চোখের জলটা তাদের জন্য; আজকের আমাদের এই আর্টিকেলের আলোচনার বিষয় হল WBBCHSE Board এর দ্বাদশ শ্রেণীর বাংলা সিলেবাসের অন্তর্গত অলৌকিক গল্পের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন যা তোমাদের আগামী বার্ষিক পরিক্ষার জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
প্রশ্নঃ ‘চোখের জলটা তাদের জন্য।‘ – কার উক্তি? কোন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বক্তার মনের এই উপলব্ধি হয়েছিল? ১+৪=৫
অথবা
প্রশ্নঃ ‘তবু বিশ্বাস হল না। পাথরের চাঙড় কেউ থামাতে পারে?’ – কার উক্তি? বক্তার এরূপ বিশ্বাস কী শেষ পর্যন্ত বজায় ছিল?
উত্তরঃ আলোচ্য উজ্জ্বল অংশটি সংকলিত হয়েছে কর্তার সিং দুগগাল রচিত ‘অলৌকিক’ শীর্ষক গল্প থেকে।
উদ্ধৃতাংশটির বক্তা হলেন লেখক স্বয়ং। গল্প কথকের চোখে জল আসার কারন ছিল পাঞ্জাসাহেবে যারা জীবনকে উৎসর্গ করে ট্রেন থামিয়ে ক্ষুধার্ত তৃষ্ণার্ত ট্রেনে বন্দি ভারতীয়দের রুটি, জল পৌঁছে দিয়েছেন তাদের জন্য।
পাঞ্জাসাহেবের প্রথম গল্প শোনা আর বিশ্বাসের জগতে অলৌকিক হয়ে ওঠা লেখকের মনে আশ্চর্য বা বিস্ময়ের জগৎ তৈরি হয়েছিল গুরু নানকের পাথর থামিয়ে দেওয়া কিংবা পাথরের তলায় ঝরনার সৃষ্টি রহস্য বৈচিত্র দেখে। বৈজ্ঞানিক যুক্তিতে জলে ঝরনা সভ্যতা মেনে নিলেও বাস্তবে পাথর থামানোটা ছিল অবিশ্বাসযোগ্য। কিন্তু একদিন লেখক তার মায়ের বান্ধবীর কাছে একটা ঘটনা শুনে অবিশ্বাসের জায়গাটা ভেঙ্গে নতুন এক বিশ্বাসের জন্ম দিয়েছিলেন। সেই পরিচিত পাঞ্জাসাহেবে ঘটা মর্মস্পর্শী কিংবা হৃদবিদারক একটি ঘটনা।
পাঞ্জাসাহেবে সাকার ঘটনা প্রকৃতপক্ষে মহৎ আদর্শের জন্য আত্মোৎসর্গীকৃত ঘটনা। নিরস স্বাধীনতা সংগ্রামীদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালিয়েছিল ফিরিঙ্গিরা। এই ঘটনায় বন্দি দেশপ্রেমিকদের অভুক্ত রেখে দূরের শহরে কারাগারে নির্বাসনের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা হয়। পাঞ্জাসাহেববাসীরা অভুক্ত দেশবাসীদের না খাইয়ে তাঁদের শহরের ওপর দিয়ে যেতে দেবেন না। জীবন পণ করে তাঁরা ট্রেন লাইনে শুয়ে পড়ে ট্রেন থামালেন এবং দেশপ্রেমিকদের জন্য আত্মহুতি দিলেন।
মহৎ আদর্শের জন্য বৃহত্তর স্বার্থে তাঁদের এই আত্মবলিদানের ঘটনায় গল্প-কথক অভিভূত ও বিহ্বল হয়ে পড়েন। সারাদিন একফোঁটা জলও তিনি মুখে তুলতে পারেননি। নিরীহ দেশবাসীদের মর্মান্তিক পরিণতি সংবেদনশীল গল্প, কথকের হৃদয় স্পর্শ করে। তিনি পাঞ্জাসাহেববাসীদের সংকল্পবদ্ধ এই আন্তরশক্তি উপলব্ধি করার চেষ্টা করেন। কী এমন শক্তি যা খিদে তেষ্টায় কাতর দেশবাসীকে খাবার দেবার জন্যে জীবন মৃত্যুকে পায়ের ভৃত্য করে তুলতে পারে? এই ভাবনায় আত্ম তন্ময়তা থেকেই তার চোখে জল। যা দেশবাসীদের গল্প কথকের একাত্মতাকে ও আন্তরিকতাকে প্রকাশ করে।
Read More ‘পাঞ্জাসাহেবে পৌঁছে এক আশ্চর্য ঘটনার কথা জানতে পারি’ – পাঞ্জাসাহেবের আশ্চর্য ঘটনাটির বর্ণনা দাও।
অবশেষে আপনাকে / তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সময় করে চোখের জলটা তাদের জন্য এর পুরো আর্টিকেলটি পড়ার জন্য। এভাবেই চিরদিন আর্টস স্কুল ডট ইন এর পাশে থেকে তোমাদের সাপোর্ট দেখিয়ো যাতে ভবিষ্যতে আমরা চোখের জলটা তাদের জন্য এর মতো আরো গুরুত্বপূর্ণ নোটস গুলি তোমাদের সামনে তুলে ধরতে পারি। এবং সেগুলো পড়ে তোমরা তোমাদের আগামী পরিক্ষার জন্য খুব ভালো ভাবে প্রস্তুতি নিতে পারো।
বিঃদ্রঃ চোখের জলটা তাদের জন্য এর এই পুরো আর্টিকেলটি তৈরি করা হয়েছে কিছু অভিজ্ঞ শিক্ষকের পরামর্শ নিয়ে এবং সাথে কিছু বইয়েরও সাহায্য নেওয়া হয়েছে। যদিও শিক্ষকদের কাছ থেকে অনুমতি নেওয়া হয়েছে কিন্তু কোনো প্রকাশকের সাথে যোগাযোগ করা হয়ে ওঠেনি তাই এই নোটসটি নিয়ে আপনাদের কারো যদি কোনো সমস্যা থেকে থাকে তবে ইমেল করুন [email protected] এই ঠিকানায়।