শব্দার্থতত্ত্ব দ্বাদশশ্রেণী বাংলা প্রশ্নোত্তর, WBCHSE পর্ষদ নির্দেশিত দ্বাদশ শ্রেণীর বাংলা ভাসাবিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল শব্দার্থতত্ত্ব, যেখানে আমরা বাংলা বিভিন্ন শব্দের উৎপত্তি ও পরিবর্তন সম্পর্কে বিশেষ জ্ঞান লাভ করি। আজকে আমরা এই আর্টিকেলে শব্দার্থতত্ত্ব দ্বাদশশ্রেণী বাংলা প্রশ্নোত্তর, গুলি তুলে ধরেছি যা তোমাদের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য বিশেষ উপকারী হবে।
কিন্তু প্রতিবারের মতো এবারও বলবো শব্দার্থতত্ত্ব দ্বাদশশ্রেণী বাংলা প্রশ্নোত্তর গুলি পড়ার আগে একটিবার হলেও পর্ষদ এর দেওয়া সাহিত্যের ইতিহাসের বইটি থেকে শব্দার্থতত্ত্ব অধ্যায়টিতে একটু চোখ বুলিয়ে নাও যাতে শব্দার্থতত্ত্ব দ্বাদশশ্রেণী বাংলা প্রশ্নোত্তর, গুলি বুঝতে তোমাদের কোনো অসুবিধা না হয়।
তাহলে দেখে নেওয়া যাক শব্দার্থতত্ত্ব দ্বাদশশ্রেণী বাংলা প্রশ্নোত্তর গুলিঃ
১. গোষ্ঠী শব্দের আদি অর্থ গবাদি পশুর থাকার জায়গা এবং বর্তমান অর্থ সমূহ – এটি শব্দার্থের পরিবর্তনের কোন ধারা?
উত্তরঃ গোষ্ঠী শব্দের আদি অর্থ গবাদি পশুর থাকার জায়গা এবং বর্তমান অর্থ সমূহ – এটি শব্দার্থের রূপান্তর।
২. দারুণ শব্দের আদি অর্থ কী?
উত্তরঃ দারুণ শব্দের আদি অর্থ কাষ্ঠনির্মিত।
৩. অন্ন শব্দের আদি অর্থ খাদ্য, পরিবর্তিত অর্থ ভাত – এটি শব্দার্থ পরিবর্তনের কোন ধারা?
উত্তরঃ অন্ন শব্দের আদি অর্থ খাদ্য, পরিবর্তিত অর্থ ভাত – এটি অর্থের সংকোচ।
৪. বঙ্গীয় শব্দ কোশ গ্রন্থের লেখক কে?
উত্তরঃ বঙ্গীয় শব্দ কোশ গ্রন্থের লেখক হলেন হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরো পড়ুন ঔপনিবেশিক ভারতের শাসন ছোট প্রশ্ন ও উত্তর
৫. সন্দেশ শব্দের অর্থ পরিবর্তনের ধারাটি লেখ।
উত্তরঃ সন্দেশ শব্দের অর্থ পরিবর্তনের ধারাটি হল অর্থের সংশ্লেষ।
৬. থিসরাস অভিধানের আবিষ্কর্তা কে লেখ।
উত্তর থিসরাস অভিধানের আবিষ্কর্তা হলেন পিটার মার্ক রজেন্ট।
৭. গাং শব্দের পূর্ব অর্থ ছিল গঙ্গা নদী, বর্তমানে গাং এর অর্থ যে কোনো নদী – এটি শব্দার্থ পরিবর্তনের কোন ধারা?
উত্তরঃ গাং শব্দের পূর্ব অর্থ ছিল গঙ্গা নদী, বর্তমানে গাং এর অর্থ যে কোনো নদী – এটি শব্দার্থের প্রসার।
৮. গবেষণা শব্দের আদি অর্থ গভীর অন্বেষণ, পরিবর্তিত অর্থ কোনো বিষয়ের বিজ্ঞানসন্মত বিশ্লেষণ এটি শব্দার্থ পরিবর্তনের কোন ধারা?
উত্তরঃ গবেষণা শব্দের আদি অর্থ গভীর অন্বেষণ, পরিবর্তিত অর্থ কোনো বিষয়ের বিজ্ঞানসন্মত বিশ্লেষণ এটি অর্থের রূপান্তর।
আরো পড়ুন গারো পাহাড়ের নীচে প্রশ্ন উত্তর, দ্বাদশ শ্রেণী।
৯. থিসরাস অভিধানটি রচিত হয় কবে?
উত্তরঃ থিসরাস অভিধানটি রচিত হয় ১৮০৫ খ্রিষ্টাব্দে।
১০. শব্দের সার্থকতা কী ধরণের সম্পর্ক?
