য একটি কথা বলেছেন, তার মতে যারা পছন্দ করেনা তাদের যেন বাধ্য না করা হয় ইংরেজি ছেড়ে বাংলা বাহিনীর মাধ্যমে পড়াশোনা করতে। যারা চায় তাদের জন্য ঠিক আছে বাংলা মাধ্যম কলেজে থাকবে, কিন্তু যারা চায় না তাদের জন্য সেখানে পড়তে বাধ্য না করা হয়। লেখক এর মতে প্রাথমিক স্তরে ইংরেজি পড়ান না হলেও বাড়িতে যেন তাদের পড়ানো হয়। না হলে ছেলেমেয়েরা ইংরেজিতে কাঁচা থেকে যাবে।
অর্থাৎ ইংরেজি বাদ দেওয়া হোক- লেখক এই মতের পক্ষপাতী নন। সরকার তাদের হাইস্কুলে যা ইচ্ছা তাই করুন কিন্তু বেসরকারি স্কুল গুলি কে যেন একই নীতি অনুসরণ করতে বাধ্য না করেণ। কলেজের ক্ষেত্রে সেই নীতি অনুসৃত হয়। ইংরেজি বা বাংলা কোনটি অগ্রাধিকার পাবে- এই বিষয়ে লেখক ছাত্র-ছাত্রীদের মতামত কেই মান্যতা দিয়েছেন। যে যেটাই করুক সেটা যেন মন দিয়ে পড়ে, তাতে সাফল্য আসবেই।
বাংলা আর ইংরেজি প্রবন্ধ সন্মন্ধে আরো কিছু কথাঃ
বিগত শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ বাঙালি বুদ্ধিজীবী হিসেবে অন্নদাশঙ্কর রায় সর্বজনশ্রদ্ধেয়। সারাজীবন সরকারি উচ্চ পদে আসীন থেকেও নিরলসভাবে সাহিত্যচর্চা করে গেছেন তিনি। কোন সময় কোন প্রতিকূলতার কাছে মাথা নত করেননি, অথবা লোভের বশবর্তী হয়ে ব্যক্তিত্বকে বিসর্জন দেননি। নিজস্ব মতবাদ সারাজীবনে থেকেছেন ঋজু। ছড়া কবিতার পাশাপাশি মননশীল প্রবন্ধ রচনাতেও দক্ষ ছিলেন। সমাজ ও রাষ্ট্রের নানা গঠনমূলক ভাবনার বহিঃপ্রকাশ লক্ষ্য করা যায় তার প্রবন্ধ গুলিতে। বিশেষ করে এ দেশের ভাষা সম্পর্কে তার প্রবন্ধ গুলি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
যেহেতু ভারত বর্ষ ভাষা নানা এবং প্রতিটি প্রদেশ আলাদা আলাদা ভাষা, সেই কারণে ভাষা সমস্যা এদেশের চিরকালীন এক সমস্যা। ইংরেজ শাসন কাল থেকেই এদেশে ইংরেজি ভাষার প্রচলন ও প্রসার লক্ষ্য করা যায়। চাকরিজীবী ইংরেজি ভাষার প্রতি মানুষ সেই সময় খুব অনুরক্ত হয়ে পড়েছিল। তারপর দীর্ঘ প্রায় দু’শো বছর পর ইংরেজরা বিদায় নিয়েছে দেশ স্বাধীন হয়েছে কিন্তু ইংরেজি ভাষা যায়নি শুধু জানি বললে ভুল হবে স্বাধীনভাবে ইংরেজির প্রাদুর্ভাব অবিশ্বাস্যভাবে বেড়েছে। ফলে যারা বাংলা পড়েছে তারা আজ বিপদে। ইংরেজি কে বাদ দিয়ে জীবনে উন্নতি করা সম্ভব নয়- এই ধারনা আজও বর্তমান। আলোচ্য প্রবন্ধে লেখক ইংরেজি এবং বাংলা ভাষার অগ্রাধিকার নিয়েই আলোচনা করেছেন।
বাংলা আর ইংরেজি প্রবন্ধে লেখকের মাতৃভাষার প্রতি বিশ্বাসঃ
