Menu

সম্পদ সংরক্ষণের উপায়সমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা

সম্পদ সংরক্ষণের উপায়সমূহ; পড়ার আগে আমাদের জানতে হবে সম্পদ সংরক্ষণ বলতে কী বোঝ? কিভাবে আমরা বর্তমানে সম্পদের সংরক্ষণ করতে পারি অথবা সম্পদ সংরক্ষণের উপায়সমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করো।

উত্তরঃ প্রথমেই আসা যাক সম্পদ সংরক্ষণের কথায়, সম্পদ সংরক্ষণ বলতে আমরা সাধারণত কি বুঝি? আবার সম্পদ সংরক্ষণ সম্পর্কে জানার আগে আমাদের জানা দরকার সম্পদ সংকট কাকে বলা হয় যার মধ্যে দিয়ে বর্তমানে আমরা দিন কাটাচ্ছি এবং যা বর্তমানে একটা চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সম্পদ সংকটঃ

পৃথিবীতে গচ্ছিত সম্পদের ভাণ্ডার খুবই সীমিত। এই গচ্ছিত সম্পদকে বেহিসেবি ভাবে ব্যবহার করার ফলে অর্থাৎ আমরা এই সকল সম্পদ ব্যবহারের সময় ভবিষ্যতের কোনো চিন্তা না করে কাজে লাগলেও ব্যবহার করছি আর না লাগলেও এর ব্যবহারের মাধ্যমে অপচয় করে চলেছি, ফলে সম্পদের পরিমাণ ও গুনগত মান হ্রাস পাচ্ছে। তাই গচ্ছিত সম্পদ ধীরে ধীরে শেষ হয়ে যাচ্ছে। উদ্ভূত এই পরিস্থিতিকে সাধারণভাবে আমরা সম্পদ সংকট হিসাবে চিহ্নিত করে থাকি।

সম্পদ সংরক্ষণঃ

সম্পদ সংকট এর হাত থেকে বাঁচার এক এবং অন্যতম উপায় হল সম্পদ সংরক্ষণ। তাই ভবিষ্যৎ প্রজন্মের চাহিদা পূরন এবং দীর্ঘস্থায়ী উন্নয়নের উদ্দেশ্যে সম্পদের যথোপযুক্ত ও বিজ্ঞানসন্মত ব্যাবহারই হল সম্পদ সংরক্ষণ।

সম্পদ সংরক্ষণের উপায়সমূহঃ
সম্পদ সংরক্ষণের উপায়সমূহঃ

সম্পদ সংরক্ষণের উপায়সমূহঃ

সম্পদ সংরক্ষণের কথা মাথায় রেখে আজকের দিনে সম্পদের সংরক্ষণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে, আর তা না হলে অদূর ভবিষ্যতে আমাদের চরম সমস্যার মুখোমুখি হতে হবে। নীচের পদ্ধতি গুলি অনুসরণ করে সম্পদ সংরক্ষণ করা যায়।

১. পরিবর্ত দ্রব্যের ব্যবহারঃ

বর্তমানের ব্যবহৃত সম্পদের পরিবর্তে যদি অন্য সম্পদ দিয়ে আমাদের সম্পদের চাহিদা পূরণ করা যায় তাহলে বহুল প্রচলিত সম্পদ নিয়ে আমাদের দুসচিন্তা অনেকাংশে কমে যায়।

২. সম্পদ ব্যবহারে বাহুল্য কমানোঃ

প্রয়োজন মাফিক ব্যবহার করতে হবে। অতিমাত্রায় সম্পদ ব্যবহার না করলে সম্পদ সংরক্ষণ সম্ভব।

৩. অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে ব্যবহারঃ

কেবলমাত্র বিশেষ ক্ষেত্রে কোনো সম্পদ ব্যবহার করে ওই সম্পদের সংরক্ষণ করতে হবে।

৪. অপচয় রোধঃ

সম্পদ ব্যবহারের সময় অপচয় রোধ প্রয়োজন। আর অপচয় রোধ সম্ভব হলে তবেই সম্পদ সংরক্ষণ করা যাবে।

৫. প্রযুক্তির উন্নয়নঃ

উন্নত প্রযুক্তি প্রয়োগের ফলে স্বল্প কাঁচামালের সাহায্যে অধিক উৎপাদন সম্ভব হয়। এতেও সম্পদ সংরক্ষিত হয়।

৬. পুনরাবর্তনঃ

একই সম্পদের একাধিক বার ব্যবহারের ফলে সম্পদ সংরক্ষণ সম্ভব হয়, আবার প্রথম সম্পদটিকে কাঁচামাল হিসাবে ব্যবহার দ্বারা নতুন সম্পদ সৃষ্টির মাধ্যমেও সম্পদ সংরক্ষণ সম্ভব।

৭. সচেতনতা ও আইন প্রণয়নঃ

মানুষের সচেতনতা বাড়িয়ে এবং আইন প্রনয়ন করে সম্পদ সংরক্ষণ করা যেতে পারে।

 

আরো পড়ুন বর্তমানে ভারতে অচিরাচরিত শক্তি উৎপাদনের ওপর অধিক গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে কেন?

 

অবশেষে আপানকে/ তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সময় করে আর্টস স্কুল ডট ইনের এই সম্পদ সংরক্ষণের উপায়সমূহ এর পুরো আর্টিকেলটি পুরোপুরি পড়ার জন্য। এভাবেই আমাদের পাশে থেকে তোমাদের সাপোর্ট দেখিয়ো যাতে ভবিষ্যতে আমরা এর মতো WBBSE Board এর নবম শ্রেণীর ছাত্রদের ভূগোলের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর গুলি তোমাদের সামনে উপস্থাপন করতে পারি।

বিঃদ্রঃ সম্পদ সংরক্ষণের উপায়সমূহ এর এই নোটসটি তৈরি করতে আমাদের কিছু পাঠ্য বইয়েরও সাহায্য নিতে হয়েছে, তাই আজকের এই আর্টিকেলটি নিয়ে আপনাদের কারো যদি কোনো সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে দয়া করে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন। আমাদের ইমেল এর ঠিকানা [email protected]

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!