উত্তরঃ শব্দের সার্থকতা হল প্রতিশব্দ মূলক সম্পর্ক।
১১. ঐতিহাসিক শব্দার্থ তত্ত্বের মূল আলোচ্য বিষয় কী?
উত্তরঃ ঐতিহাসিক শব্দার্থ তত্ত্বের মূল আলোচ্য বিষয় হল সময়ের সঙ্গে ভাষার অর্থের পরিবর্তনের আলোচনা।
১২. শব্দার্থ তত্ত্বের দুটি শাখার নাম লেখ।
উত্তরঃ শব্দার্থ তত্ত্বের দুটি শাখা হল – ঐতিহাসিক শব্দার্থতত্ত্ব এবং শব্দভিত্তিক শব্দার্থতত্ত্ব।
১৩. থিসরাস কী?
উত্তরঃ শব্দার্থের এই বিশাল জগতকে সুশৃঙ্খল ও সমষ্টিবদ্ধ ভাবে বিন্যাস করার এক একটি নিদর্শনকে বলে থিসরাস। এখানে শব্দগুলি সমার্থক বা বিপরীতার্থক শব্দ অনুযায়ী গুচ্ছের মধ্যে আবদ্ধ থাকে।
আরো পড়ুন Strong Roots by APJ Abdul Kalam Class12 WBCHSE
১৪. শব্দার্থের রূপান্তর অন্য কি নামে পরিচিত?
উত্তরঃ শব্দার্থের রূপান্তর অর্থসংক্রম নামেও পরিচিত।
১৫. উপাদান মূলক শব্দার্থতত্ত্ব কী?
উত্তরঃ কোনো শব্দের ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র উপাদানগুলিকে বিশ্লেষণ করে সেই শব্দ এবং অন্যান্য শব্দের সঙ্গে তার সম্পর্কের যথাযথ ধারণা পাওয়া যায় যে শব্দার্থতত্ত্বে তাই’ই হল উপাদানমূলক শব্দার্থতত্ত্ব।
১৬. শব্দার্থতত্ত্ব কাকে বলে?
উত্তরঃ ভাষা বিজ্ঞানের যে শাখায় ভাষার অর্থ সম্পর্কে আলোচনা করা হয় তাকে শব্দার্থতত্ত্ব বলে। এককথায় অর্থের চর্চায় হল শব্দার্থতত্ত্ব।
১৭. লোকনিরুক্তি কাকে বলে? উদাহরণ দাও?
উত্তরঃ অনেক সময় দুরূহ কোনো শব্দ সাধারণ মানুষের মুখে সহজতর রূপ নেয় এবং কখনো কখনো অন্য কোনো পরিচিত শব্দের ধ্বনিসাম্যের প্রভাবে নতুন একটি শব্দ তৈরি হয়, একে লোকনিরুক্তি বলে। যেমন – হসপিটাল থেকে হাসপাতাল।
আরো পড়ুন শিক্ষা সংস্কারে বিদ্যাসাগরের ভূমিকা আলোচনা করো
আরো পড়ুন H.S English Syllabus for Class 12 WBCHSE 2021
অবশেষে তোমাকে বা আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সময় করে শব্দার্থতত্ত্ব দ্বাদশশ্রেণী বাংলা প্রশ্নোত্তর এর এই আর্টিকেলটি পড়ার জন্য। এভাবেই www.artsschool.in এর পাশে থেকে সাপোর্ট করো যাতে ভবিষ্যতে আমরা তোমাদের জন্য শব্দার্থতত্ত্ব দ্বাদশশ্রেণী বাংলা প্রশ্নোত্তর এর মতো আরো উন্নত মানের study material বা notes তুলে ধরতে পারি আর যেগুলো পরে তোমরা তোমাদের জ্ঞানের ভাণ্ডারকে করে তুলতে পারো আরো সমৃদ্ধ।
বিঃদ্রঃ শব্দার্থতত্ত্ব দ্বাদশশ্রেণী বাংলা প্রশ্নোত্তর এর এই নোটসটি কিছু অভিজ্ঞ শিক্ষক ও কিছু বই এর সহায়তায় তৈরি করা হয়েছে, যদিও শিক্ষকদের কাছ থেকে পুরো অনুমতি নেওয়া হয়েছে কিন্তু কোনো প্রকাশকের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভবপর হয়নি, তাই আপনাদের কারো যদি কোন রূপ সমস্যা থেকে থাকে এই আর্টিকেল নিয়ে, যোগাযোগ করুন এই ঠিকানায় [email protected] ইমেল এর মাধ্যমে।