Menu

নদীর বিভিন্ন কাজ দ্বারা সৃষ্ট ভূমিরূপ-মাধ্যমিক ভূগোল

নদীর বিভিন্ন কাজ দ্বারা সৃষ্ট ভূমিরূপ;  সামনেই পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ দ্বারা পরিচালিত মাধ্যমিক 2023 পরীক্ষা হতে চলেছে,  তাই এই মুহূর্তে  শুধুই রিভাইস এবং গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর গুলি আমাদের পড়া দরকার,  তাই আজকে তোমরা যারা মাধ্যমিক পরীক্ষা দেবে তাদের জন্য নিয়ে এসেছি নদীর বিভিন্ন কাজ দ্বারা সৃষ্ট ভূমিরূপ অংশ থেকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর যেগুলো তোমাদের আগামী মাধ্যমিক ২০২৩  এর জন্য বিশেষ উপযোগী হবে। 

MADHYAMIK 2023 – GEOGRAPHY

নদীর বিভিন্ন কাজ দ্বারা সৃষ্ট ভূমিরূপ

বহু বিকল্প ভিত্তিক উত্তর ধর্মী প্রশ্ন-

১)  পৃথিবীর বৃহত্তম নদী অববাহিকা হল-

ক) নীলনদ খ)  আমাজন গ)  গঙ্গা ঘ) কঙ্গো।

২)  পৃথিবীর দীর্ঘতম নদী হল-

ক)  কঙ্গো খ)  গঙ্গা গ)  নাইজার ঘ)  নীল।

৩)  পৃথিবীর উচ্চতম জলপ্রপাত টি হল-

ক)  বোয়োমা খ)  নায়াগ্রা গ)  সাল্টো এঞ্জেল ঘ)  ভিক্টোরিয়া।

৪)  পৃথিবীর গভীরতম ক্যানিয়ন হল-

ক)  গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন খ)  ইচাং গ) এল ক্যানন দ্য কলকা ঘ) ইলহা দা মারাজো।

৫)  ভারতের উচ্চতম জলপ্রপাত হল-

ক)  হুড্রু খ)  ধুয়াধার গ)  যোগ ঘ)  কুঞ্চিকল।

৬)  নিউমুর দ্বীপ টি যে নদীর মোহনায় অবস্থিত সেটি হল-

ক)  গঙ্গা খ)  পদ্মা গ)  রূপনারায়ন ঘ)  হাড়িয়াভাঙ্গা।

৭)  পৃথিবীর বৃহত্তম নদী গঠিত দ্বীপ কোনটি-

ক)  মাজুলী খ)  সাগরদ্বীপ গ) ইলহা দা মারাজো ঘ)  কাকদ্বীপ।

৮)  একটি কাসপেট বদ্বীপ এর উদাহরণ হল-

ক)  গঙ্গা নদীর বদ্বীপ খ)  মিসিসিপি নদীর বদ্বীপ গ)  তাইবার নদীর বদ্বীপ ঘ)  রাইন নদীর বদ্বীপ।

৯)  অপেক্ষাকৃত কম ঢাল যুক্ত ছোট ছোট জলপ্রপাতকে বলা হয়-

ক)  কাসকেড খ)  ক্যাটারাক্ট গ)  র‍্যাপিড ঘ)  কোনোটিই নয়।

১০)   পলল শঙ্কু  বা পলল ব্যজনী গড়ে ওঠে নদীর-

ক)  পার্বত্য প্রবাহে খ)  পর্বতের পাদদেশে গ)  সমভূমিতে ঘ)  বদ্বীপ অঞ্চলে।

উত্তরঃ ১)  আমাজন ২)  নীল ৩)  সালটো এঞ্জেল ৪)  গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন ৫)  কুঞ্চিকল ৬)  হাড়িয়াভাঙ্গা ৭) ইলহা দা মারাজো ৮) র‍্যাপিড ৯)  তাইবার নদীর বদ্বীপ ১০)  পর্বতের পাদদেশে।

