নিয়ন্ত্রিত শিক্ষা ও অনিয়ন্ত্রিত শিক্ষার মধ্যে পার্থক্য; আজকের আমাদের এই আর্টিকেলে আমরা দেখতে চলেছি একাদশ শ্রেণীর (Class XI) শিক্ষাবিজ্ঞান (Education) এর তৃতীয় অধ্যায় শিক্ষার বিভিন্ন রূপ থেকে একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ প্রস্ন নিয়ন্ত্রিত শিক্ষা ও অনিয়ন্ত্রিত শিক্ষার মধ্যে পার্থক্য’, যা তোমাদের আগামী একাদশ শ্রেণীর বার্ষিক পরীক্ষার জন্য বিশেষ ভাবে সহায়ক হবে। আমাদের মতে এই আর্টিকেলটি পুরোপুরি পড়ে নিলে তোমাদের এই প্রশ্নের উত্তরটি নিয়ে আর ভাবতে হবে না।
একাদশ শ্রেণী – শিক্ষাবিজ্ঞান – তৃতীয় অধ্যায়
নিয়ন্ত্রিত শিক্ষা ও অনিয়ন্ত্রিত শিক্ষার মধ্যে পার্থক্য
নিয়ন্ত্রিত শিক্ষা ও অনিয়ন্ত্রিত শিক্ষার মধ্যে পার্থক্য আলোচনা করো।
১) গঠন |
নিয়ন্ত্রিত শিক্ষা সংগঠিত, এই শিক্ষার বিভিন্ন স্তরগুলি পরস্পর সম্পর্ক যুক্ত এছাড়াও স্তরগুলি একটি নির্দিষ্ট ক্রমপর্যায় ভুক্ত। |
অনিয়ন্ত্রিত শিক্ষা অসংগঠিত, এই শিক্ষার স্তর বলে কিছু নেই। |
২) বিষয়বস্তু |
এই শিক্ষা প্রধানত পুথিগত বিষয় সমূহ, এই শিক্ষার বিষয়বস্তু তাত্ত্বিক, বিস্তৃত এবং অধিক মাত্রায় বাচনিক (বাক্য ভিত্তিক)। এই ক্ষেত্রে হাতে কলমে কাজ করার সুযোগ যথেষ্ট কম। |
অনিয়ন্ত্রিত শিক্ষা অসংগঠিত। এই শিক্ষার স্তর বলে কিছু নেই। |
৩) সময় |
এই শিক্ষা দীর্ঘ সময়ব্যাপী। ভবিষ্যৎ কেন্দ্রিক। নির্দিষ্ট সময়ব্যাপী এবং সম্পূর্ণ সময়ের কোর্স। এই ক্ষেত্রে জীবনব্যাপী শিক্ষার কোনো সুযোগ নেই। |
অনিয়ন্ত্রিত শিক্ষার নির্দিষ্ট কোনো সম্য নেই। তাই এই ক্ষেত্রে কোনো কোর্স এর প্রশ্নই ওঠে না। এটি জীবনব্যাপী শিক্ষা। |
৪) নিয়ন্ত্রন |
এই শিক্ষা সরকার কতৃক নিয়ন্ত্রিত। কেন্দ্র, রাজ্য, স্থানীয়, ধর্মীয় সংস্থা এই ধরণের শিক্ষা ব্যবস্থার সাথে যুক্ত। |
এই শিক্ষা সম্পূর্ণ ভাবে অনিয়ন্ত্রিত। এই ক্ষেত্রে সরকারের কোনো ভূমিকা নেই বললেই চলে। |
৫) পাঠদান পদ্ধতি |
অধিকাংশ ক্ষেত্রেই শিক্ষক শিক্ষার্থী পারস্পরিক সম্পর্কের মধ্যে দিয়ে পাঠদান পদ্ধতি পরিচালিত হয়। এই ক্ষেত্রে শিক্ষা উপকরণ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। |
এই শিক্ষার পদ্ধতি স্বয়ং লিখন, এছাড়াও ব্যক্তিত্ব, উপদেশ ইত্যাদির মাধ্যমেও শিক্ষা লাভ করা যায়। |
৬) শিক্ষার্থীর বয়স। |
নিয়ন্ত্রিত শিক্ষায় শিক্ষার্থীর বয়স নির্দিষ্ট। শিক্ষার শুরু ও শেষ নির্দিষ্ট বয়সের মধ্যে হয়। |
