Menu

বহুরূপী – সুবোধ ঘোষ পূর্নাঙ্গ আলোচনা মাধ্যমিক বাংলা

বহুরূপী – সুবোধ ঘোষ

দশম শ্রেণি – বাংলা

লেখক পরিচিতি:

বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে কথা সাহিত্যিক সুবোধ ঘোষ এক স্মরণীয় নাম.  সাহিত্যজগতে তার অনুপ্রবেশ ঘটে ছিল বেশ কিছুটা দেরিতে  কিন্তু তিনি তার মেধা শক্তি চিন্তা-চেতনা ও অভিজ্ঞতার দ্বারা বাংলা সাহিত্যকে বিভিন্ন কাজের মধ্যে দিয়ে ভরিয়ে তুলেছিলেন.  সুবোধ ঘোষ 1909 খ্রিস্টাব্দে 14 সেপ্টেম্বর বিহারের হাজারীবাগে জন্মগ্রহণ করেন.  তিনি কলম্বাস কলেজের ছাত্র ছিলেন.  বিশিষ্ট দার্শনিক ও গবেষক মহেশপুরের লাইব্রেরী তিনি পড়াশোনা করেছেন.  প্রত্নতত্ত্ব পুরাতত্ত্ব এমনকি সামরিক ব্যয় ও তার যথেষ্ট দক্ষতা ছিল.

সুবোধ ঘোষ সাহিত্যকর্মের জন্য আনন্দ পুরস্কার এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জগত্তারিণী পদকপান. 1980 খ্রিস্টাব্দের এই বিখ্যাত কথা সাহিত্যিক তিরোধান লাভ করেন.

বহুরূপী  – সুবোধ ঘোষ এর গল্পের উৎস:

বহুরূপী – সুবোধ ঘোষ এর গল্প সমগ্র এর তৃতীয় খন্ড থেকে আমাদের  পাঠ্য বহুরূপী গল্পটি নেয়া হয়েছে.

বহুরূপী – সুবোধ ঘোষ এর  গল্পের বিষয় সংক্ষেপ:

বহুরূপী আম বলতে আমরা সাধারণত বুঝি যে সকল মানুষ একেক সময় একেকটা রূপ ধারণ করে ঘুরে বেড়ান,  আমাদের এই গল্পের বিষয়বস্তু ও সেই একই.  বহুরূপী গল্পটি মূলত এক বহুরূপীর জীবন নিয়ে লেখা.  গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র হলেন হরিদা,  শহরের সবচেয়ে ছোট গুলির মধ্যে বাস করতেন তিনি.  সেখানে আড্ডা ও নিয়মিত.  রোজকার চাকরি করতে যাওয়া হরিদ্বার কোনদিনই প্রসাদ না,  যার জন্য তার আর চাকরি  করা হয়ে ওঠেনি.  তিনি ছিলেন পেশায় একজন বহুরূপী.  তিনি মাঝেমধ্যে বিভিন্ন রূপ ধারণ করতেন –  কখনো পাগল সাজতে,  কখনো বা বাউল,  কোনদিন  কাপালিক,  কখনো  বোঁচকা কাঁধে  বুড়ো কাবুলিওয়ালা,  কখনো বা পুলিশ।  তার এই সব রূপ দেখে অনেকেই কিছু পয়সা দিত  এটাই ছিল তাঁর এক রকমের রোজগার।

পুলিশ সেজে তিনি ঘুষ নিয়েছেন।  তার এইসব বহুরূপীর বেশ দেখে লোকজন বিরক্ত হতো,  আবার কেউ কেউ খুব আনন্দিত হত,  কেউবা বৃস্মিত হত  যে কিভাবে একজন লোক এরকম অভিনয় করতে পারে বহুরূপী সেজে।  বহুরূপী সেজে  রাস্তায় রাস্তায়  ঘুরতেন।  জগদীশ বাবুর বাড়িতে সন্ন্যাসির আগমন এবং অভ্যর্থনার কথা শুনে মোটা রকমের উপার্জনের আশায় তিনি সন্ন্যাসী সেজে জগদীশ বাবুর বাড়িতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।  সৌম্য শান্ত ও জ্ঞানী মানুষ জগদীশবাবু।  একদিন তাইতো  সাদা উত্তরীয় ছোট বহরের থান পরে বিরাগি মানুষের বেশ ধরে বহুরূপী হরিদা হাজির হয়েছিলেন জগদীশ বাবুর বাড়িতে।  তার সাজ-পোশাক অত্যন্ত উজ্জ্বল দৃষ্টি দেখে কেউ বুঝতেও পারেনি তিনি আসলে হরিদা।

তিনি সত্যিই যেনো মূল চরিত্র টি হয়ে উঠতেন যখন যে রূপ ধারণ করতেন সেই রূপে অর্থাৎ যখনই যে রূপ ধারণ করতেন তখনই তিনি সেইরূপ বা সেই চরিত্রটির সঙ্গে এতটাই একাত্ম হয়ে যেতেন যে তাকে কেউ বহুরূপী বলে বুঝতে পারত না।  এক্ষেত্রেও এর কোন ব্যতিক্রম ঘটেনি।  হরিদা যেন সত্যি হয়ে উঠেছিলেন একজন বিরাগী,  তখন তিনি ধন যৌবন সংসার সবকিছু থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রেখেছিলেন  তাইতো জগদীশবাবু তাকে তীর্থ ভ্রমণের জন্য টাকা দিতে চাইলেও তিনি তা ফিরিয়ে দেন যদিও তার অভাবে দিন চলে না।  আসলে এইভাবে বহুরূপী পেশাটাকে তিনি যোগ্য সম্মান দিয়েছিলেন।  কারণ এই পেশা ছিল তার ভালোবাসা।

 

আরো পরুন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় পরিভাষা সমিতি সদস্য কারা ছিলেন?  এদের প্রচেষ্টা সফল না ব্যর্থ –  বিশদে আলোচনা করে লেখ।

 

বিঃ দ্রঃ বহুরূপী – সুবোধ ঘোষ; আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি তৈরি করতে আমাদের কিছু পাঠ্য বইয়েরও সাহাজ্য নিতে হয়েছে, যদিও আমাদের পক্ষে কোনো প্রকাশকের সাথে যোগাযোগ করা হয়ে ওঠেনি, তাই আমাদের আজকের বহুরূপী – সুবোধ ঘোষ; পূর্ণ আলোচনার আর্টিকেলটি নিয়ে যদি আপনাদের কারো কোনোরকম সমস্যা হয়ে থাকে, আমরা দুঃখিত, [email protected] এই ঠিকানায় ইমেল করে আপনার সমস্যার কথা জানান, আমরা যথাসাধ্য ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করবো।

আর এভাবেই https://artsschool.in এর পাশে থেকে তোমাদের সাপোর্ট দেখিয়ো যাতে ভবিষ্যতে আমরা এরকম আরো শিক্ষা মূলক আর্টিকেল গুলি তোমাদের সামনে উপস্থাপন করতে পারি। ধন্যবাদ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!