 উপযুক্ত শব্দ বসিয়ে শূন্যস্থান পূরণ করো-

১)  নদীর উৎস অঞ্চলের অববাহিকা কে –  ধারণ অববাহিকা –  বলা হয়ে থাকে।

২)  নদীর আঁকাবাঁকা গতিপথ কে – মিয়েন্ডার-  বলা হয়ে থাকে।

৩)  নদীর মোহনা খুব প্রসস্থ হলে তাকে –  খাড়ি বলা হয়।

৪)  গাঙ্গেয় বদ্বীপ এর আকৃতি–  ধনুকের –  মতো।

৫)  সেন্ট লরেন্স নদীর গতিপথে বিখ্যাত জলপ্রপাত টি হল-  নায়াগ্রা।

৬)  আমাজন –  নদী পৃথিবীর সর্বাধিক জল বহন করে থাকে।

৭)  জলপ্রপাতের নিচে সৃষ্ট গর্ত কে – প্লাঞ্জপুল বা  প্রপাত কূপ  বলা হয়।

৮)  নদীর ক্ষয় কার্যের ফলে সৃষ্ট ইংরেজি V  আকৃতির উপত্যাকাকে – গিরিখাত বলে। 

৯)  নদীর ক্ষয় কার্যের ফলে সৃষ্ট ইংরেজি ‘I’ আকৃতির উপত্যকা কে –  ক্যানিয়ন বলে।

১০)  মাজুলী –  হল ভারতের বৃহত্তম নদী গঠিত  চর  বা দ্বীপ।

 দুই-এক কথায় উত্তর দাও-

১)  পৃথিবীর সুদৃশ্য জলপ্রপাত এর নাম কি?

 উত্তরঃ  পৃথিবীর সুদৃশ্য জলপ্রপাত টি হল নায়াগ্রা।

২)  পৃথিবীর বৃহত্তম ব-দ্বীপ কোনটি?

 উত্তরঃ পৃথিবীর বৃহত্তম  ব-দ্বীপ টি হল গঙ্গা ব্রহ্মপুত্র নদীর বদ্বীপ।

৩)  একটি পাখির পায়ের মতো বদ্বীপ এর নাম লেখ?

 উত্তরঃ  মিসিসিপি নদীর বদ্বীপ এর আকৃতি পাখির পায়ের মতো।

৪)  একটি ধনুকাকৃতি ব-দ্বীপ এর নাম লেখ?

 উত্তরঃ নীল নদের বদ্বীপ হলো একটি ধনুকাকৃতি ব-দ্বীপ এর উদাহরণ।

৫)  একটি আদর্শ নদীর উদাহরণ দাও?

 উত্তরঃ ভারতের গঙ্গা হল একটি প্রকৃত আদর্শ নদীর উদাহরণ।

৬)  দুটি নদী অববাহিকার মধ্যবর্তী উচ্চভূমি কে কি বলা হয়?

 উত্তরঃ  দুটি নদীর অববাহিকা মধ্যবর্তী উচ্চভূমি কে জলবিভাজিকা বলে।

৭)  দুটি নদীর মধ্যবর্তী ভূমিকে কি বলে?

 উত্তরঃ  দুটি নদীর মধ্যবর্তী ভূমিকে বলা হয় দোয়াব।

৮)  নদীর জলের উচ্চতা হ্রাস বৃদ্ধি কে কি বলে?

 উত্তরঃ  নদীর  জলের  উচ্চতা  হ্রাস বৃদ্ধি কে  বলা হয়  নদী বর্তন।

৯)  কোন নদীর মোহনায় পৃথিবীর দীর্ঘতম খাঁড়ি দেখা যায়?

 উত্তরঃ ওব  নদীর মোহনায়  পৃথিবীর দীর্ঘতম খাঁড়ি দেখা যায়।

১০)  নদীর ক্ষয়কার্যের শেষ সীমা কি?

