Menu

‘আমি দেখি’ কবিতার প্রশ্নোত্তর উচ্চমাধ্যমিক বাংলা

‘আমি দেখি’ কবিতার প্রশ্নোত্তর, আজকের আমাদের এই আর্টিকেলের আলোচনার বিষয় হল ‘আমি দেখি’ কবিতার প্রশ্নোত্তর মানে বিশেষ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কবিতার প্রশ্ন ও উত্তর তুলে ধরার চেষ্টা করেছি যা তোমাদের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।

 

‘আমি দেখি’ কবিতার প্রশ্নোত্তর

উচ্চমাধ্যমিক বাংলা

তাহলে দেখে নেওয়া যাক ‘আমি দেখি কবিতার প্রশ্নোত্তর’ গুলি

 

১. ‘আমি দেখি’ কবিতায় গাছ – কীসের প্রতীক?

উত্তরঃ ‘আমি দেখি’ কবিতায় গাছ স্বতঃস্ফুর্ত প্রান স্পন্দনের প্রতীক।

২. ‘আমি দেখি’ কবিতায় সবুজ কীসের প্রতীক?

উত্তরঃ সবুজ বিপুল প্রাণময়তার প্রতীক। বিপন্ন নাগরিক সভ্যতায় কবি সবুজায়ন করে প্রকৃতিকে করে তুলতে চান শ্যামল সতেজ ও প্রাণময়।

৩. কবি গাছ তুলে এনে কোথায় বসাতে বলেছেন?

উত্তরঃ কবি আমি দেখি কবিতায় গাছগুলো তুলে এনে বাগানে বসাতে বলেছেন।

৪. আমার দরকার শুধু গাছ দেখা – কবির গাছ দেখা দরকার কেন?

উত্তরঃ গাছের সবুজ শরীরের প্রয়োজন। তাই শুধুই গাছ দেখে যাওয়া কবির দরকার।

৫. ঐ সবুজের ভীষণ দরকার – কেন ঐ সবুজের ভীষণ দরকার?

উত্তরঃ আমি দেখি কবিতায় উদ্ধৃত লাইনটি বর্ণিত হয়েছে। কবি জানিয়েছেন গাছের সবুজটুকু শরীরে দরকার আরোগ্যের জন্য।

৬. বহুদিন জঙ্গলে যাইনি – কে কেন জঙ্গলে যাননি?

উত্তরঃ আমি দেখি কবিতায় কবি শক্তি চট্রোপাধ্যায় জানিয়েছেন শহরে কর্মব্যস্ত থাকায় বহুদিন জঙ্গলে যাননি।

৭. শহরের অসুখ কী?

উত্তরঃ আমি দেখি কবিতায় কবি জানিয়েছেন শহরের অসুখ হল হ্যাঁ করে সবুজ খাওয়া। নগরায়নের ফলে সবুজ অবলীলায় ধ্বংস হয়ে যাওয়া শহরের অসুখ।

৮. সবুজের অনটন ঘটে – কেন?

উত্তরঃ শহরের যাত্রিক সভ্যতার অগ্রসরতায় গাছ ধ্বংস একটি মারাত্মক ব্যাধি। স্বার্থ ও বিলাসিতায় মগ্ন শহরে মানুষ সবুজের অভাবে রোগগ্রস্ত। বেপরোয়া নগরায়নের ফলে শহরে সবুজের অনটন ঘটে।

৯. চোখ তো সবুজ চায় – চোখ সবুজ কেন চায়?

উত্তরঃ শহর ক্ষয় রোগগ্রস্ত, সেখানে লেগেছে সবুজে মড়ক। সবুজ ধ্বংস করে ক্রমশ কংক্রিটের জঙ্গল গড়ে তুলছে শহর। তাই ইট কাঠ, পাথরের পরিবেশে ক্লান্ত দুটি চোখ যেন সবুজের সন্ধান করে যায়।

১০. দেহ চায় সবুজ বাগান – কথাটির তাৎপর্য কী?

