আধুনিক পাঠ্যক্রমের বৈশিষ্ট গুলি; আজকের এই আর্টিকেলে আমরা নিয়ে হাজির হয়েছে WBCHSE BOARD এর একাদশ শ্রেণির শিক্ষাবিজ্ঞান অর্থাৎ Education এর শিক্ষার তাৎপর্যপূর্ণ উপাদান অধ্যায়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন এবং তার উত্তর যা হল পাঠক্রম বলতে কী বোঝো? আধুনিক পাঠক্রমের বৈশিষ্ট গুলি আলোচনা করো। তাহলে চলো দেখে নেওয়া যাক –
প্রশ্নঃ পাঠক্রম বলতে কী বোঝো? আধুনিক পাঠক্রমের বৈশিষ্ট গুলি আলোচনা করো।
উত্তরঃ মুদালিয়র কমিশন বলেছে – পাঠক্রম বলতে বোঝায় শিক্ষার্থী শিক্ষালয়ে, শ্রেণিকক্ষে, পাঠাগারে, পরীক্ষাগারে, কর্মশালায়, খেলার মাঠে এবং শিক্ষক দের সংস্পর্শে এসে যা কিছু শেখে, যা কিছু কাজ তাকে করতে হয়, তার সবকিছুই হল পাঠ্যক্রম।
আধুনিক পাঠ্যক্রমের বৈশিষ্ট গুলি হলঃ
১. অভিজ্ঞ ব্যাক্তি বা প্রতিষ্ঠান দ্বারা নির্ধারিতঃ
পাঠক্রম নির্ধারণ করার জন্য অভিজ্ঞ ব্যক্তি বা এই বিষয়ে অভিজ্ঞ প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজন হয়। পাঠ্যক্রম নির্ধারনকারীদের সব কিছু বিষয়ের উপর দক্ষতা থাকা অপরিহার্য।
২. পূর্ব নির্ধারিতঃ
পাঠক্রম পূর্ব নির্ধারিত একটি বিষয়। পাঠ্যক্রম যেহেতু বাস্তবতা দান করে থাকে, তাই তা সুচিন্তিত ও পরিকল্পিতভাবে পূর্ব থেকেই গঠিত।
৩. পরিবর্তনশীলঃ
শিক্ষা একটি গতিশীল প্রক্রিয়া। তাই পাঠ্যক্রমও পরিবর্তনশীল। প্রয়োজন অনুযায়ী ও বাস্তব পরিস্থিতির কথা চিন্তা করে পাঠ্য বিষয়বস্তু পরিবর্তন প্রয়োজন।
৪. শ্রেণিকক্ষের মধ্যে ও বাইরে বিস্তৃতঃ
শ্রেণি কক্ষের ভিতরে ও বাইরের সমস্ত সুপরিকল্পিত অভিজ্ঞতাই পাঠক্রমের অন্তর্ভুক্ত। শ্রেণিকক্ষের বাইরের অভিজ্ঞতা সমূহকে সহপাঠক্রমিক কার্যাবলী বলা হয়।
৫. উদ্দেশ্য নির্ভরঃ
পাঠক্রম শিক্ষার লক্ষের উদ্দেশ্যে পৌঁছানোর মাধ্যম। তাই পাঠক্রম উদ্দেশ্য মূলক। এর ফলে শিক্ষার্থীরা নির্দিষ্ট লক্ষে পৌঁছাতে পারে।
৬. বাস্তব গুণসম্পন্নঃ
পাঠক্রমে তাত্ত্বিক শিক্ষার সঙ্গে সঙ্গে ব্যবহারিক শিক্ষারও সমন্বয় ঘটে। এর ফলে শিক্ষার্থী বাস্তব সমস্যা সমাধানের মাধ্যমে বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জন করে।
৭. সর্বাঙ্গীণ বিকাশঃ
আধুনিক মনোবিজ্ঞান সন্মত শিক্ষার মূল লক্ষ্যই হল শিক্ষার্থীর সর্বাঙ্গীণ বিকাশ। তাই পাঠক্রমে এমন বিষয় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে যা শিক্ষার্থীর সর্বাঙ্গীণ বিকাশে সাহায্য করবে।
৮. চাহিদা ও সামর্থ্য ভিত্তিকঃ
শিক্ষার্থীর ব্যক্তিগত চাহিদা ও সামর্থ্যের কথা স্মরনে রেখে পাঠক্রম রচনা করা হয়। ফলে শিক্ষার্থীরা জ্ঞানলাভের সাথে সাথে নিজের চাহিদারও পরিতৃপ্ত করতে পারবে।
মূল্যায়নঃ
উপরিউক্ত আলোচনা থেকে পরিষ্কার ভাবে বোঝা যায় আধুনিক পাঠক্রম সুসমন্বিত ও সুসামঞ্জস্য পূর্ণ। ফলে আধুনিক পাঠক্রমের মাধ্যমে শিক্ষার্থীর সার্বিক বিকাশ সম্ভব। সুতরাং আধুনিক পাঠক্রমের বৈশিষ্ট গুলি অত্যন্ত তাৎপর্য পূর্ণ।
Read More আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষকের ভূমিকা সন্মন্ধে তোমার নিজস্ব বক্তব্য লেখো।
অবশেষে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সময় করে আধুনিক পাঠক্রমের বৈশিষ্ট গুলি এর এই আর্টিকেলটি পুরোপুরি পড়ার জন্য। এভাবেই চিরদিন আর্টস স্কুল ডট ইন এর পাশে থেকে তোমাদের সাপোর্ট দেখিয়ো যাতে ভবিষ্যতে আমরা আধুনিক পাঠক্রমের বৈশিষ্ট গুলি মতো আরো গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর তোমাদের সামনে তুলে ধরতে পারি এবং সেগুলো পরে তোমরা তোমাদের আগামী পরিক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিতে পারো।
বিঃ দ্রঃ আধুনিক পাঠক্রমের বৈশিষ্ট গুলি এর এই আর্টিকেলটি তৈরি করা হয়েছে কিছু অভিজ্ঞ শিক্ষক দের পরামর্শ নিয়ে এবং তার সাথে সাথে কিছু পাঠ্য বইয়ের ও সাহায্য নেওয়া হয়েছে। যদিও শিক্ষকদের কাছ থেকে অনুমতি নেওয়া হয়েছে কিন্তু কোনো প্রকাশকের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি, তাই এই আর্টিকেলটি নিয়ে আপনাদের কারো যদি কোনোরকম সমস্যা থেকে থাকে তবে আমাদের ইমেল করুন [email protected] এই ঠিকানায়।