আমি দেখি কবিতার সারাংশ; উচ্চমাধ্যমিক বাংলার একটি গুরুত্বপূর্ণ কবিতা হল কবি শক্তি চট্রোপাধ্যায়ের আমি দেখি। যেখানে আমরা কবির সবুজের প্রতি ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ দেখতে পাবো। আজকের আমাদের এই আর্টিকেলের আলোচনার বিষয় তায় আমি দেখি কবিতার সারাংশ।
আমি দেখি কবিতার সারাংশ – শক্তি চট্রোপাধ্যায়
দ্বাদশ শ্রেণী
কবি পরিচিতিঃ
শক্তি চট্টোপাধ্যায় (জন্ম: নভেম্বর ২৫, ১৯৩৩ – মৃত্যু: মার্চ ২৩, ১৯৯৫) ছিলেন ভারতীয় বাঙালি কবি, ঔপন্যাসিক, লেখক ও অনুবাদক, যিনি জীবনানন্দ-উত্তর যুগের বাংলা সাহিত্যের একজন প্রধান আধুনিক কবি হিসেবে বিবেচিত। ১৯৮২ সালে প্রকাশিত তার ‘যেতে পারি কিন্তু কেন যাবো’ কাব্যগ্রন্থ ইংরেজি এবং মৈথিলী বাষায় অনুদিত হয়েছে। ১৯৮৩ সালে কাব্যগ্রন্থের জন্য তিনি সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার লাভ করেন।
আমি দেখি কবিতার উৎসঃ
শক্তি চট্রোপাধ্যায় এর আঙ্গুরী তোর হিরণ্য জল – কাব্যগ্রন্থ থেকে বর্তমান আমি দেখি কবিতাটি গৃহীত হয়েছে। কিন্তু পরবর্তীকালে এই আমি দেখি কবিতাটিই আনন্দ পাবলিশার্সে ১৯৮২ সালের মার্চ মাসে যেতে পারি কিন্তু কেন যাবো কাব্যগ্রন্থে সংকলিত করেন।
আমি দেখি কবিতার সারাংশ বা বিষয়বস্তুঃ
নগরজীবনের ক্লান্তি থেকে মুক্তির জন্য কবি চেয়েছেন শহরে সবুজায়ন হোক। কবিতায় তায় অরণ্য সভ্যতার প্রতি কবির আন্তরিক ভালোবাসা ও আমোঘ আকর্ষণ হৃদয়ের সহজ সরলতায় প্রকাশ পেয়েছে। যেখানে কবি যেন ব্যকুল হয়ে উথেছেন এই নগরায়নের মধ্যে একটুকু অরণ্যের দর্শনের জন্য। এ পৃথিবীতে প্রানের প্রথম স্পন্দন অনুভূত হয়েছিল জলে তাও আবার গাছ বা উদ্ভিদ রুপে তায় বলা জেতেই পারে প্রানের প্রথম স্পন্দন অনুভূত হয় গাছের মধ্যেই।
অথচ আধুনিক সভ্যতার বিস্তার ও নগরায়নের ফলে মানুষের হাতে সবুজের অস্তিত্বই আজ বিপন্ন দিনে দিনে তারা নিশ্চিহ্ন হয়ে যাচ্ছে এই ধরতি বা পৃথিবী থেকে বিশেষত শহর বা নগর জীবন থেকে। ফলে এখনকার শহর হয়ে উঠেছে মৃতপ্রায় নিষ্প্রাণ ও ধূসর।

কবি তাই বাগানে গাছগুলো এনে বসাতে বলেছেন তা এক টুকরো জমিতে হোক না কেন। গাছ দেখে যাওয়া খুব দরকার। শরীর ও শরীরের আরোগ্যের জন্য সবুজ ভীষণ প্রয়োজনীয় বলে কবি মনে করেছেন। কবি অনেক দিন শহরবাসী, অনেক দিনই তার বনে যাওয়া ও বনে দিন কাটানো হয়নি।
নগর সভ্যতায় সবুজ থাকার জো নেই বর্তমানে, সবুজকে গিলে ফেলার অসুখ তার। শহরে তাই সবুজের বড়ো অভাব। চোখের দৃষ্টি বাঁচিয়ে রাখার জন্য সবুজ একান্ত দরকার। সবুজ না হলে দেহ ও টেকে না। তাই গাছ এনে শহরে বাগান করার কথা বলেছেন কবি তার এই আমি দেখি কবিতার মাধ্যমে। তাই কবির সংবেদনশীল মন শহরের বাগানের গাছ গাছালীর সংস্পর্শ পেতে ব্যাকুল হয়ে ওঠে। শুধু চোখ ভরে সবুজকে দেখার প্রার্থনা তো আসলে নিসর্গের প্রাণময়তার সান্নিধ্য পাওয়ার চিরন্তন প্রকাশ।
আর এভাবেই সমগ্র আমি দেখি কবিতা জুড়ে কবি শক্তি চট্রোপাধ্যায়ের গাছের প্রতি ভালোবাসা এবং তার মন যে গাছ দেখার জন্য ব্যকুল সেই ভাবটাই তুলে ধরতে চেয়েছেন। শুধু তাই নয় এর মাধ্যমে তিনি আমাদের জীবনে গাছের গুরুত্ব বা অবদানের কথাও বলতে চেয়েছেন। তাই তো তিনি বার বার বলেছেন আমাদের দেহ ও মনের গাছের প্রয়োজন দেহ সুস্থ রাখতে গেলেও আমাদের প্রয়োজন সবুজের।
আরো পড়ুন শব্দার্থ পরিবর্তনের স্বরূপ আলোচনা করো
অবশেষে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সময় করে আমাদের এই আমি দেখি কবিতার সারাংশ টি পড়ার জন্য। আশাকরি আপানাদের বেশ ভালোই লেগেছে এই আমি দেখি কবিতার সারাংশ টি। এভাবেই www.artsschool.in এর পাশে থেকে আপনাদের Support দেখাবেন যাতে আমরা ভবিষ্যতে আমি দেখি কবিতার সারাংশ এর মতো আরো ভালো ভালো বিষয় তোমাদের সামনে তুলে ধরতে পারি।
বিঃদ্রঃ আমি দেখি কবিতার সারাংশ বিষয়ের এই আর্টিকেলটি নিয়ে তোমাদের বা আপনাদের কারো যদি কোনো জিজ্ঞাসা বা প্রশ্ন থেকে থাকে তবে আমাদের ইমেল করুন এই ঠিকানায় [email protected] Thank you.