Menu

রোমে ক্রীতদাসদের মুক্তির উপায় সম্পর্কে আলোচনা করো

রোমে ক্রীতদাসদের মুক্তির উপায়; আজকে আমাদের এই আর্টিকেলে আমরা তোমাদের জন্য নিয়ে উপস্থিত হয়েছি পশ্চিমবঙ্গ উচ্চ শিক্ষা পরিষদের একাদশ শ্রেণির ইতিহাসের অন্তর্গত অর্থনীতির বিভিন্ন দিক অধ্যায়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন এবং তার উত্তর যা হলো রোমের ক্রীতদাস দের মুক্তির উপায় সম্পর্কে আলোচনা করো;  যেটি তোমাদের আগামী বার্ষিক পরীক্ষার জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ-

একাদশ  শ্রেণির ইতিহাস

 অর্থনীতির বিভিন্ন দিক – রোমে ক্রীতদাসদের মুক্তির উপায়

প্রশ্নঃ রোমে ক্রীতদাসদের মুক্তির উপায় সম্পর্কে আলোচনা করো।

উত্তরঃ রোমে ক্রীতদাসদের অধিকাংশই শোষণ-নির্যাতন,  সীমাহীন পরিশ্রম,  অনাহার,  অত্যাচার নির্যাতন  হত্যার অভিজ্ঞতাই সঞ্চয় করত। ফলে কখনো কখনো তারা বিদ্রোহের পথে পা বাড়াতো।  খৃষ্টপূর্ব দ্বিতীয় শতক থেকে রোমান সাম্রাজ্যে ক্রীতদাস বিদ্রোহ শুরু হয়।  প্রথম দ্বিতীয় ও তৃতীয় ক্রীতদাস বিদ্রোহের পর রোমান সম্রাট  ক্রীতদাসদের কিছু কিছু অধিকারের স্বীকৃতি দেন।  সম্রাট প্রভুর অন্যায়ের বিরুদ্ধে  ক্রীতদাসকে আদালতে অভিযোগ জানানোর অধিকার দেন। 

প্রথমত,  প্রভুর  অধীনে বন্দী অবস্থায় বার্ধক্যের ও রোগভোগের জরাজীর্ণ হয়ে একসময় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে তারা।  তবে কোনো কোনো ক্ষেত্রে ক্রীতদাস তার দাসত্বের জীবন থেকে মুক্তিও লাভ করতে পারতো।  মুক্তিপ্রাপ্ত ক্রীতদাস  লিবারটাস নামে পরিচিত ছিল।  মুক্তিপ্রাপ্ত ক্রীতদাসদের মুক্তির প্রতীক হিসাবে বিশেষ আচ্ছাদন পড়ানো হতো।  মুক্তিপ্রাপ্ত  ক্রীতদাস  পূর্বতন  প্রভুর পৃষ্ঠপোষকতা লাভ করত।  মুক্তি পাবার পর তার সন্তান রোমের স্বাধীন নাগরিক এর মর্যাদা লাভ করত। 

দ্বিতীয়ত, রোমান  সিনেটের  অনুমোদনক্রমে সেখানকার ম্যাজিস্ট্রেটরা কোন কোন ক্রীতদাসকে মুক্তি দিতে পারতো।  কোন বিপদ সঙ্কুল পরিস্থিতি থেকে নিজের জীবন বিপন্ন করে যদি প্রভুর প্রাণ বাঁচায় তবে প্রভু তার প্রাণ রক্ষাকারী ক্রীতদাসীর প্রতি সদয় হয়ে তাকে দাসত্ব থেকে মুক্তি দিত।

তৃতীয়ত, সারা জীবন  বহু পরিশ্রম করে কোন  কোন দাস  বেশকিছু অর্থ সঞ্চয় করত।  এই সঞ্চিত অর্থ  প্রভুকে এককালীন অর্থে  দিলে   প্রভু অনেক বেশি লাভবান হতো।  ক্রীতদাসটি  তার প্রভুকে  এরূপ বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিয়ে তার অধীনতা থেকে মুক্তি ক্রয় করতে পারত। 

চতুর্থত, কোন কোন ক্রীতদাস তার প্রভুর অত্যন্ত  বিশ্বস্ত সেবক হিসাবে  দীর্ঘকাল ধরে তার প্রভুর সেবা-যত্ন করে প্রচুর প্রিয় পাত্র হয়ে উঠতো।  সেই সেবাযত্নের পুরস্কার হিসাবে কখনো কখনো প্রভু তার অধিনস্ত ক্রীতদাসকে দাসত্ব থেকে মুক্তি দিত।

পঞ্চমত, প্রাচীন রোমে  গ্লাডিয়েটরের  লড়াই  নামক  একটা অমানবিক লড়াই প্রচলিত ছিল।  ক্ষুধার্ত বাঘ অথবা সিংহের সঙ্গে ক্রীতদাসদের লড়াই করতে হতো।  যদি তারা জয়ী হত তাহলে ক্রীতদাসটির  প্রভু  খুশি হয়ে তাকে মুক্তি দিত।  এছাড়াও প্রভুর প্রতি গভীর আনুগত্যের ফলস্বরূপ অধীনস্থ ক্রীতদাস  মুক্তি পেত। 

রোমে ক্রীতদাসদের মুক্তির উপায় সম্পর্কে আলোচনা করো
রোমে ক্রীতদাসদের মুক্তির উপায় সম্পর্কে আলোচনা করো

আরো পড়ুনঃ পেশাদারী শাখা হিসাবে ইতিহাসের গুরুত্ব আলোচনা করো।

 আরো পড়ুনঃ অর্থনীতির বিভিন্ন দিক অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ কিছু সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর – একাদশ শ্রেণী ইতিহাস – পশ্চিমবঙ্গ উচ্চশিক্ষা পরিষদ। 

আপনি যদি আপনার লেখা আমাদের ব্লগে পোস্ট করতে চান তাহলে এখানে ক্লিক করুন Click Here to post your writing on our Blog. 

বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ  আমাদের আজকের রোমে ক্রীতদাসদের মুক্তির উপায়  উপায় গুলি আলোচনা করো  এই প্রশ্নের উত্তরটি তৈরি করতে আমাদের কিছু পাঠ্যবইয়ের সাহায্য নিতে হয়েছে;  তাই আমাদের এই রোমে ক্রীতদাসদের মুক্তির উপায়  সম্পর্কে আলোচনা করো প্রশ্নটির উত্তর নিয়ে যদি আপনাদের কারো কোন সমস্যা থেকে থাকে তাহলে আমাদের ইমেইল করুন [email protected]  এই ঠিকানায়. 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!