Menu

পরিবারের শিক্ষামূলক কার্যাবলি সংক্ষেপে আলোচনা করো

পরিবারের শিক্ষামূলক কার্যাবলি; আজকের আমাদের এই আর্টিকেলে আমরা দেখতে চলেছি একাদশ শ্রেণীর (ClassXI) শিক্ষাবিজ্ঞান (Education) এর তৃতীয় অধ্যায় শিক্ষার বিভিন্ন রূপ থেকে একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ প্রস্ন পরিবারের শিক্ষামূলক কার্যাবলি, যা তোমাদের আগামী একাদশ শ্রেণীর বার্ষিক পরীক্ষার জন্য বিশেষ ভাবে সহায়ক হবে। আমাদের মতে এই আর্টিকেলটি পুরোপুরি পড়ে নিলে তোমাদের এই প্রশ্নের উত্তরটি নিয়ে আর ভাবতে হবে না।

 

একাদশ শ্রেণী – শিক্ষাবিজ্ঞান – তৃতীয় অধ্যায়

পরিবারের শিক্ষামূলক কার্যাবলি

 

প্রশ্নঃ পরিবারের শিক্ষামূলক কার্যাবলি সংক্ষেপে আলোচনা করো।

 

উত্তরঃ অনিয়ন্ত্রিত শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে শিশুর শিক্ষায় পরিবারের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পরিবার থেকেই শিশুর সামাজিক শিক্ষা শুরু হয়। অন্যকোনো সামাজিক প্রতিষ্ঠান পরিবারের মতো এমন আন্তরীক হয় না। পরিবারের কিছু শিক্ষামূলক কাজ রয়েছে। পরিবারের শিক্ষামূলক কার্যাবলি গুলি হল –

সামাজিক আচরণের শিক্ষা, সাংস্কৃতিক শিক্ষা, সুঅভ্যাস গঠনের শিক্ষা, জ্ঞান অর্জনের শিক্ষা, ঐতিহ্য সংরক্ষণের শিক্ষা, আধ্যাত্মিক ও নৈতিক শিক্ষা ও মূল্যবোধের শিক্ষা।

১) সামাজিক আচরণের শিক্ষাঃ

পরিবার শিশুকে বিভিন্ন ধরনের সামাজিক আচরনের শিক্ষা দেয়। শিশু আচার আচরণ শিখে পৃথিবীতে আসে না। সময়ের সাথে সাথে পরিবারের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্কের মধ্যে দিয়ে শিশু বিভিন্ন আচার আচরণ শিখে ফেলে। তাই বলা যায় সামাজিক আচরনের শিক্ষা শিশু প্রথম পরিবার থেকেই পায়।

২) সাংস্কৃতিক শিক্ষাঃ

পরিবার শিশুর সাংস্কৃতিক চেতনার বিকাশে সহায়তা করে। পরিবারে শিশুর মধ্যে সাংস্কৃতিক গুনাবলির বিকাশ ঘটায়, এর ফলে শিশুর মধ্যে সুস্থ সাংস্কৃতিক বোধ জাগ্রত হয়।

৩) সুঅভ্যাস গঠনের শিক্ষাঃ

পরিবার শিশুকে বিভিন্ন ধরণের সুঅভ্যাস গড়ে তুলতে শেখায়। দৈনন্দিন জৈবিক কাজগুলি যেমন খাদ্যগ্রহণ, নিদ্রা যাওয়া, মলমূত্র ত্যাগ করা, নিজেকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা, ব্যবহারিক জিনিসপত্র গুছিয়ে রাখা ইত্যাদির অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। ওই সুঅভ্যাস গুলি পরবর্তীকালে শিশুকে সুনাগরিক হয়ে উঠতে সহায়তা করে।

৪) জ্ঞান অর্জনের শিক্ষাঃ

পরিবার শিশুকে বিভিন্ন ধরণের জ্ঞানের সাথে পরিচিত করে। তাই বলা যায় জ্ঞান অর্জনের শিক্ষা প্রাথমিক ভাবে পরিবার থেকেই শুরু হয়।

৫) ঐতিহ্য সংরক্ষণের শিক্ষাঃ

পরিবার শিশুকে সামাজিক ঐতিহ্য সম্পর্কে পরিচিত করে এবং সেই ঐতিহ্য সংরক্ষণের শিক্ষা দেয়। পরিবার ওই শিক্ষা দান না করলে বহুক্ষেত্রে শিশুরা ঐতিহ্যের সম্পর্কে অজ্ঞ থেকে যায়।

৬) আধ্যাত্মিক ও নৈতিক শিক্ষাঃ

শিশু কোনো আধ্যাত্মিক চেতনা অথবা ভালোমন্দের বোধ নিয়ে পৃথিবীতে জন্মায় না, পরিবারই শিশুর মধ্যে আধ্যাত্মিক ও নৈতিক চেতনার বিকাশ ঘটায়, শিশুর নিজের অজান্তেই তার পরিবারের আধ্যাত্মিক জ্ঞান লাভ করে থাকে।

৭) মূল্যবোধের শিক্ষাঃ

শিশুর মধ্যে মূল্যবোধ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে ক্ষেত্রে তার পরিবার বিশেষ ভূমিকা পালন করে। পারিবারিক জীবনের বিভিন্ন কাজ ও আরো আচরণের মধ্যে দিয়ে শিশুর মধ্যে মূল্যবোধ গড়ে ওঠে।

উপরিউক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে একথা বলা যায় যে, শিশুর মধ্যে বিভিন্ন ধরণের শিক্ষা মূলক বোধ গঠনে পরিবারের ভূমিকা অনস্বীকার্য। পরিবার সঠিকভাবে এই কাজগুলি করতে না পারলে শিশুর যথাযথ বিকাশ বাধাপ্রাপ্ত হয়। তাই বলা যায় – A good family makes a good child.

 

Read More অনিয়ন্ত্রিত শিক্ষার সীমাবদ্ধতা বা ত্রুটি গুলি সম্পর্কে আলোচনা কর।

 

অবশেষে তোমাকে / আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সময় করে www.artsschool.in এর পরিবারের শিক্ষামূলক কার্যাবলি সংক্ষেপে আলোচনা করো এই আর্টিকেলটি পুরোপুরি পড়ার জন্য। এভাবেই আমাদের এই ব্লগটির পাশে থেকে তোমাদের সাপোর্ট দেখিয়ো যাতে ভবিষ্যতে আমরা আজকের এই প্রশ্নের মতো আরো গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নগুলি উত্তর সহ তোমাদের সামনে উপস্থাপন করতে পারি। আর এই ব্লগটি যদি শিক্ষার জন্য উপযোগী মনে হয় তবে তোমাদের বন্ধু-বান্ধব দের মাঝে সেয়ার করে দিও।

 

বিঃদ্রঃ পরিবারের শিক্ষামূলক কার্যাবলি সংক্ষেপে আলোচনা করো এই প্রশ্নের উত্তরটি তৈরি করতে আমাদের কিছু পাঠ্য বইয়ের সাহায্য  নিতে হয়েছে, তাই আমাদের এই আর্টিকেলটি নিয়ে আপনাদের কারো যদি কোনো সমস্যা বা অভিযোগ থেকে থাকে তবে আমাদের ইমেল করতে ভুলবেন না [email protected] এই ঠিকানায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!