বৃন্দাবন দাসের চৈতন্য ভাগবত; আজকে আমাদের আর্টিকেলের আলোচনার বিষয় তোমাদের মানে একাদশ শ্রেণির বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসের অন্তর্গত বৃন্দাবন দাস এর চৈতন্য ভাগবত গ্রন্থের সাধারণ পরিচয় দিয়ে কাব্যটির ঐতিহাসিক গুরুত্ব লেখ প্রশ্নটির ব্যাখ্যামূলক উত্তর; তোমাদের আগামী বার্ষিক পরীক্ষার জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। তাহলে বৃন্দাবন দাসের চৈতন্য ভাগবতের এই আর্টিকেলটি পুরোপুরি পড়ে নিও এবং যদি সম্ভব হয় তোমাদের নোটবুকে আর্টিকেলটি পুরোপুরি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে নোট করে নিও।
চৈতন্য জীবনী কাব্য – একাদশ শ্রেণি – বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস
প্রশ্নঃ বৃন্দাবন দাসের চৈতন্য ভাগবত গ্রন্থের সাধারণ পরিচয় দিয়ে কাব্যটির ঐতিহাসিক গুরুত্ব লেখ
উত্তরঃ বাংলা ভাষায় প্রথম চৈতন্য জীবনী গ্রন্থ রচনা করেন পরম বৈষ্ণব ভক্ত বৃন্দাবন দাস। তার কাব্যখানি সুপরিচিত ও কাব্যগুন সমন্বিত। বাংলাদেশের সমাজ জীবনে চৈতন্যদেব সম্পর্কে যে সমস্ত কাহিনী, তত্ত্ব তথ্য, প্রচারিত হয়েছে তার সিংহভাগ বৃন্দাবন দাসের চৈতন্য ভাগবত থেকে পাওয়া। নিত্যানন্দের অনুগামী ছিলেন – তিনি তার কাছ থেকে শ্রীচৈতন্য সম্পর্কিত যে তথ্য পেয়েছিলেন, তাকে অভ্রান্ত মনে করে তথ্যনিষ্ঠ ভাবে গ্রন্থ কে রচনা করেছেন।
কাব্যটির নামকরণ কিভাবে করা হয়েছিল?
বলা হয় বৃন্দাবন দাস প্রথম চৈতন্য জীবনীর নাম দিয়েছিলেন চৈতন্যমঙ্গল, কিন্তু নারায়নী দেবীর নির্দেশে তিনি নাম পরিবর্তন করে নামকরণ করেন চৈতন্যভাগবত। বৃন্দাবন দাসের চৈতন্য জীবনী কাব্যটি 3 টি খন্ডে বিভক্ত. আদি- মধ্য ও অন্ত খন্ড মিলিয়ে এই গ্রন্থে মধ্যে সংখ্যা একান্নটি। আদি খণ্ড চৈতন্যদেবের জন্ম, বাল্য লীলা, বিদ্যাশিক্ষা, প্রথম ও দ্বিতীয় বিবাহ থেকে গয়া গমন ও নবদ্বীপে ফিরে আসা পর্যন্ত কাহিনী বর্ণিত হয়েছে।
মধ্য খন্ড 24 বছর বয়স থেকে 30 বছর বয়স পর্যন্ত পরিব্রাজক রূপে বিভিন্ন তীর্থভূমি পরিক্রমার বর্ণনা এবং অন্তখন্ডে জীবনের শেষ 18 বছর নীলাচলে অবস্থানকালীন বিভিন্ন ঘটনার বর্ণনা প্রকাশিত হয়েছে। অন্ত খণ্ডটি যেভাবে হঠাৎ শেষ হয়েছে, তাতে কাব্যের অঙ্গহানি অনেকটা ঘটেছে বলে মনে করা হয়। ডঃ অসিতকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় এর মতে – চৈতন্যভাগবত মহাপুরুষের ভাগবত জীবনী লেখা হয়নি। কোভিদ বর্ণনায় সমসাময়িক গৌড়ের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক চিত্র জীবন্ত হয়ে উঠেছে।
Read More: বাঙালির সমাজ এবং সাহিত্যে চৈতন্য দেবের আবির্ভাব এর গুরুত্ব আলোচনা করো.
N:B আমাদের আজকের এই বৃন্দাবন দাসের চৈতন্য ভাগবতের অন্তর্গত বৃন্দাবন দাস এর চৈতন্য ভাগবত গ্রন্থের সাধারণ পরিচয় দিয়ে কাব্যটির ঐতিহাসিক গুরুত্ব লেখ প্রশ্নটির উত্তর তৈরি করার জন্য আমাদের কিছু পাঠ্যবইয়ের সাহায্য নিতে হয়েছে, তাই এই আর্টিকেলটি বা প্রশ্নটির উত্তর নিয়ে আপনাদের কারো যদি কোন রকম সমস্যা থেকে থাকে তাহলে আমাদের ইমেইল করুন [email protected] এই ঠিকানায়।
আর হ্যাঁ এভাবেই আমাদের ব্লগ https://artsschool.in এর পাশে থেকে তোমাদের সাপোর্ট দেখিও যাতে ভবিষ্যতে আমরা বৃন্দাবন দাসের চৈতন্য ভাগবত গ্রন্থের সাধারণ পরিচয় দিয়ে কাব্যটির ঐতিহাসিক গুরুত্ব লেখ– এর মত আরো গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নগুলি তোমাদের সামনে উপস্থাপন করতে পারি। ধন্যবাদ।