বসু বিজ্ঞান মন্দির; আজকের আমাদের এই আর্টিকেলের আলোচনার বিষয় হল WBBSE BOARD এর মাধ্যমিক ইতিহাস সিলেবাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও তার উত্তর, যা তোমাদের আগামী মাধ্যমিক পরিক্ষার জন্য বিশেষ ভাবে গুরুত্বপূর্ণ। তাহলে চলো দেখে নেওয়া যাক আজকের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নটি এবং তার সঠিক উত্তরঃ-
প্রশ্নঃ টীকা লেখোঃ বসু বিজ্ঞান মন্দির।
উত্তরঃ ১৯১৫ খ্রিষ্টাব্দে অধ্যাপনার কাজ থেকে অবসর গ্রহণের পর ১৯১৭ খ্রিস্তাব্দের ৩০শে নভেম্বর বিজ্ঞানী জগদীশচন্দ্র বসু নির্মাণ করেন বিজ্ঞান গবেষণার এক অনন্য প্রতিষ্ঠান বসু বিজ্ঞান মন্দির।
১. বসু বিজ্ঞান মন্দির প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যঃ
বসু বিজ্ঞান মন্দির এর তৈরির পিছনে মূল উদ্দেশ্য ছিল বিজ্ঞানের অগ্রগতি এবং জ্ঞানের প্রসার। জীব এবং অজীব এর সমস্যা গুলি উন্মুক্ত করার কাজে জগদীশ চন্দ্র বসু এই প্রতিষ্ঠানকে কাজে লাগাতে চেয়েছিলেন।
২. গবেষণাঃ
জগদীশ চন্দ্র বসু তাঁর বসু বিজ্ঞান মন্দিরে পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়ন বিদ্যা, উদ্ভিদ বিদ্যা, মাইক্রো বায়োলজি, বায়োকেমিস্ট্রি, বায়োফিজিক্স, পরিবেশ বিজ্ঞান প্রভৃতি বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় বিশ্ব মানের গবেষণার ব্যবস্থা করেন।
৩. বিজ্ঞানে এর অবদানঃ
বসু বিজ্ঞান মন্দির এর সক্রিয় ভূমিকা ছিল কলেরার টীকা আবিষ্কারে। আধুনিক মলিকুলার বায়োলজির শুরু ড. বোসের গবেষণাগারে। অধ্যাপক বি.বি. বিশ্বাস ও তাঁর সহযোগীরা মাল্টিপ্লিসিটি অব RNAP এর ব্যাখ্যা দিয়ে গাছের আয়োনোসিটাল ফসফেট চক্রের আবিষ্কার করেছিলেন। বসু বিজ্ঞান মন্দিরে দীর্ঘ গবেষণার পর জগদীশ চন্দ্র বসু ক্রেসকোগ্রাফ যন্ত্রটি আবিষ্কার করেন।
৪. প্রতিষ্ঠান হিসাবে বসু বিজ্ঞান মন্দিরঃ
বসু বিজ্ঞান মন্দির এর ৬০০ কর্মী ও ছাত্র কলকাতার দুটি ক্যাম্পাসে কাজ করে চলেছেন। এই প্রতিষ্ঠানে অনেক শিক্ষা বিভাগ ও শ্রেণি সহ গ্রন্থাগার ও সেবাকেন্দ্র রয়েছে। এখানে রয়েছে জে.সি. বোস মিউজিয়াম এবং জগদীশ চন্দ্রের হাতে লেখা পাণ্ডুলিপি ও নানা যন্ত্রপাতি। এগুলি স্থায়ীভাবে সকলের দেখার জন্য রাখা আছে। ভারত সরকারের ন্যাশনাল ইনফরমেশন সিস্টেম ফর সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (NISSAT) এর মূল্যায়নে বলা হয়েছে, বোস ইন্সটিটিউট জীববিদ্যা ও জৈব সংক্রান্ত গবেষণায় সুউচ্চ প্রভাব ফেলেছে।
আরো পড়ুন সবুজ বিপ্লব কি বা সবুজ বিপ্লব বলতে কি বোঝ
অবশেষে বলতে চাইবো বসু বিজ্ঞান মন্দিরের ওপর লেখা টীকাটি পুরো পুরি পড়ার জন্য, পাড়লে তোমাদের নোট বুকে এই প্রশ্নের উত্তরটি তুলে নিও যাতে ভবিষ্যতে দরকার হলে সহজেই পেয়ে জাও। তাছাড়া তোমাকে/ আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এভাবে আর্টস স্কুল ডট ইন – এর পাশে থেকে তোমাদের সাপোর্ট দেখানোর জন্য, এভাবেই চিরদীন আমাদের পাশে থেকে তোমাদের সাপোর্ট দেখিয়ো যাতে ভবিষ্যতে এই বসু বিজ্ঞান মন্দিরের টীকার মতো আরো গুরুত্বপূর্ণ নোটস তোমাদের সামনে তুলে ধরতে পারি।
বিঃদ্রঃ বসু বিজ্ঞান মন্দির এর এই টীকাটি তৈরি করা হয়েছে কিছু অভিজ্ঞ শিক্ষকের পরামর্শ নিয়ে যদিও এর সাথে সাথে কিছু বইয়েরও সাহায্য নেওয়া হয়েছে। যদিও শিক্ষকদের কাছ থেকে অনুমতি নেওয়া হয়েছে কিন্তু কোনো প্রকাশকের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভবপর হয়নি। তাই আজকের এই আর্টিকেলটি মানে এই নোটস টি নিয়ে আপনাদের কারো যদি কোনো রকম সমস্যা হয়ে থাকে তবে আমাদের ইমেল করুন [email protected] এই ঠিকানায়।