Menu

তেলেনাপোতা আবিষ্কার বড়ো প্রশ্নোত্তর একাদশ শ্রেণী

তেলেনাপোতা আবিষ্কার বড়ো প্রশ্নোত্তর, এই আর্টিকেলে আমরা দেখবো wbchse বাংলা syllabus এর অন্তর্গত তেলেনাপোতা আবিষ্কার গল্পের দুটি গুরুত্বপূর্ণ বড়ো প্রশ্ন ও তাদের উত্তর। যেগুলি তোমাদের বার্ষিক পরীক্ষার জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।

কিন্তু  তেলেনাপোতা আবিষ্কার বড়ো প্রশ্নোত্তর পর্বটি  শুরু করার আগে তোমাদের একটাই কথা বলার আছে তেলেনাপোতা আবিষ্কার বড়ো প্রশ্নোত্তর পর্বটি পড়ার আগে একটি বার তোমাদের একাদশ শ্রেণীর বাংলা পাঠ্য বইটি থেকে তেলেনাপোতা আবিষ্কার গল্পটি ভালো করে পড়ে নিও।

পাঠ্য বইটি থেকে তেলেনাপোতা  আবিষ্কার গল্পটি এই কারনেই  পরতে বলছি যাতে তেলেনাপোতা আবিষ্কার বড়ো প্রশ্নোত্তর পর্বটির কোনো যায়গায় বুঝতে তোমাদের কোনো অসুবিধা না হয়।

তাহলে চলো দেখে নেওয়া যাক তেলেনাপোতা আবিষ্কার বড়ো প্রশ্নোত্তর পর্বটি।

 

১. তেলেনাপোতা আবিষ্কার নামকরণটির সার্থকতা গল্পটি বিশ্লেষণ করে আলোচনা করো।

সাহিত্যের ক্ষেত্রে নামকরন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, নামকরণের ক্ষেত্রে লেখক চরিত্র, ঘটনা বা অন্তর্নিহিত অর্থকে প্রাধান্য দিয়ে থাকেন। যার মাধ্যমে লেখকের বক্তব্য পাঠকের কাছে সুস্পষ্টভাবে প্রকাশিত হয়ে ওঠে।

পাঠ্যাংশে অন্তর্গত লেখক প্রেমেন্দ্র মিত্রের তেলেনাপোতা আবিষ্কার নামাঙ্কিত গল্পটির নামকরণ লেখক করেছেন গল্পটির স্থানটিকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ার লক্ষে। সেই কাল্পনিক স্থান যা লেখকের কাছেও ছিল ঝাপসা একটা স্বপ্ন, সেই স্থান কথককে কেমনভাবে প্রভাবিত করে তার বর্ণনা পাঠক প্রত্যক্ষ করে।

নাগরিক জীবনের অস্থিরতা থেকে মুক্তি পেতে গল্পকথক তার দুই সঙ্গীর সাথে একদিন বেরিয়ে পড়েছিলেন তেলেনাপোতার পথে। মূলত মাছ ধরার লক্ষেই তারা গিয়েছিলেন। কিন্তু যাত্রাপথটি সুখের ছিল না। স্থানটির নামের মতোই স্থানটিও যেন ছিল চেনা পৃথিবীর বাইরের অচেনা কোনো জগতের। যেখানে নাগরিক জীবনের কোনো ছোঁয়া ছিল না, যেখানে জীবন ছিল নিস্তব্ধ।

কলেরার প্রকোপে মহামারির কারনে সেখানকার বসতি প্রায় জনশূন্য হয়ে যায় বলেই অনুমান করা হয়। সেখানেই প্রায় ধবংস্তুপে পরিণত হওয়া ভগ্ন অট্টালিকাতে গিয়ে আশ্রয় নেন গল্প কথক ও তার সঙ্গীরা। সেই হারিয়ে যাওয়া স্থানেও যে সংসার থাকতে পারে তা প্রায় অসম্ভব বলেই মনে করেছিলেন কথক। তাই আবিষ্কার  শব্দটি যথোপযুক্ত বলেই মনে হয়।

সেই মৃত্যু পূরীতে কথক আবিষ্কার করেন যামিনী ও তার মায়ের সংসার। অসহায় অসুস্থ বৃদ্ধা মাকে নিয়ে যামিনীর বেঁচে থাকার লড়াই লেখককে বিশেষভাবে প্রভাবিত করে। ক্ষণিকের জন্য হলেও নাগরিক জীবনের স্বার্থমগ্নতা মুছে ফেলে কথক যামিনীকে বিয়ে করে থাকতে চেয়েছিলেন।

ম্যালেরিয়া মশার কামড়ে কথক তেলেনাপোতা থেকে ফিরে আসার পরে ম্যালেরিয়া জ্বরে আক্রান্ত হয়ে পরেন, ফলে তেলেনাপোতা হয়ে যায় কোনো এক দুর্বল মুহুর্তের অবান্তর কুয়াশার কল্পনা মাত্র।

লেখক ভবিষ্যৎ কালের রুপে গল্পটির বর্ণনা করেছেন। কোনো অনুসন্ধিৎসু প্রান আগ্রহের বশীভূত হয়ে কোনো একদিন তেলেনাপোতা নামক স্থানটি আবিষ্কার করতে উদ্যমী হবেন কিন্তু নাগরিক জীবনের কর্মব্যস্ততায় তা  আবার বিস্মৃতির অতলে আত্মগোপন করবে।

