Menu

পাঞ্জাসাহেবের আশ্চর্য ঘটনাটির বর্ণনা দাও

পাঞ্জাসাহেবের আশ্চর্য ঘটনাটির বর্ণনা; আজকের আমাদের এই আর্টিকেলের আলোচনার বিষয় হল WBBCHSE Board এর দ্বাদশ শ্রেণীর বাংলা সিলেবাসের অন্তর্গত অলৌকিক গল্পের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন যা তোমাদের আগামী বার্ষিক পরিক্ষার জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।

 

প্রশ্নঃ ‘পাঞ্জাসাহেবে পৌঁছে এক আশ্চর্য ঘটনার কথা জানতে পারি’ – পাঞ্জাসাহেবের আশ্চর্য ঘটনাটির বর্ণনা দাও।

 

উত্তরঃ আলোচ্য তাৎপর্যপূর্ণ উজ্জ্বল অংশটি গৃহীত হয়েছে ‘অলৌকিক’ গল্প থেকে। পাঞ্জাসাহেবে যে আশ্চর্য ঘটনার কথা শোনা যায়, তা আসলে একটি সমস্পর্শী সাকার ঘটনা। এই আশ্চর্য ঘটনার কথা গল্প কথক শুনেছিলেন মায়ের বান্ধবীর মুখ থেকে।

লেখকের গ্রাম এই পাঞ্জাসাহেব থেকে বেশি দূরে ছিল না। যেদিন লেখক তাঁর মা অ ছোটবোন সহ ‘সাকা’র খবর পেয়ে পাঞ্জাসাহেবের উদ্দেশ্য যাত্রা করেছিলেন। সেদিন লেখক যে আশ্চর্য ঘটনার কথা জানতে পেরেছিলেন তা হল – দূর শহরের ফিরিঙ্গিরা নিরস্ত্র ভারতীয়দের ওপর গুলি চালিয়েছিল। সেই ফিরিঙ্গিদের গুলিতে নিহত হয়েছিল শিশু থেকে কিশোর, যুবক, বৃদ্ধ – বৃদ্ধা অনেকেই। বেঁচে থাকা মানুষেদের নিয়ে যাওয়া হয় দূরের শহরের কারাগারে বন্দী করতে।

কয়েদিরা খিদে-তেষ্টায় কাতর হয়ে মৃতপ্রায় অবস্থায় পড়েছিল। কারাগারে বন্দির উদ্দেশ্যে যাত্রাকারী ট্রেনকে নির্দেশ দেওয়া হয় ট্রেনটিকে কোথাও না থামানোর। ট্রেনটিকে যেতে হবে পাঞ্জাসাহেবের ওপর দিয়ে। খবরটা পেয়ে পাঞ্জাসাহেবে লোকজন অত্যন্ত উত্তেজিত ছিল। যে পাঞ্জাসাহেবে গুরু নানক মার্দানার তেষ্টা মিটিয়েছিলন, সেই পাঞ্জাসাহেবের ওপর দিয়ে অভুক্ত মানুষদের নিয়ে ট্রেন যেতে পারবে না। যেমন পরিকল্পনা তেমনি বাস্তবায়ন। স্টেশন মাস্টারের কাছে টেলিফোন টেলিগ্রাম পাঠানো হল। কিন্তু ফিরিঙ্গিরা ট্রেন থামানোর কোনো নির্দেশ দিল না। এতে পাঞ্জাসাহেবের মানুষদের মনোবলে কিন্তু চিড় ধরল না, প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ছিল যে, ট্রেন থামিয়ে স্বাধীনতা সংগ্রামী, দেশপ্রেমিকদের হাতে রুটি, পায়েস, লুচি ডাল তুলে দেবে।

সাকার সিদ্ধান্ত নিয়েই পাঞ্জাসাহেবের মানুষেরা কাতারে কাতারে রেল লাইনের ওপর শুয়ে পড়ে ট্রেনকে থামানোর চেষ্টা করে। যথাসময়ে ট্রেন তীক্ষ্ণ হুঁশিয়ারি দিতে দিতে পৌঁছায় ঘটনাস্থলে। ট্রেনের গতি প্রথম থেকে একটু স্বাভাবিক হলেও গতিভঙ্গ করেছিল অনেক দেরীতে। অনেক মানুষের রক্তাক্ত ছিন্ন ভিন্ন দেহ ভরিয়ে তুলেছিল খালপারের সেতুকে। সেখানে রক্তের স্রোত মর্মস্পর্শী বা সংবেদনশীল করে তোলে বিবেকমান মানুষকে।

পাঞ্জাসাহেবের মানুষেরা ‘জয় নিরঙ্কার’ ধ্বনির কাছে হয়তো ট্রেন তাঁর গতি হারিয়ে পিছিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছিল। বহু মানুষের প্রানের বিনিময় হলেও পাঞ্জাসাহেবের মানুষেরা  স্বদেশীদের প্রতি শ্রদ্ধাস্বরূপ জীবন তুচ্ছ করে ট্রেন থামিয়ে ক্ষুধার্ত দেশবাসীকে রুতি-ডাল পৌঁছে দেয়। এই মহান আত্মত্যাগ ও আদর্শের মধ্য দিয়ে গভীর বিশ্বাস ও শ্রদ্ধার দৃষ্টান্ত সেদিন তৈরি করেছিল।

 

Read More অলৌকিক গল্পের নামকরণের সার্থকতা আলোচনা করো।

 

অবশেষে আপনাকে / তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সময় করে পাঞ্জাসাহেবের আশ্চর্য ঘটনাটির বর্ণনা এর পুরো আর্টিকেলটি পড়ার জন্য। এভাবেই চিরদিন আর্টস স্কুল ডট ইন এর পাশে থেকে তোমাদের সাপোর্ট দেখিয়ো যাতে ভবিষ্যতে আমরা পাঞ্জাসাহেবের আশ্চর্য ঘটনাটির বর্ণনা এর মতো আরো গুরুত্বপূর্ণ নোটস গুলি তোমাদের সামনে তুলে ধরতে পারি। এবং সেগুলো পড়ে তোমরা তোমাদের আগামী পরিক্ষার জন্য খুব ভালো ভাবে প্রস্তুতি নিতে পারো।

 

বিঃদ্রঃ পাঞ্জাসাহেবের আশ্চর্য ঘটনাটির বর্ণনা এর এই পুরো আর্টিকেলটি তৈরি করা হয়েছে কিছু অভিজ্ঞ শিক্ষকের পরামর্শ নিয়ে এবং সাথে কিছু বইয়েরও সাহায্য নেওয়া হয়েছে। যদিও শিক্ষকদের কাছ থেকে অনুমতি নেওয়া হয়েছে কিন্তু কোনো প্রকাশকের সাথে যোগাযোগ করা হয়ে ওঠেনি তাই এই নোটসটি নিয়ে আপনাদের কারো যদি কোনো সমস্যা থেকে থাকে তবে ইমেল করুন [email protected] এই ঠিকানায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!