Menu

অর্থ অনুসারে বাক্যের প্রকারভেদ – বাংলা ব্যাকরণ

অর্থ অনুসারে বাক্যের প্রকারভেদ; অর্থ অনুসারে বাক্যকে প্রধানত সাতটি ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে; যেগুলি হল আজকের আমাদের আলোচনার বিষয়। অর্থঅনুসারে বাক্যের প্রকারভেদ এর এই আর্টিকেলটি মাধ্যমিক পরিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ সহায়ক হবে, তাহলে আর দেরি না করে চলুন দেখে নেওয়া যাক অর্থঅনুসারে বাক্যের প্রকারভেদ এর এই গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেলটি।

 

মাধ্যমিক বাংলা ব্যাকরণ

অর্থ অনুসারে বাক্যের প্রকারভেদ

 

অর্থ অনুসারে বাক্যের প্রকারভেদ: 

অর্থঅনুসারে বাক্য প্রধানত ৭ প্রকার; যেমন-

১) নির্দেশক বাক্যঃ

অর্থঅনুসারে বাক্যের প্রকারভেদ এর প্রথম বাক্যটি জেটি নিয়ে আমরা আলোচনা করবো সেটি হল নির্দেশক বাক্য।

যে বাক্যে কোনো ইতিবাচক বা নেতিবাচক বিবৃতি প্রকাশ পায়, অর্থাৎ কোনো ভাব-ভাবনা-অবস্থা বা ঘটনার বিবরন থাকে, তাকেই আমরা নির্দেশক বা বিবৃতিমূলক বাক্য বলি।

নির্দেশসূচক বাক্যকে আবার দুটি ভাগে ভাগ করা যায়। যেমন- অস্তিবাচক বা হ্যাঁ-বোধক বা অন্ত্যর্থক বাক্য এবং নেতিবাচক বা না-বোধক বা নাস্ত্যর্থক বাক্য।

ক) অস্তিবাচক বা হ্যাঁ-বোধক বা অন্ত্যর্থক বাক্যঃ

যে বাক্যে কোনো ইতিবাচক বিবৃতি প্রকাশ পায়, অর্থাৎ কোনো ভাব-ভাবনা-অবস্থা বা ঘটনার বিবরণ থাকে, তাকেই অস্তিবাচক বা হ্যাঁ-বোধক বা অন্ত্যর্থক বাক্য বলা হয়।

যেমন- শিক্ষক ছাত্রকে সঠিক পথের দিশা দেখান।

খ) নেতিবাচক বা না-বোধক বা নাস্ত্যর্থক বাক্যঃ

যে বাক্যে কোনো নেতিবাচক বিবৃতি প্রকাশ পায়, অর্থাৎ কোনো ভাব-ভাবনা-অবস্থা বা ঘটনার বিবরণ থাকে, তাকেই নেতিবাচক বা না-বোধক বা নাস্ত্যর্থক বাক্য বলে।

যেমন- শিক্ষক ছাত্রকে ভুল পথ দেখান না।

২) প্রশ্নসূচক বাক্যঃ 

যে বাক্যের দ্বারা বক্তার কোনো কিছু জানার বা বোঝার ইচ্ছা প্রকাশ পায় অর্থাৎ বক্তা কোনো ভাব-অবস্থা-ঘটনা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা উত্থাপন করলে সেই বাক্যকে প্রশ্নসূচক বাক্য বলে।

যেমন- কোথায় আমার যুগান্তরের খড়গপাণি? (এক্ষেত্রে মনে রাখা দরকার যে প্রতিটি প্রশ্নসূচক বাক্যের শেষে অবশ্যই জিজ্ঞাসা / প্রশ্নসূচক (?) চিহ্ন বসাতে হবে।

৩) ইচ্ছাসূচক বা প্রার্থনাসূচক বাক্যঃ

যে বাক্যের দ্বারা কোনো ইচ্ছা বা প্রার্থনা প্রকাশ পায় তাকে ইচ্ছাসূচক বা প্রার্থনাসূচক বাক্য বলা হয়।

