Menu

নব্যপ্রস্তর যুগের সমাজব্যবস্থা চাষবাস কেমন ছিল,

নব্যপ্রস্তর যুগের সমাজব্যবস্থা চাষবাস, wbchse board নির্দেশিত একাদশ শ্রেণীর ইতিহাসের আদিম মানব থেকে প্রারম্ভিক সভ্যতাসমূহ অধ্যায়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হল নব্যপ্রস্তর যুগের সমাজব্যবস্থা চাষবাস। আজকের এই আর্টিকেলের আলোচনার বিষয়ও তাই। এই আর্টিকেলে আমরা নব্যপ্রস্তর যুগের সমাজব্যবস্থা চাষবাস সম্পর্কে বিশদভাবে জানবো।

তবে তোমাদের কাছে আমার একটা আবেদন নব্যপ্রস্তর যুগের সমাজব্যবস্থা চাষবাসের এই আর্টিকেলটি পড়ার আগে একটিবার পাঠ্য বই থেকে নব্যপ্রস্তর যুগের সমাজব্যবস্থা চাষবাস সম্পর্কে একটু পড়ে নিও।

নব্যপ্রস্তর যুগের সমাজব্যবস্থা চাষবাস
নব্যপ্রস্তর যুগের সমাজব্যবস্থা চাষবাস

দেখে নেওয়া যাক নব্যপ্রস্তর যুগের সমাজব্যবস্থা চাষবাস এর সন্মন্ধে কিছু কথা:

 

উত্তরঃ নব্য প্রস্তর যুগে মানুষ আগের তুলনায় আরও বেশি সমাজবদ্ধ হয়। একে অপররের ওপর আরও বেশি নির্ভরশীল হয়ে ওঠে। এসময় থেকেই সমাজে পেশাভিত্তিক শ্রেণীর উদ্ভব ঘটে। নব্যপ্রস্তর যুগের সমাজব্যবস্থা কেমন ছিল তা নীচে আলোচিত হল-

১. কাঠামোঃ

পুরাতন পাথরের যুগে গড়ে ওঠা সমাজ কাঠামো নব্য প্রস্তর যুগে এসে আরও পরিশীলিত হয়। খাদ্যের জোগান সুনিশ্চিত হওয়ায় সময়ের অপচয় কমে। পরিবারের সদস্যরা নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে কাজ করত। পরিবারের সদস্যদের মধ্যে চিন্তা চেতনার মিল ছিল। সমাজে বৈবাহিক সম্পর্ক তেমন স্পষ্ট ছিল না।

২. বিনিময় প্রথাঃ

উৎপাদন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিনিময় প্রথার উদ্ভব ঘটে। বর্ধিত জনসংখ্যার সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাড়তে থাকে চাহিদা। বহুমুখী চাহিদা মেটানোর জন্য মানুষ বিনিময় প্রথার আশ্রয় নেয়।

৩. শ্রমবণ্টনঃ

বিনিময় প্রথার সুবাদে সমাজে শ্রমবণ্টন ঘটে, সন্তান লালন-পালন থেকে শুরু করে শস্য উৎপাদন কাপড় বোনা ও নানা গৃহস্থালির কাজে নারীরা নিয়োজিত হয়। আর পুরুষেরা গৃহ নির্মাণ শিকার পশুপালন এবং অস্ত্র নির্মাণের মতো কঠিন শ্রমসাধ্য কাজের ভার নেয়।

আরো পড়ুন তেলেনাপোতা আবিষ্কার ছোট প্রশ্নোত্তর একাদশ শ্রেণী

নব্যপ্রস্তর যুগের চাষবাসঃ

 

কৃষির উদ্ভাবন নব্য প্রস্তর যুগের মানুষের জীবনে বৈপ্লবিক পরিবর্তন নিয়ে আসে। এ যুগের মানুষ উদ্ভিদের শিকড় বা ফলের বীজ ঘরের কাছে পুঁতে দিতে শুরু করে, আর এভাবেই কৃষি কাজের সূচনা ঘটে। নব্যপ্রস্তর যুগের চাষবাস এর বিশিষ্ট গুলি হল নিম্নরূপ-

