Menu

সিন্ধুতীরে কবিতার বড়ো প্রশ্নোত্তর মাধ্যমিক বাংলা

সিন্ধুতীরে কবিতার বড়ো প্রশ্নোত্তর ; আজকের আমাদের এই আর্টিকেলের আলোচনার বিষয় হল wbbse board এর Madhyamik Syllabus এর অন্তর্গত সৈয়দ আলাওল রচিত ‘পদ্মাবতী’ কাব্যের অন্তর্গত সিন্ধুতীরে কবিতার বড়ো প্রশ্নোত্তর।

সিন্ধুতীরে কবিতার বড়ো প্রশ্নোত্তরঃ কমবেশি ১৫০টি শব্দে প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর দাওঃ

 

১. পঞ্চকন্যা পাইলা চেতন – পঞ্চকন্যা কে কে? তাদের চেতনা পাওয়ার কথা বলা হয়েছে কেন? কীভাবে তাদের চেতনা ফিরেছিল?

 

উত্তরঃ সপ্তদশ শতকের আরাকান রাজসভার বিখ্যাত কবি সৈয়দ আলাওলের লেখা ‘পদ্মাবতী’ কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত সিন্ধুতীরে কাব্যাংশে যে অচেতন পঞ্চকন্যার কথা বলা হয়েছে তাঁরা হলেন সিংহল রাজকন্যা তথা চিতোর রাজ রন্তসেনের পত্নী পদ্মাবতী ও তাঁর চারজন সখী, চন্দ্রকলা, বিজয়া, রোহিনী এবং বিধুন্নলা।

রানী পদ্মাবতী স্বামী ও সখীসহ সমুদ্রপথে চিতোরের উদ্দেশ্যে আসার সময় তাঁদের জলযানটি ঝড়ের কবলে পড়ে জলে ডুবে যায়। পদ্মাবতী ও তাঁর চার সখী একটি মান্দাসে কোনো রকমে আশ্রয় নেয়। সমুদ্রের সেই ভয়ানক ঝড়ে, দীর্ঘযাত্রার ক্লান্তিতে ও ভয়ে পঞ্চকন্যা অচেতন হয়েছিল বলে মনে করা হয়।

সমুদ্রকন্যা পদ্মা তাঁদের সুন্দর দ্বীপে অচেতন পঞ্চকন্যাকে আবিষ্কার করে প্রাথমিক রুপমুগ্ধতার মধ্যেও তাঁদের সেবা শুশ্রূষা তথা চিকিৎসায় মনোযোগী হন। সমুদ্র রাজকন্যা পদ্মা সখীদের নির্দেশ দেন শুকনো কাপড় দিয়ে অচেতন পঞ্চকন্যার শরীর ঢেকে দেওয়ার। এরপর আগুন জ্বেলে তাঁদের আপাদমস্তক সেঁক দেওয়া হয়। পদ্মা এরপর তন্ত্রমন্ত্রসহ মহৌষধ প্রয়োগ করতে থাকেন। একাগ্রচিত্তে চার ঘণ্টার দীর্ঘ সেবাযত্নের পর অবশেষে অচেতন পঞ্চকন্যার চেতনা ফিরে আসে। যেখানে সমুদ্রকন্যা পদ্মা ও তাঁর সখীদের আন্তরিক সেবাযত্ন, ঈশ্বরের প্রতি আস্থা ও অধীত বিদ্যার আশু প্রয়োগ সহায়ক হয়েছিল পদ্মাবতীসহ পঞ্চকন্যার চেতনা ফিরে আসার ক্ষেত্রে।

সিন্ধুতীরে কবিতার বড়ো প্রশ্নোত্তর মাধ্যমিক বাংলা
সিন্ধুতীরে কবিতার বড়ো প্রশ্নোত্তর মাধ্যমিক বাংলা

২. ‘সিন্ধুতীরে’ কবিতায় পদ্মার চরিত্রের যে বিষয়গুলি ফুটে উঠেছে তা আলোচনা করো।

 