যেমন- তোমারই হোক জয়।

৪) অনুজ্ঞাসূচক বাক্যঃ

যে বাক্যের দ্বারা আদেশ, উপদেশ, অনুরোধ, নিষেধ ইত্যাদির ভাব বোঝায় তাকেই অনুজ্ঞাবাচক বাক্য বলে। অনুজ্ঞা বাক্যকে আবার দুটি ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে। যেগুলি হল- বর্তমান অনুজ্ঞা ও ভবিষ্যৎ অনুজ্ঞা।

ক) বর্তমান অনুজ্ঞাঃ

যে বাক্য দ্বারা বর্তমান কালে আদেশ, উপদেশ, অনুরোধ, নিষেধ ইত্যাদির ভাব বোঝায় তাকেই বর্তমান অনুজ্ঞাবাচক বাক্য বলা হয়।

যেমন- পড়াশুনায় বেশি করে মন দাও।

খ) ভবিষ্যৎ অনুজ্ঞাঃ

যে বাক্য দ্বারা ভবিষ্যৎ কালে আদেশ উপদেশ, অনুরোধ, নিষেধ ইত্যাদির ভাব বোঝায় তাকেই ভবিষ্যৎ অনুজ্ঞাবাচক বাক্য বলা হয়।

যেমন- সবসময় সত্যি কথা বলবে।

৫) বিস্ময়সূচক বাক্যঃ

যে বাক্যের দ্বারা কোনো আবেগ, যেমন প্রশংসা বিস্ময় ঘৃণা আনন্দ বেদনা বিরক্তি ক্রোধ ভয় প্রভৃতি প্রকাশ পায় তাকে বিস্ময়সূচক বাক্য বলা হয়।

যেমন- আহা! কী দেখিলাম জন্ম জন্মান্তরেও ভুলিব না।

৬) সন্দেহসূচক বাক্যঃ

যে বাক্যের দ্বারা কোনো ভাব বা ঘটনার ক্রিয়া সম্পাদন সম্পর্কে সংশয় বা সন্দেহ প্রকাশ পায়, সেই বাক্যকে বলে সংশয়সূচক বা সন্দেহবাচক বাক্য বলা হয়ে থাকে।

যেমন- পূর্ণিমার চাঁদ যেন ঝলসানো রুটি।

৭) শর্তসাপেক্ষ বাক্যঃ

অর্থ অনুসারে বাক্যের প্রকারভেদ এর সপ্তম এবং শেষ বাক্যটি হল শর্তসাপেক্ষ বাক্য। যে বাক্যের ক্রিয়া সম্পাদন কোনো শর্তের ওপর নির্ভরশীল অর্থাৎ যেখানে একটি ক্রিয়া সম্পাদনের সঙ্গে অপর একটি ক্রিয়ার সম্পাদন কার্য-কারন সম্পর্কে যুক্ত – সেই বাক্যকে শর্তসাপেক্ষ বা কার্য কারণাত্মক বাক্য বলা হয়ে থাকে।

যেমন- তুমি ডাকলেই আমি সেখানে যেতে রাজি আছি।

 

Read More বাক্যের প্রকারভেদ – মাধ্যমিক বাংলা ব্যাকরণ

 

অবশেষে আপনাকে / তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সময় করে অর্থ অনুসারে বাক্যের প্রকারভেদ এর পুরো আর্টিকেলটি পড়ার জন্য। এভাবেই চিরদিন www.artsschool.in এর পাশে থেকে তোমাদের সাপোর্ট দেখিয়ো যাতে ভবিষ্যতে আমরা অর্থ অনুসারে বাক্যের প্রকারভেদ এর মতো আরো মাধ্যমিকের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের আর্টিকেল নিয়ে উপস্থিত হতে পারি।

বিঃদ্রঃ অর্থ অনুসারে বাক্যের প্রকারভেদ এর এই পুরো আর্টিকেলটি তৈরি করা হয়েছে কিছু অভিজ্ঞ শিক্ষকের সহায়তায় এবং তার সাথে সাহায্য নেওয়া হয়েছে কিছু পাঠ্য বইয়েরও, তাই অর্থ অনুসারে বাক্যের প্রকারভেদ এর এই আর্টিকেলটি নিয়ে আপনাদের কারো যদি কোনো সমস্যা থেকে থাকে তবে ইমেল করুন আমাদের [email protected] ঠিকানায়।

Comments 4

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!