Menu

এভাবে মেডেল জেতায় আনন্দ নেই

এভাবে মেডেল জেতায় আনন্দ নেই – উক্তিটির বক্তা কে? তার এমন কথা বলার কারণ কী?

অথবা

তোমার লাস্ট ফরটি মিটার আমি ভুলবো না – উক্তিটি কার? প্রসঙ্গ সহ বক্তব্যটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো।

 

এভাবে মেডেল জেতায় আনন্দ নেই / তোমার লাস্ট ফরটি মিটার আমি ভুলবো না; প্রস্নে করা উক্তিটি মতি নন্দীর রচিত উপন্যাস ‘কোনি’-তে করেছেন এই উপন্যাসের একজন নীতিবাদী চরিত্র হিয়া মিত্রের বাবা। হিয়া প্রতিযোগিতায় মেডেল পায়; কিন্তু কোনিকে নিকৃষ্ট চক্রান্তে হারানো হয়েছিল বলেই তার এই মেডেল প্রাপ্তি। আর এই জাতীয় অনৈতিক ঘটনা মেনে নিতে পারেনটি বক্তা।

এভাবে মেডেল জেতায় আনন্দ নেই তোমার লাস্ট ফরটি মিটার আমি ভুলবো না
এভাবে মেডেল জেতায় আনন্দ নেই / তোমার লাস্ট ফরটি মিটার আমি ভুলবো না

পুরো উপন্যাসটিতে জুপিটার ক্লাবে বিভিন্ন কারনে – অকারণে ক্ষিতীশের একটা বিরোধী গোষ্ঠী ছিল। তারা সবসময় সক্রিয়তায় ক্ষিতীশকে অপদস্ত করতে উৎসাহী থাকতো, তাই ক্ষিতীশের প্রশিক্ষণে থাকার জন্য কোনির উপরও তারা আক্রমণ শানিয়ে তোলে।

তাদের চক্রান্ত বা আক্রমণের কয়েকটি নমুনা এখানে তুলে ধরা হল –

১. স্টেট চ্যাম্পিয়ানশিপে তারা দু-দুবার কোনিকে অন্যায় ভাবে ডিসকোয়ালিফাই করে।

২. একবার প্রথম হয়েও তাদের ষড়যন্ত্রে কোনিকে দ্বিতীয় স্থানে চলে যেতে হয়।

৩. ব্রেস্ট স্ট্রোকে একশো মিটারে কোনির প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছিল মূলত হিয়ার সঙ্গে। কোনি ও হিয়া একই সঙ্গে পঞ্চাশ মিটার থেকে টার্ন নেয়। কিন্তু সঙ্গে সঙ্গেই টাইমকিপার বদু চাটুজ্জে লাল ফ্লাগ নাড়িয়ে কোনিকে অদ্ভুত অজুহাতে ডিসকোয়ালিফাই করে।

৪. এরপর ফ্রি-স্টাইলে কোনি সাঁতার শেষ করে ফিনিশিং বোর্ড ছুয়ে মুখ ঘুরিয়ে দেখে, অমিয়া জাস্ট হাত ছোঁয়াল, কিন্তু প্রথম হিসেবে অমিয়ার নাম ঘোষিত হলো। ক্ষিতীশের প্রতিবাদ গ্রাহ্যই হলো না।

৫. দুশো মিটার ব্যক্তিগত মেডেল ইভেন্টে কোনি বাটারফ্লাই তে হিয়া ও অমিয়ার কাছে পিছিয়ে পড়লেও যখন ব্যাক স্ট্রোকে অমিয়াকে ধরে ফেলে টার্ন নেয়, তখনই যোগেশ্বর লাল ফ্লাগ ওঠায়। ফলটি টার্ন নেওয়ার মিথ্যে অপরাধে কোনিকে ডিসকোয়ালিফাই করা হয়। মিথ্যে; কেননা কোনির টার্ন নেওয়ার আগেই যোগেশ্বর ফ্ল্যাগ তুলেছিল।

এই ঘটনা গুলি যে ঘৃণ্য, নিকৃষ্ট চক্রান্তের প্রতিফলন, তা শুধু কোনি বা ক্ষিতীশের চোখে পড়েনি, অনেকের চোখেই পড়েছিল। এই অনেকের মধ্যে একজন হলেন হিয়ার বাবা। তার মেয়ে জয়ী হলেও সেই অন্যায়কৃত গৌরবকে তিনি মেনে নিতে পারেননি তাই তো তিনি বলেছেন – এভাবে মেডেল জেতায় আনন্দ নেই। কারণ তার মধ্যে নৈতিকতা ও খেলোয়াড় সুলভ আদর্শ পূর্ন মাত্রায় ছিল। তাই প্রকৃত জয়ীকে উৎসাহ ব্যঞ্জক মর্যাদা দিতে তিনি কুণ্ঠা বোধ করেননি বলেই কোনিকে বলেছিলেন – তোমার লাস্ট ফরটি মিটারস আমি ভুলবো না।

 

Read More রমা যোশির সোনা কুড়ানো বন্ধ করা ছাড়া আমার আর কোনো স্বার্থ নেই – মন্তব্যের মাধ্যমে বক্তার চরিত্র বিশ্লেষণ করো।

 

অবশেষে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সময় করে WBBSE board এর দশম শ্রেণী বা মাধ্যমিক সিলেবাসের অন্তর্গত এভাবে মেডেল জেতায় আনন্দ নেই – উক্তিটির বক্তা কে? তার এমন কথা বলার কারণ কী? এর এই আর্টিকেলটি পড়ার জন্য, আর এভাবেই আর্টস স্কুল ডট ইন এর পাশে থেকে তোমাদের সাপোর্ট দেখিয়ো যাতে ভবিষ্যতে আমরা আরো গুরুত্বপূর্ণ নোটস গুলি তোমাদের সামনে তুলে ধরতে পারি।

 

বিঃদ্রঃ এভাবে মেডেল জেতায় আনন্দ নেই – উক্তিটির বক্তা কে? তার এমন কথা বলার কারণ কী? এই আর্টিকেলটি তৈরি করা হয়েছে কিছু শিক্ষক এর পরামর্শে এবং তার সাথে কিছু বইয়ের ও সাহায্য নেওয়া হয়েছে। তাই এই আর্টিকেলটি নিয়ে আপনাদের কারো যদি কোনো সমস্যা থেকে থাকে তবে আমাদের ইমেল করুন [email protected] এই ঠিকানায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!