চন্দ্র শেখর আজাদ – এক বিপ্লবীর অমর কাহিনী 🇮🇳
🔥 পরিচয়
ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে যাঁদের নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে, তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন চন্দ্র শেখর আজাদ। তিনি ছিলেন এক বীর বিপ্লবী, যিনি ব্রিটিশ শাসকদের বিরুদ্ধে অস্ত্র তুলে নিয়েছিলেন এবং শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত দেশের জন্য লড়াই করেছিলেন।
🧒 শৈশব ও জন্ম
- জন্ম: ২৩ জুলাই, ১৯০৬
- জন্মস্থান: ভাওরা গ্রাম, বর্তমান মধ্যপ্রদেশ
- পিতা: সত্যনারায়ণ তেওয়ারি
- মাতা: জগরানী দেবী
চন্দ্র শেখরের প্রকৃত নাম ছিল চন্দ্র শেখর তেওয়ারি। ছোটবেলা থেকেই সাহস ও আত্মসম্মান ছিল তাঁর স্বভাবের অঙ্গ।
💥 স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশগ্রহণ
মাত্র ১৫ বছর বয়সে তিনি ১৯২১ সালের অসহযোগ আন্দোলনে যোগ দেন এবং পুলিশের হাতে ধরা পড়েন। আদালতে নিজের নাম বলেছিলেন:
“আজাদ”, বাবার নাম “স্বাধীনতা”, ঠিকানা “জেলখানা”
এই ঘটনাই তাঁর নাম করে দেয় চন্দ্র শেখর আজাদ।
⚔️ বিপ্লবী কার্যকলাপ
তিনি হিন্দুস্থান সোশ্যালিস্ট রিপাবলিকান অ্যাসোসিয়েশন (HSRA)-এর সক্রিয় সদস্য হন।
উল্লেখযোগ্য কার্যকলাপ:
- কাকোরি ট্রেন ডাকাতি (১৯২৫)
- স্যন্ডার্স হত্যা (১৯২৮)
- ভগৎ সিং, রাজগুরু, সুখদেবের সঙ্গে বিপ্লবী পরিকল্পনা
🕊️ শহিদ হন
২৭ ফেব্রুয়ারি, ১৯৩১ সালে আলফ্রেড পার্ক, এলাহাবাদ-এ পুলিশের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে আত্মবলিদান দেন।
তাঁর শেষ গুলিটি নিজেই নিজের কপালে চালিয়ে দেন কারণ তিনি বলেছিলেন:
“আমি কখনও ব্রিটিশ পুলিশের হাতে ধরা পড়ব না। আমি আজাদ ছিলাম, আজাদ থাকব!”
🏵️ চিরস্মরণীয় আজাদ
- আজাদ পার্ক, এলাহাবাদ
- চন্দ্র শেখর আজাদ বিশ্ববিদ্যালয়, কানপুর
- তাঁর নামে বিভিন্ন মূর্তি ও স্মৃতিস্তম্ভ
📚 শিক্ষার্থীদের জন্য বার্তা
চন্দ্র শেখর আজাদ আমাদের শেখান—
- আত্মসম্মান বিসর্জন দেওয়া যায় না
- দেশপ্রেম প্রমাণ হয় কাজ দিয়ে
- একজন সাহসী মানুষও ইতিহাস বদলাতে পারে
🔍 তথ্যসূত্র
- NCERT ইতিহাস বই
- WBBSE পাঠ্যক্রম
- ভারত সরকারের জাতীয় সংগ্রহালয়
📌 উপসংহার
চন্দ্র শেখর আজাদ ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের দীপ্তিমান তারকা। তাঁর সাহস ও ত্যাগ আজও আমাদের অনুপ্রেরণা দেয়।