১. প্রথমদিকের অঞ্চলসমূহঃ

নব্যপ্রস্তর যুগে মানুষ নদী ও জলাভূমির তীরে বসতির পাশেই কৃষিকাজ শুরু করে। মিশরে নীলনদের বদ্বীপে, রাশিয়ার স্তেপ অঞ্চলে, ইউরোপের দানিয়ুব নদীর তীরবর্তী অঞ্চলে এবং সুইজারল্যান্ডের হ্রদ তীরবর্তী অঞ্চলে চাষের সূচনা ঘটে।

২. প্রাথমিক কৃষিকৌশলঃ

মৃত পশুর শিং ভাঙ্গা গাছের ডাল বা পাথরের চাই দিয়ে মাটি আলগা করা হত। এই আলগা মাটিতে তারা বীজ ছড়িয়ে দিত। যে সমস্ত উদ্ভিদের মূল, ফল ও শস্যের দানা স্বাস্থ্যকর ও সুস্বাদু প্রথমে সেগুলির অনুসন্ধান শুরু হয়। তার পর সেগুলিকে তুলে নিয়ে আবাস্থলের কাছে লাগানো হত।

৩. চাষের যন্ত্রঃ

এই যুগের মানুষ নিড়ানি কাস্তে ও শস্য পেষাইয়ের জন্য উদ্দখল ব্যবহার করত। এসময়ে চাষের যন্ত্র হিসেবে মসৃণ কুঠার ফলকের ব্যবহার শুরু হয়। কাঠের লাঙলের সঙ্গে লাগিয়ে এগুলিকে ব্যবহার করা হত।

৪. উৎপাদিত কৃষিজ ফসলঃ

নব্য প্রস্তর যুগের মানুষ সর্বপ্রথম যবকে চাষের আওতায় নিয়ে আসে। তারপরে তারা গম ও ধান চাষ শুরু করে। কৃষিকাজের মূল ব্যাপারটি আয়ত্ত হওয়ার পর একে একে বিভিন্ন ধরণের ফল ও সবজি চাষ শুরু হয়।

৫. সুফলঃ

কৃষির আবিষ্কারের ফলে খাদ্যের জোগান সুনিশ্চিত হওয়ায় এখন থেকে মানুষের গড় আয়ু বাড়ে। খাদ্যের উৎপাদন সুনিশ্চিত হওয়ায় অনেক সময় বাঁচে। এই অবসর সময়ে মানুষ বিভিন্ন কারিগরি ও সাংস্কৃতিক দিকের বিকাশ ঘটায়।

আরো পড়ুন প্রাচীন লিপি বাংলা লিপির উদ্ভব ক্রমবিকাশ প্রশ্নোত্তর

আরো পড়ুন তেলেনাপোতা আবিষ্কার বড়ো প্রশ্নোত্তর একাদশ শ্রেণী

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সময় করে নব্যপ্রস্তর যুগের সমাজব্যবস্থা চাষবাস এর এই আর্টিকেলটি পড়ার জন্য। এভাবেই চীরকাল www.artsschool.in ব্লগের পাশে থেকে তোমাদের সাপোর্ট দেখিয়ো যাতে ভবিষ্যতে আমরা নব্যপ্রস্তর যুগের সমাজব্যবস্থা চাষবাস এর মতো আরও উন্নত মানের study material বা notes তোমাদের সামনে তুলে ধরতে পারি, এবং সেগুলি পরে তোমরা তোমাদের জ্ঞানের ভাণ্ডারকে আরও সমৃদ্ধ করে তুলতে পারো।

 

বিঃদ্রঃ নব্যপ্রস্তর যুগের সমাজব্যবস্থা চাষবাসের এই নোটসটি কিছু অভিজ্ঞ শিক্ষক ও কিছু বইয়ের সাহায্যে তৈরি করা হয়েছে। যদিও শিক্ষকদের অনুমতি নেওয়া হয়েছে কিন্তু প্রকাশকদের কাছ থেকে কোনোরকম অনুমতি নেওয়া সম্ভব হয়ে ওঠেনি। আপনাদের কারও যদি এই নব্যপ্রস্তর যুগের সমাজব্যবস্থা চাষবাস নোটস নিয়ে কোনো অভিযোগ থাকে তবে আমাদের জানাজ এই ঠিকানায় [email protected] ইমেল এর মাধ্যমে।

আপনাদের যদি নব্যপ্রস্তর যুগের সমাজব্যবস্থা ও চাষবাস এর এই আর্টিকেলটি ভালো লাগে তবে share করুন আপনার প্রিয়জনের সাথে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!