 উত্তরঃ  নদীর ক্ষয় কার্যের শেষ সীমা হলো  সমুদ্রপৃষ্ঠ।

 সংক্ষিপ্ত উত্তর ধর্মী প্রশ্ন-

১)  গিরিখাত কি অথবা গিরিখাত কাকে বলে?

 উত্তরঃ  উচ্চ পার্বত্য অঞ্চলে ভূমির ঢাল খুব বেশি থাকে বলে নদী প্রবল বেগে নিচে নামতে থাকে এবং ক্ষমতা ও তখন অধিক হয়,  এই সময় নদীর প্রবল স্রোতের আঘাতে সবচেয়ে বেশি  নিম্ন  ক্ষয়  ও সামান্য পার্শবক্ষয়ের  দ্বারা  নদী উপত্যকা সংকীর্ণ ও গভীর হয় এবং ইংরেজি V  অক্ষরের মতো গভীর ক্ষতের সৃষ্টি হয়।  একে গিরিখাত বা গিরিসংকট বলা হয়ে থাকে।  পেরু রাষ্ট্রের  কলকা নদীর  এল ক্যানন দ্য কলকা  হল পৃথিবীর গভীরতম গিরিখাত।

২)  ক্যানিয়ন কি অথবা ক্যানিয়ন কাকে বলে?

 উত্তরঃ  শুষ্ক মরুভূমি অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের অভাবে পার্শবক্ষয় একেবারেই হয় না  বলে শুধুমাত্র  নিম্নে ক্ষয়ের দ্বারা  শিলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত নদীগুলি  আরো গভীর ও সংকীর্ণ উপত্যকা সৃষ্টি করে।  এই ইংরেজি I  অক্ষরের মতো গভীর গিরিখাত কে  ক্যানিয়ন বলা হয়।  আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডো নদীর গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন পৃথিবীর বৃহত্তম ক্যানিয়ন।

৩) পলল শঙ্কু কি  অথবা পলল শঙ্কু কাকে বলা হয়?

 উত্তরঃ  উচ্চ পার্বত্য অঞ্চল থেকে নদী যখন সমভূমিতে নেমে আসে তখন ভূমির ঢাল হঠাৎ করে কমে যায় এবং নদীর বহন ক্ষমতা কমে যায়।  এর ফলে পর্বতের পাদদেশে নদীবাহিত নানা আকৃতির নুরী,  বালি,  কাদা প্রভৃতি সঞ্চিত হয়ে  যে ত্রিকোণাকার হাত পাখার মত ভূভাগ গঠন করে,  তাকে পলল শঙ্কু বা পলল পাখা বলা হয়।

৪)  মন্থকূপ কি  অথবা মন্থকূপ কাকে বলা হয়?

 উত্তরঃ  নদীর পার্বত্য প্রবাহে নদী খাতের তলদেশে  বর্তুলাকার যে গর্তের সৃষ্টি হয়  তাকে মন্থকূপ  বা পটহোল বলে।  নদীর অবঘর্ষন  এবং  বুদবুদ জনিত ক্ষয়ের এর প্রভাবে সৃষ্টি হয়।  গঙ্গা নদীর উচ্চ প্রবাহ মন্থকূপ দেখা যায়।

৫) জলপ্রপাত বলতে কী বোঝ?  অথবা জলপ্রপাত কাকে বলে?

 উত্তরঃ  নদীর পার্বত্য প্রবাহে ঢালের তারতম্যের কারণে নদীর  জলরাশি উপর থেকে নিচে সবেগে আছড়ে পড়লে তাকে জলপ্রপাত বলে।

৬)  প্রপাত কূপ কি অথবা প্রপাত কূপ কাকে বলা হয়?