এই অনিয়ন্ত্রিত শিক্ষার ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীর নির্দিষ্ট কোনো বয়স নেই, অর্থাৎ যেকোনো শিক্ষার্থী যে কোনো বয়সে এই শিক্ষা অর্জন করতে পারে। |
৭) আর্থিক ব্যায় |
এই শিক্ষা ব্যায় বহুল। ঘর, বাড়ি, উপকরণ প্রভৃতির জন্য প্রচুর বিনিয়োগের প্রয়োজন। এছাড়া শিক্ষক ও অন্যান্য কর্মচারীদের বেতন ছাড়াও বিভিন্ন বিষয়ের জন্য নিয়মিত অর্থের প্রয়োজন হয়। |
এই শিক্ষা ব্যবস্থা ব্যায়বহুল নয়। এই ক্ষেত্রে অর্থের বিশেষ কোনো প্রয়োজন হয় না। |
৮) শৃঙ্খলা |
নিয়ন্ত্রিত শিক্ষার ক্ষেত্রে বিশেষ শৃঙ্খলা দেখা যায়, কেননা এই ক্ষেত্রে ছাত্র ছাত্রীদের নির্দিষ্ট নিয়ম কানুন সব- সময় মেনে চলতে হয় যা তাদের ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক। |
এই শিক্ষার ক্ষেত্রে শৃঙ্খলার কোনো প্রশ্নই ওঠে না অর্থাৎ এই শিক্ষা ব্যাবস্থায় শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে শৃঙ্খলা বাধ্যতা মূলক নয়। |
৯) প্রশাসন |
এই শিক্ষার ক্ষেত্রে কঠোর নিয়মকানুনের মধ্যে দিয়ে প্রশাসন চলার ফলে প্রশাসনিক জটিলতা দেখা দেয়। |
এই শিক্ষার ক্ষেত্রে যেহেতু কোনো নিয়মকানুন থাকে না তাই এই ক্ষেত্রে প্রশাসনিক কোনো জটিলতা নেই। |
১০) মূল্যায়ন পদ্ধতি |
এই শিক্ষার ক্ষেত্রে মূল্যায়ন পদ্ধতি বাধ্যতামূলক। মূল্যায়ন পদ্ধতি ছাড়া এক শ্রেণী থেকে অন্য শ্রেণিতে উত্তীর্ন হওয়া যায় না। |
এই শিক্ষার ক্ষেত্রে কোনো মূল্যায়ন পদ্ধতি নেই। |
আরো পড়ুন শিশুর শিক্ষায় পরিবারের ভূমিকা আলোচনা করো
অবশেষে তোমাকে / আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সময় করে www.artsschool.in এর এই আর্টিকেলটি পুরোপুরি পড়ার জন্য। এভাবেই আমাদের এই ব্লগটির পাশে থেকে তোমাদের সাপোর্ট দেখিয়ো যাতে ভবিষ্যতে আমরা আজকের এই প্রশ্নের মতো আরো গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নগুলি উত্তর সহ তোমাদের সামনে উপস্থাপন করতে পারি। আর এই ব্লগটি যদি শিক্ষার জন্য উপযোগী মনে হয় তবে তোমাদের বন্ধুবান্ধব দের মাঝে সেয়ার করে দিও।
বিঃদ্রঃ নিয়ন্ত্রিত শিক্ষা ও অনিয়ন্ত্রিত শিক্ষার মধ্যে পার্থক্য’ এই প্রশ্নের উত্তরটি তৈরি করতে আমাদের কিছু পাঠ্য বইয়ের সাহায্য নিতে হয়েছে, তাই আমাদের এই আর্টিকেলটি নিয়ে আপনাদের কারো যদি কোনো সমস্যা বা অভিযোগ থেকে থাকে তবে আমাদের ইমেল করতে ভুলবেন না [email protected] এই ঠিকানায়।