কবির মতে শহরের প্রাণহীনতা এবং মৃত্যুর পাণ্ডুরতা থেকে সবুজই একমাত্র শহরকে বাঁচিয়ে তুলতে পারে। তাই শহরের দেহের জন্য, শহরের সকলের শরীরের সুস্থতার জন্য সবুজের একান্ত প্রয়োজন।

‘আমি দেখি’ কবিতার প্রশ্নোত্তর
‘আমি দেখি’ কবিতার প্রশ্নোত্তর

১১. গাছ আনো বাগানে বসাও। আমি দেখি – কারন ব্যাখ্যা করো।

উত্তরঃ নগরজীবনের রাজনৈতিক মৃত্যু, হত্যার শোণিত ধারা, বিষাক্ত ধূলিধূসরিত পাণ্ডুরতা, বিবর্ন পৃথিবীর নির্মমতায় কবির মন ও চোখ দুই ক্লান্ত এবং দূষিত। তাই কবি গাছের সবুজের মাধ্যমে তার ক্লান্তি দূর করতে প্রয়াসী।

১২. ‘আমি দেখি’ কবিতার স্তবক সংখ্যা কত?

উত্তরঃ আমি দেখি কবিতার স্তবক সংখ্যা তিনটি।

১৩. আমি দেখি কবিতার পঙক্তি সংখ্যা কত?

উত্তরঃ আমি দেখি কবিতার পঙক্তি সংখ্যা ১৬ টি।

১৪. গাছ তুলে আনো- কবি কেন এই আবেদন করেছেন বলে তোমার মনে হয়?

উত্তরঃ কবি গাছ তুলে এনে বাগানে বসাতে বলেছেন।

১৫. কবির মতে গাছের কোন জিনিসটি মানুষের দরকার?

উত্তরঃ কবির মতে গাছের সবুজ টুকু মানুষের দরকার।

১৬. গাছের সবুজটুকু মানুষের দরকার কেন?

উত্তরঃ অরণ্যের জন্য এবং মানুষের দেহের আরোগ্যের জন্য গাছের সবুজটুকুর আজ ভীষণ দরকার।

১৭. আমি দেখি কবিতায় কবি অনেক দিন কোথায় যাননি বলে উল্লেখ করেছেন?

উত্তরঃ আমি দেখি কবিতায় কবি অনেক দিন জঙ্গলে যাননি বলে উল্লেখ করেছেন।

১৮. বহুদিন ধরে কবি কোথায় আছেন বলে কবিতায় উল্লেখ করেছেন?

উত্তরঃ আমি দেখি কবিতায় কবি বহুদিন ধরে শহরে আছেন বলে উল্লেখ করেছেন।

১৯. হ্যাঁ করে কেবল সবুজ খায় – কে কী খায়?

উত্তরঃ আমি দেখি কবিতা অনুসারে শহর যেন তার বিস্তার ঘটাতে গিয়ে হাঁ করে সমস্ত গাছপালা মানে সবুজকে গ্রাস করে চলেছে দিনের পর দিন আর এটা যেন তার একটা অসুখ।

২০. কবির চোখ ও দেহ কী চায়?

উত্তরঃ আমি দেখি কবিতা অনুসারে কবির চোখ চায় শুধু সবুজ দেখতে এবং তার দেহ চায় সবুজ বাগান।

আরো পড়ুন আমি দেখি কবিতার সারাংশ; উচ্চমাধ্যমিক বাংলা

অবশেষে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সময় করে এই ‘আমি দেখি’ কবিতার প্রশ্নোত্তর গুলি পড়ার জন্য। এভাবেই চিরকাল www.artsschool.in এর পাশে থেকে তোমাদের সাপোর্ট দেখিয়ো যাতে ভবিষ্যতে আমরা ‘আমি দেখি’ কবিতার প্রশ্নোত্তর এর মতো আরো গুরুত্বপূর্ণ কবিতার প্রশ্নোত্তর তোমাদের সামনে তুলে ধরতে পারি।

বিঃদ্রঃ ‘আমি দেখি’ কবিতার প্রশ্নোত্তর গুলি কিছু অভিজ্ঞ শিক্ষক ও পাঠ্য বইয়ের সাহায্যে তৈরি করা হয়েছে, যদিও শিক্ষকদের কাছ থেকে অনুমতি নেওয়া হয়েছে তবে কোনো প্রকাশকের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। ‘আমি দেখি’ কবিতার প্রশ্নোত্তর গুলি নিয়ে যদি কারো কোনো অভিযোগ বা জজ্ঞাসা থাকে আমাদের ইমেল করুন, এই ঠিকানায় [email protected] Thank You.

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!