উত্তরঃ  জলপ্রপাতের তলদেশে যেখানে জলস্রোতের সঙ্গে উত্তরখণ্ডে প্রবল বেগে এসে পড়ে সেখানে প্রচন্ড আঘাতে  বিশাল আকার হাঁড়ির মতো দেখতে  গর্তের সৃষ্টি হয়,  যেগুলিকে প্রপাত কূপ  বা প্লাঞ্জপুল  বলা হয়।

৭)  মিয়েন্ডার কি  অথবা মিয়েন্ডার কাকে বলা হয়?.

 উত্তরঃ  নদী যখন সমভূমি অঞ্চলে প্রবেশ করে তখন ভূমির ঢাল কম বলে নদীর স্রোতের বেগ কমে যায়।  তখন নদীর গতিপথে কোন বাধা বা কঠিন শিলা স্তর অবস্থান করলে তাকে এড়িয়ে নদী আকাবাকা পথে অতি মন্থরগতিতে প্রবাহিত হয়।  সমভূমি প্রবাহে নদীর আঁকাবাঁকা গতিপথ কে নদী বাঁক বা মিয়েন্ডার বলা হয়ে থাকে।  তুরস্কের মিয়েন্ড্রাস নদীর নামানুসারে এর নামকরণ করা হয়েছে।

৮)  খাঁড়ি কি অথবা খাঁড়ি কাকে বলে?

 উত্তরঃ নদীর মোহনা খুব প্রসস্থ বা ফানেল আকৃতির হলে,  তাকে খাঁড়ি বলে।  সাধারণত নদী মোহনায় বিপরীত দিক থেকে আসা প্রবল জোয়ারের লবণাক্ত জল ঢুকে পড়ে এবং সমুদ্র থেকে স্থলভাগের দিকে ফানেল আকৃতির  যে  নালা  বা নদী খাতের সৃষ্টি করে,  তাকেই খাঁড়ি বলে।  ওব নদীর মোহনায় গঠিত পৃথিবীর দীর্ঘতম খাঁড়ি।

৯)  প্লাবনভূমি কি বা প্লাবনভূমি কাকে বলে?

 উত্তরঃ বর্ষাকালে নদীর জল বেড়ে যায় ও দুকুল ছাপিয়ে বন্যার সৃষ্টি করে।  নদী উপত্যকার নিচু জমিতে বন্যার জল ঢুকে পড়ে ও পরে বন্যার জল সরে গেলে সেখানে নদীবাহিত পলি পড়ে থাকে।  এভাবে বন্যার ফলে বছরের-পর-বছর পলি সঞ্চিত হয়ে যে নতুন ভূ-ভাগ  গঠন করে,  তাকে প্লাবনভূমি বলে।

১০)  স্বাভাবিক বাধ বলতে কী বোঝো? 

 উত্তরঃ  নদীর নিম্ন গতিপথ দুই তীর  বরাবর নদীবাহিত  পলি ক্রমাগত সঞ্চিত হয় যে অনেকটা উঁচু বাঁধের মতো ভূমিরূপ গঠন করে তাকে স্বাভাবিক বাঁধ বা লেভি  বলা হয়ে থাকে।

১১)  নদী মঞ্চ কি?  অথবা নদী মঞ্চ কাকে বলে?

 উত্তরঃ নদী যখন ঊর্ধ্বগতি পথের  শেষভাগে এবং  মধ্য গতিপথের প্রথমভাগে প্রবেশ করে  তখন নদীর গতি বেগ কমে যায়।  এই স্থানে নদীবাহিত নুরী,  বালি, কাঁকড়  প্রভৃতি সঞ্চিত হয়ে,  অসমান ধাপের সৃষ্টি করে,  নদী উপত্যকায় গঠিত এ ধরনের  বিস্তীর্ণ সিঁড়ির মত ধাপকে  নদী মঞ্চ বলা হয়।

১২)  অশ্বখুরাকৃতি হ্রদ বলতে কী বোঝো?