উত্তরঃ সপ্তদশ শতকের আরাকান রাজসভার বিখ্যাত কবি সৈয়দ আলাওলের জনপ্রিয় অনুবাদ কাব্য ‘পদ্মাবতী’ থেকে সংকলিত ‘সিন্ধুতীরে’ কাব্যাংশের মুখ্য চরিত্র সমুদ্র কন্যা পদ্মা। মানবিকতা, সৌন্দর্য প্রিয়তা, বুদ্ধিমত্তা প্রভৃতি গুনে গুণান্বিত পদ্মার চরিত্রের নানাদিক এখানে আলোকিত হয়েছে।

সমুদ্রের মাঝে যে দ্বীপে সমুদ্র কন্যা পদ্মা থাকতেন, যেখানে সেই সুন্দর দেশে কোনো দুঃখ ক্লেশ নেই, সত্য ধর্ম সবসময়ে বিরাজমান, পদ্মা পর্বতের উপরে এক সুন্দর উদ্যান রচনা করেছেন নানা সুগন্ধি ও সুদৃশ্য ফুলের সমারোহে, সৌন্দর্যে ও সৌরভে যা পরিপূর্ণ, নানা বৃক্ষে নানা ফলে পরিপূর্ণ সে উদ্যান, এসবের মধ্যে দিয়ে পদ্মার সৌন্দর্য প্রিয়তার পরিচয় সুস্পষ্ট হয়ে ওঠে।

আবার সখীদের সঙ্গে হেসে-খেলে একত্র আনন্দ উপভোগের মধ্য দিয়ে পদ্মার মানবিক গুনের পরিচয় সুস্পষ্ট হয়, যা রানী পদ্মাবতী ও তাঁর সখীদের অচৈতন্য অবস্থায় পেয়ে সেবা শুশ্রূষার মধ্যে দিয়ে প্রান ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা ও সফলতার মধ্য দিয়ে স্পষ্ট বোঝা যায়।

পদ্মাবতী ও সখীদের চেতনা ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টায় পদ্মার ভক্তিপ্রান মানসিকতা ও চিকিৎসা বিদ্যায় পারদর্শিতার বিশেষ গুনও সুস্পষ্ট হয়ে ওঠে। এভাবে পদ্মার নানা গুনের পরিচয় আলোচ্য কাব্যাংশে সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।

 

Click here To Download PDF version of this  সিন্ধুতীরে কবিতার বড়ো প্রশ্নোত্তর

 

Read More সিন্ধুতীরে কবিতার ছোট প্রশ্নোত্তর – মাধ্যমিক বাংলা

 

অবশেষে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সময় করে সিন্ধুতীরে কবিতার বড়ো প্রশ্নোত্তর এর এই পুরো আর্টিকেলটি পড়ার জন্য। এভাবেই চিরদিন আর্টস স্কুল ডট ইন এর পাশে থেকে তোমাদের সাপোর্ট দেখিয়ো যাতে ভবিষ্যতে আমরা সিন্ধুতীরে কবিতার বড়ো প্রশ্নোত্তর এর মতো আরো Study material তোমাদের সামনে তুলে ধরতে পারি এবং তোমরা সেগুলো পড়ে নিজের জ্ঞানের ভাণ্ডারকে করে তুলতে পারো আরো সমৃদ্ধ।

 

বিঃ দ্রঃ সিন্ধুতীরে কবিতার বড়ো প্রশ্নোত্তর দুটি তৈরি করা হয়েছে কিছু অভিজ্ঞ শিক্ষকের পরামর্শে এবং সাথে পাঠ্য বইয়ের সাহায্য ও নেওয়া হয়েছে। যদিও শিক্ষকদের কাছ থেকে পরামর্শ নেওয়া হয়েছে কিন্তু কোনো প্রকাশকের সাথে যোগাযোগ করা সম্বভ হয়ে ওঠেনি। তাই সিন্ধুতীরে কবিতার বড়ো প্রশ্নোত্তর দুটি নিয়ে আপনাদের কারো যদি কোনরকম সমস্যা হয়ে থাকে, আমাদের জানান [email protected] এই ঠিকানায় ইমেল করে। 

Comments 1

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!