Menu

নরেন্দ্রকে দেখে শ্রীরামকৃষ্ণের মনোভাব এর পরিচয় দাও

নরেন্দ্রকে দেখে শ্রীরামকৃষ্ণের মনোভাব ; www.artsschool.in  এর আজকের এই আর্টিকেলে  আমরা তোমাদের জন্য নিয়ে এসেছি  পশ্চিমবঙ্গ উচ্চ শিক্ষা পরিষদের WBCHSE একাদশ শ্রেণির  সংস্কৃত সিলেবাস এর অন্তর্গত  ভারতবিবেকম অধ্যায়ের  একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন এবং তার উত্তর;  যা কিনা  নরেন্দ্রকে দেখে শ্রীরামকৃষ্ণের মনোভাব এর পরিচয় দাও। যারা তোমাদের আগামী বার্ষিক পরীক্ষার জন্য বিশেষভাবে সহায়ক হবে।  তাহলে চলো দেখে নেওয়া যাক –

প্রশ্নঃ নরেন্দ্রকে দেখে শ্রীরামকৃষ্ণের মনোভাব এর পরিচয় দাও.

উত্তরঃ শ্রী যতীন্দ্র বিমল চৌধুরী রচিত  ‘ভারতবিবেকম’  নাটকের প্রথম দৃশ্য এর অন্তর্গত একটি অংশের নাম হল –  শ্রীরামকৃষ্ণেন সহ শ্রী নরেন্দ্রস্য  সাক্ষাৎকারঃ।  আর এই সাক্ষাৎকার এর পূর্বে এবং পরে শ্রীরামকৃষ্ণের কিছু চিত্তবৃত্তির প্রকাশ লক্ষ্য করা যায়।

যুগাবতার শ্রীরামকৃষ্ণ মা ভবতারিণীর কাছে শিবের  ন্যায় উত্তর সাধক প্রার্থনা করেন  আর এই প্রার্থনা এতই প্রবল ছিল যে  তা পরবর্তীকালে ব্যাকুলতায় পরিণত হয়।  সুরেন্দ্রনাথ এর  গৃহে  উপস্থিত হয়ে  শ্রী রামকৃষ্ণ দেব  তার  এই উদ্বেগ  নাশের  জন্য  শ্যামা সঙ্গীত শুনতে আগ্রহী হয়ে ওঠেন এবং সেই মুহূর্তে  সুরেন্দ্রনাথ কে জিজ্ঞাসা করেন যে,  এমন কোনো যুবক আছে কিনা?  যে এই শ্যামা সঙ্গীত এ নিপুণ এবং শ্রীরামকৃষ্ণকে তার সংগীতের মাধ্যমে শান্ত করতে পারবেন।

শ্রী রামকৃষ্ণ ঠাকুরের এই রকম  আবদার পূরণের জন্যই সুরেন্দ্রনাথ নরেন্দ্রকে অর্থাৎ স্বামী বিবেকানন্দকে যদিও তখন তিনি নরেন্দ্র নামেই পরিচিত ছিলেন,  ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের  নিকট  এনে উপস্থিত করেন  এবং সেই শুভক্ষণে নরেন্দ্র কে দর্শন মাত্রই (শ্রীরামকৃষ্ণ) তার মনে বিবিধ প্রকারভাবে ভাবে  উদ্রেক ঘটে।

নরেন্দ্রকে দেখে শ্রীরামকৃষ্ণের মনোভাব এর পরিচয় দাও
নরেন্দ্রকে দেখে শ্রীরামকৃষ্ণের মনোভাব এর পরিচয় দাও

শ্রীরামকৃষ্ণ অত্যন্ত মনোযোগ সহকারে নরেন্দ্র কে পর্যবেক্ষণ করেন।  নরেন্দ্রনাথ এর মাথা নরম কোকড়ানো চুলে সুসজ্জিত। চোখ দুটি তার আকর্ণ বিস্তৃত।  প্রশস্ত বক্ষদেশ এবং  হাতির শুঁড়ের  ন্যায়  লম্বা ছিল তার বাহু দুটি।  নরেন্দ্র নাথ এর এইরূপ দর্শনের পর  ঠাকুর  শ্রী রামকৃষ্ণের মনে  বিবিধ ভাবনার উদয় ঘটে,  জাতার স্বর্গত ভাষণের মাধ্যমে জানা যায়।

সমুদ্রের মোহনায় জলস্ফীতি ঘটলে গঙ্গার জল ধরা যেমন প্রবল বেগে প্রবাহিত হয়,  তেমনি নরেন্দ্রর রূপ  সমুদ্রের  জলস্ফীতির  প্রভাবে রামকৃষ্ণদেবের হৃদয়  নদী  সগর্জনে প্রবাহিত হতে শুরু করে।  তার চিত্ত নৃত্যরত হয়।  নর্ট যেমন নৃত্য চঞ্চল তেমনি তার চিত্তও  চঞ্চল হয়ে ওঠে।  মৃদুমন্দ বাতাসের স্পর্শে বাঁশবন যেমন কম্পিত হয়,  তেমনি নরেন্দ্রর  রূপ মলয় যেন ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের মনস্থিত স্মৃতিকে  গুল্ম দলের নয় চঞ্চল করে তুলেছে।

রামকৃষ্ণদেবের নয়নে শিবের নাই উত্তর সাধক দর্শনের যে দীর্ঘ তৃষ্ণা ছিল,  তা নরেন্দ্রকে দর্শনের পর সম্পূর্ণরূপে নিবারিত হয়। অর্থাৎ অবশেষে বহুকাঙ্খিত বিশ্বের কল্যাণকর শিব কে দেখে তিনি এক পরম তৃপ্তিতে আবিষ্ট হয়েছেন এবং মনে মনে পেয়েছেন চরম শান্তি।  নরেন্দ্র কে দেখে এই সকল কথা ভাবতে ভাবতেই শ্রীরামকৃষ্ণের মন অপূর্ব আনন্দের অনুভুতিতে ভরে যায়।

 

আরো পড়ুন – দশকুমারচরিতম সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর একাদশ শ্রেণী

মগধরাজ রাজহংসের চরিত্রের বর্ণনা দাও। 

বিঃ দ্রঃ আমাদের এই ব্লগ   অর্থাৎ www.artsschool.in  এর একাদশ শ্রেণির সংস্কৃত বিষয়ের,  ভারতবিবেকম  অধ্যায়ের  এই গ্রুপ প্রশ্নটি  অর্থাৎ  নরেন্দ্রকে দেখে শ্রীরামকৃষ্ণের মনোভাব এর পরিচয় দাও।  এর উত্তরটি তৈরি করতে আমাদের কিছু রেফারেন্স বইয়ের সাহায্য নিতে হয়েছে।  যদিও এর জন্য আমাদের তরফ থেকে কোনো রকম কোনো প্রকাশকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়ে ওঠেনি।  তাই আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি নিয়ে আপনাদের কারো যদি কোন রকম সমস্যা হয়ে থাকে,  তাহলে আমাদের ইমেইল করুন [email protected]  এই ঠিকানায়.  আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব আপনার সমস্যা দূরীকরণে।  ধন্যবাদ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!