 উত্তরঃ  নিম্ন প্রবাহে  দুটি  নদী বাঁক  পরস্পরের নিকটবর্তী হলে  নদী পুরনো খাত ছেরে  নতুন খাতে প্রবাহিত হয়।  পুরনো  খাতটি ঘোড়ার খুরের মত দেখতে হয় বলে একে অশ্বখুরাকৃতি হ্রদ বলা হয়।

১৩)  নদী গ্রাস কি?

 উত্তরঃ  কোন জলবিভাজিকার  দুই ঢাল থেকে  উৎপন্ন পরবর্তী নদী  দুপাশের অনুগামী নদীতে এসে মিলিত হলে  যে পরবর্তী নদী বেশি শক্তিশালী সেটি মুখের দিকে দ্রুত করে।  এইভাবে  জলবিভাজিকার অন্যদিকে  অবস্থিত অপেক্ষাকৃত দুর্বল পরবর্তী নদীর মধ্য দিয়ে অন্য  অনুগামী  নদীটিকে যখন  শক্তিশালী নদীটি  অধিগ্রহণ বা গ্রাস করে তাকে নদী গ্রাস বলা হয়।

১৪)  নিক পয়েন্ট কি? 

ভূ আলোড়ন এর ফলে নদী পথের উত্থান হয় অথবা সমুদ্র দূরে সরে যাওয়ায় নদীর পুনর্যৌবন লাভ ঘটে।  এক্ষেত্রে একটি সামঞ্জস্যপূর্ণ গতিপথ সৃষ্টির জন্য একটি নতুন নদীখাতের সৃষ্টি করে।  যেখানে পুরনো নদীর সঙ্গে মিলিত হয়,  অর্থাৎ যে বিন্দুতে পুরনো ও নতুন  ঢালের সংযোগ ঘটে  সেই বিন্দুকে নিক বিন্দু বা নিক পয়েন্ট বলে।  ভূ-প্রকৃতিগত পার্থক্যের কারণে এই স্থানে জলপ্রপাত সৃষ্টি হয়।

১৫)  আদর্শ নদী কাকে বলে? 

 উত্তরঃ  সাধারণত যে নদীর উচ্চ প্রবাহ  বা পার্বত্য প্রবাহ,   মধ্য বা সমভূমি প্রবাহ ও  নিম্ন  বা  বদ্বীপ প্রবাহ  এই তিনটি প্রবাহই  সু-স্পষ্টভাবে দেখা যায়  তাকে আদর্শ নদী বলে।  যেমন ভারতের গঙ্গা  একটি প্রকৃত আদর্শ নদীর উদাহরণ।

১৬)  ষষ্ঠ ঘাতের সূত্র কি?

 উত্তর:  নদীর গতিবেগ বৃদ্ধি জনিত কারণে বহন ক্ষমতা সেই অনুপাতে বেড়ে যায়।  সাধারণভাবে নদীর গতিবেগ দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেলে তার বহন ক্ষমতা 64 গুন বেড়ে যায়।  নদীর গতি বেগ ও বহন ক্ষমতা বৃদ্ধির সূত্র কে ষষ্ঠ ঘাতের সূত্র বলা হয়।

১৭)  জলবিভাজিকা বলতে কী বোঝো?

 উত্তরঃ  পাশাপাশি অবস্থিত দুটি নদী অববাহিকা কে যে উচ্চভূমি পৃথক করে রাখে,  তাকে জলবিভাজিকা বলে।  সাধারণত ভূপৃষ্ঠের পর্বত ও মালভূমি গুলি  জলবিভাজিকা হিসেবে ভূপৃষ্ঠে বিরাজ করে।  যেমন-  এশিয়া মহাদেশের মধ্যভাগে উচ্চ পার্বত্য অঞ্চল উচ্চভূমি পৃথিবীর বৃহত্তম জলবিভাজিকা।

১৮)  ধারণ অববাহিকা কাকে বলে?