পুরো গল্পটি পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণের পর তায় মনে হয় যে গল্পটির নাম তেলেনাপোতা আবিষ্কার যথাযথ ও সার্থক হয়ে উঠেছে।

২. তেলেনাপোতা আবিষ্কার গল্পে গল্পকথকের চরিত্র আলোচনা করো।

লেখক প্রেমেন্দ্র মিত্র তেলেনাপোতা আবিষ্কার নামক গল্পটি এমনভাবে ব্যাখ্যা করতে শুরু করেছেন যে গল্পকথকই হয়ে উঠেছিলেন গল্পের নায়ক। গল্পকথকের কলকাতা শহরের একঘেয়েমি জীবন থেকে কিছু দিনের জন্য কোনো এক গণ্ডগ্রামে গিয়ে দিন কাটাবার ইচ্ছাতেই যেন গল্পের ঘটনা ক্রমশ এগিয়ে গেছে।

গল্পের নায়ক অর্থাৎ গল্পকথক যাকে কেন্দ্র করে ঘটনা অগ্রসর হয়েছিল তিনি যে রোমান্টিক মনের অধিকারী তা পাঠকের বুঝতে অসুবিধা হয় না। কারন চুরান্ত অসুবিধা থাকা সত্ত্বেও তেলেনাপোতায় ফিরে যাবার জন্য তার মন আগ্রহী হয়ে উঠেছিল.

যামিনীর প্রতি তার যে ভালোলাগা গড়ে উঠেছিল সেই অমোঘ আকর্ষণের কারনেই তেলেনাপোতা থেকে ফিরে আসার সময় তার হৃদয় বার বার বলে ছিল – ফিরে আসব, ফিরে আসব।

কেবল রোমান্টিকতায় নয় তার পাশাপাশি কৌতূহলপ্রবন মনেরও অধিকারী ছিলেন তিনি। তা না হলে প্রায় ভগ্নস্তূপে পরিণত হওয়া বাড়ির  ভাঙা সিঁড়ি দিয়ে তিনি ছাদে ওঠার চেষ্টা করতেন না। রাতের অন্ধকারে ভাঙা বাড়িতে কে ছিল তা জানার চেষ্টা করতেন না কিংবা যামিনীর কথা জানার জন্য আগ্রহী হতেন না।

কথকের চরিত্রে আবেগ প্রবণতা থাকলেও নাগরিক জীবনের ক্ষুদ্র ব্যক্তি স্বার্থ বোধও ছিল প্রচণ্ড। কারন আবেগের বসে যামিনীকে বিয়ে করার কথা বললেও কলকাতায় ফিরে আসার পর ম্যালেরিয়া জ্বর হলে তেলেনাপোতা জীবন তার স্বপ্ন বলে মনে হতে থাকে। তাই সহজেই তার প্রতিশ্রুতি ভুলে যেতে পারেন।

শব্দ এবং বাক্য ব্যবহারের দক্ষতায় লেখকের কলমে গল্প কথক তথা নায়ক চরিত্রটি জীবন্ত হয়ে উঠেছে, গল্পটি পাঠ করতে করতে যাকে রক্ত মাংসে গড়া সাধারণ মানুষ বলে মনে হয়। গল্পকার এভাবেই আবেগপ্রবণ কৌতূহলী করে তেলেনাপোতার নায়ক তথা গল্পকথকের চরিত্রটি তৈরি করেছেন।

আরো পড়ুন দ্বীপান্তরের বন্দিনী বড়ো প্রশ্নোত্তর, কবি কাজী নজরুল ইসলাম

 

অবশেষে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সময় করে এই তেলেনাপোতা আবিষ্কার বড়ো প্রশ্নোত্তর একাদশ শ্রেণী পোস্টটি পড়ার জন্য। এভাবেই চিরদিন https://artsschool.in এর এই ব্লগের পাশে থাকুন যাতে ভবিষ্যতে তেলেনাপোতা আবিষ্কার বড়ো প্রশ্নোত্তর একাদশ শ্রেণী এর মতো আরো উন্নত মানের Study material & Notes আপনাদের সামনে তুলে ধরতে পারি। একটাই অনুরোধ করবো নিয়মিত আমাদের এই ব্লগে Visit করুন এবং নিজের জ্ঞানের ভাণ্ডারকে আরো সমৃদ্ধ করে তুলুন।

 

বিঃ দ্রঃ এই আর্টিকেলের তেলেনাপোতা আবিষ্কার বড়ো প্রশ্নোত্তর একাদশ শ্রেণী এই প্রশ্নের উত্তরটি কিছু অভিজ্ঞ শিক্ষক ও কিছু বইয়ের সাহায্যে এবং নিজের চেষ্টায় তৈরি। শিক্ষকদের অনুমতি নেওয়া হলেও প্রকাশকদের কাছ থেকে কোনো অনুমতি নেওয়া হয়ে ওঠেনি। এবিষয়ে আপনাদের কারো যদি কোনো অসুবিধা থাকে তবে যোগাযোগ করুন আমাদের সাথে এবং জানান আপনার কথা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!