মাতৃভাষা বাংলার গুরুত্বকে অস্বীকার করেনি কখনো। এর প্রমাণ প্রবন্ধের সূচনায় তার এই উদ্ধৃতিটি – কোটি কোটি ছাত্রছাত্রীকে যদি প্রাথমিক শিক্ষা দিতে হয়, তবে সে শিক্ষা মাতৃভাষাতেই দিতে হয়। এটাই সব দেশের রীতি। লেখক বাঙালি আর তার মাতৃভাষা ও বাংলা। মাতৃভাষা ছাড়া প্রাথমিক শিক্ষার অগ্রগতি সম্ভব নয়। রবীন্দ্রনাথ মাতৃভাষাকে মাতৃদুগ্ধ বলেছেন। অন্নদাশংকর সেই কথা মেনে নিয়েছেন, কিন্তু মেনে নিয়েও তিনি কিছু অন্য কথা বলেছেন। আমাদের রাজ্যে প্রতিদিনের ইংরেজী মাধ্যম স্কুল বেড়েই চলেছে। অভিভাবকরাও প্রতি মুহূর্তে তাদের সন্তানকে ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে ভর্তি করতে তৎপর।
এর কারণ কি? লেখক বলেছেন চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে এটা সুবিধাজনক। তারা যেখানে বদলে হবেন সেখানে ইংরেজি মাধ্যম বিদ্যালয়ে পাওয়া যাবে, কিন্তু বাংলা মাধ্যম স্কুল তো সব জায়গায় নেই। আর যারা চাকরিজীবী নন তাদের ইচ্ছা ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে পড়লে ছেলেমেয়েরা ভবিষ্যতে চাকরি পাবে নম্বর বেশি পাবে। এই ইচ্ছা মেনে নিয়েও লেখক বাংলা মাধ্যম স্কুলের হয়ে সওয়াল করেছেন। লেখক বলতে চেয়েছেন যার যেখানে ইচ্ছা সেখানে পড়ুক যেন জোর করে চাপিয়ে দেওয়া না হয়। যে যে মাধ্যমেই পড়ুক সেটা যেন ভালো করে পড়ে ফাঁকি দিলে কোনোটাতেই কিছু হবে না।
ইংরেজি এবং বাংলা নিয়ে আমাদের রাজ্যের ছাত্রছাত্রীরা দুই ভাগে বিভক্ত। তবে আন্তর্জাতিক ভাষা হিসেবে ইংরেজির আধিপত্য অনস্বীকার্য। তাই মাতৃ ভাষার পাশাপাশি ইংরেজি কে চালিয়ে যেতে হবে। বাংলা মাধ্যমে 10 বছর বয়স পর্যন্ত ইংরেজি না থাকলেও বাড়িতে শেখানোর ব্যবস্থা করতে হবে। ইংরেজিতে একেবারে বাদ দিলে চলবে না, তবে ইংরেজি আর বাংলা পড়া ছাত্র-ছাত্রীদের দুইভাবে দেখাকে লেখক সমীচীন বলে মনে করেন নি। তবে ভাষা নির্বাচনের ব্যাপারে লেখক ছাত্র-ছাত্রীদের মতামতকে গুরুত্ব দিয়ে প্রবন্ধের উপসংহার টেনেছেন।
Read More From Our Blog শিক্ষার হেরফের – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর পুর্নাঙ্গ আলোচনা।
বিঃদ্রঃ আমাদের আজকের বাংলা আর ইংরেজি প্রবন্ধের সম্পূর্ণ আলোচনার এই আর্টিকেলটি তৈরি করার জন্য আমাদেরকে কিছু রেফারেন্স বইয়েরও সাহায্য নিতে হয়েছে; যদিও এব্যাপারে আমাদের তরফ থেকে কোনো প্রকাশকের সাথে যোগাযোগ করা হয়ে ওঠেনি; তাই আমাদের এই বাংলা আর ইংরেজি প্রবন্ধের আলোচনা পর্বটি নিয়ে যদি আপনাদের কারো কোনো রকম সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে আমাদের ইমেল করুন [email protected] এই ঠিকানায়।