 উত্তরঃ  নদীর উৎস অঞ্চলের  অববাহিকা কে ধারণ অববাহিকা বলা হয়।  উৎস অঞ্চলের বিভিন্ন স্থান থেকে আগত বিভিন্ন ধারা যখন প্রধান নদীর সঙ্গে মিলিত হয় মূল নদীর জলধারা বৃদ্ধি করে,  তখন নদীর  সেই উৎস অঞ্চলের অববাহিকা কে  ধারণ অববাহিকা বলা হয়ে থাকে।  এটি সাধারণত নদীর উচ্চ প্রবাহে দেখা যায়।.

১৯)  নদী অববাহিকা কাকে বলে?

 উত্তর:  সাধারণত প্রধান নদী তার উপনদী ও শাখানদী নিয়ে যে অঞ্চলের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়,  সেই অঞ্চলকে নদী অববাহিকা বলে।  এই অঞ্চলের  ওপর দিয়ে প্রবাহিত অন্যান্য উপনদী ও শাখা নদীর বাহিত জল,  ওই নির্দিষ্ট অঞ্চলের   ধুয়ে আসা জল,  এবং বৃষ্টি ও বরফ গলা জল বহন করে  যে অঞ্চল,  সেই অঞ্চল কে নদী অববাহিকা বলে।  দক্ষিণ আমেরিকার আমাজন নদী অববাহিকা পৃথিবীর বৃহত্তম নদী অববাহিকা।

২০)  পর্যায়িত নদী কি?

 উত্তরঃ নদী তার গতিপথের ক্ষয় বহন ও অবক্ষেপণ কাজের মাধ্যমে সব রকমের অসঙ্গতি দূর করে শেষ পর্যন্ত পরিণত পর্যায় একটি সংগতি বা সামঞ্জস্যপূর্ণ ঢাল সৃষ্টি করে।  নদীর এই ঢালকে পর্যায়িত ঢাল  এবং এই ঢালে প্রবাহিত নদী কে পর্যায়িত নদী বলে।

*** আমাদের আজকের এই নদীর বিভিন্ন কাজ দ্বারা সৃষ্ট ভূমিরূপ প্রশ্নোত্তর গুলিকে PDF আকারে Download করতে নীচে দেওয়া লিংকে ক্লিক করুন – 

To Download The PDF Click Here
artsschool.in

আরো পড়ুনঃ Madhyamik Bengali Test Paper page 09 Answer 2023

Read more: Madhyamik History Test Paper page 50 Answer মাধ্যমিক টেস্ট পেপার ইতিহাস বিষয়ের  ৫০ নম্বর পেজের সমস্ত ছোট প্রশ্নোত্তর।

Read More: Madhyamik Geography Test Paper page 56 Answer মাধ্যমিক টেস্ট পেপার  ভূগোলের ৫৬ নম্বর পেজের সমস্ত ছোট প্রশ্নোত্তর।

বিঃ দ্রঃ নদীর বিভিন্ন কাজ দ্বারা সৃষ্ট ভূমিরূপ, আমাদের আজকের আর্টস স্কুল ডট ইন এর এই  আর্টিকেলের এই প্রশ্নোত্তরগুলো তৈরি করতে আমাদের কিছু পাঠ্যবইয়ের সাহায্য নিতে হয়েছে,  তাই  মাধ্যমিক ভূগোল সিলেবাস এর অন্তর্গত  নদীর বিভিন্ন কাজ দ্বারা সৃষ্ট ভূমিরূপ এর প্রশ্ন উত্তর গুলো নিয়ে আপনাদের কারো যদি কোন রকম সমস্যা থেকে থাকে তাহলে নির্দ্বিধায় আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন আমরা আপনার সমস্যা দূরীকরণে যথাসাধ্য চেষ্টা করবো।  ধন্যবাদ। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!