Menu

বহুরূপী গল্পের উৎস, বিষয়সংক্ষেপ – সুবোধ ঘোষ

বহুরূপী গল্পের উৎস, বিষয়সংক্ষেপ সম্পর্কে বিষদে পড়ার আগে আমাদের এই বহুরূপী গল্পের লেখক সুবোধ ঘোষ সম্পর্কে জেনে নেওয়া দরকার। বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে কথাসাহিত্যিক সুবোধ ঘোষ এক উজ্জ্বল ব্যক্তিত্ব। বিশিষ্ট কথা সাহিত্যিক সুবোধ ঘোষ ১৯০৯ খ্রিষ্টাব্দের ১৪ই সেপ্টেম্বর বিহারের হাজারিবাগে জন্মগ্রহণ করেন।

লেখক হাজারিবাগ সেন্ট কলম্বাস কলেজের ছাত্র ছিলেন। তাঁর কর্মজীবন শুরু হয় বিহারের আদিবাসী অঞ্চলে বাস কন্ডাক্টর হিসেবে। তিরিশের দশকের শেষে তিনি আনন্দবাজার পত্রিকার রবিবাসরীয় বিভাগে সহকারী হিসেবে যোগ দেন। তাঁর উল্লেখযোগ্য রচনা হল – অযান্ত্রিক, থির বিজুরি, তিলাঞ্জলি, ভারত প্রেমকথা, গঙ্গোত্রী, ত্রিযামা, ভালোবাসার গল্প, শতকিয়া প্রভৃতি।

বহুরূপী গল্পের উৎস, বিষয়সংক্ষেপ;

উৎসঃ

সুবোধ ঘোষের গল্পসমগ্র, তৃতীয় খণ্ড থেকে তোমাদের পাঠ্য বহুরূপী গল্পটি নেওয়া হয়েছে।

বহুরূপী গল্পের উৎস, বিষয়সংক্ষেপ
বহুরূপী গল্পের উৎস, বিষয়সংক্ষেপ

বিষয়সংক্ষেপঃ

বহুরূপী বলতে আমরা বুঝি সেই বস্তু, প্রাণী অথবা মানুষটিকে যে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন বেশ ধারণ করে থাকে। বহুরূপী গল্পটি মূলত এই রকম এক বহুরূপীর জীবন নিয়ে লেখা। এই গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র হরিদা শহরের সবচেয়ে ছোটো গলির মধ্যেই বাস করেন। সেখানে আড্ডাও বসে নিয়মিত। রোজকার চাকরী করতে যাওয়া হরিদার কোনোদিনই পোষাত না। তিনি ছিলেন বহুরূপী। তিনি মাঝেমধ্যেই বিভিন্ন রূপ ধারণ করতেন – কখনও পাগল সাজতেন, কখনও বাউল, কোনোদিন কাপালিক, কখনও বোঁচকা কাঁধে বুড়ো কাবুলিওয়ালা, কখনও বা পুলিশ।

তাঁর এইসব রূপ দেখে অনেকেই কিছু পয়সা দিত। এটা তাঁর একরকম রোজগার ছিল। পুলিশ সেজে তিনি ঘুসও নিয়েছেন। তাঁর এইসব বহুরুপীর বেশ দেখে লোকজন বিরক্ত হত, আবার কেও কেও খুব আনন্দিত হত, কেও বা বিস্মিত হত। বহুরূপী সেজে তিনি রাস্তায় রাস্তায় ঘুরতেন। জগদীশ বাবুর বাড়িতে হিমালয়ের গুহা নিবাসী এক সন্ন্যাসীর আগমন এবং অভ্যর্থনার কথা শুনে মোটা রকমের টাকা উপার্জনের আশায় তিনি সন্ন্যাসী সেজে জগদীশ বাবুর বাড়িতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।

সৌম্য শান্ত জ্ঞানী মানুষ জগদীশ বাবু। সাদা উত্তরীয় ছোটো বহরের থান পরে এক বিরাগী মানুষের বেশ ধরে বহুরূপী হরিদা হাজির হয়েছিলেন জগদীশ বাবুর বাড়িতে। তাঁর সাজপোশাক উদাত্ত, শান্ত, উজ্জ্বল দৃষ্টি দেখে কেও বুঝতেও পারেনি তিনি আসল হরিদা। যখনই যে রূপ হরিদা ধারণ করতেন, তখনই তিনি সেই রূপ বা সেই চরিত্রের সঙ্গে এতটাই একাত্ম হয়ে যেতেন যে, তাঁকে বহুরূপী বলে কেও বুঝতেও পারত না। তিনি সত্যিই যেন মূল চরিত্রটি হয়ে উঠতেন। এক্ষেত্রেও কোনো ব্যতিক্রম ঘটেনি।

হরিদা সত্যিই যেন বিরাগী হয়ে উঠেছিলেন। তখন তিনি ধন, যৌবন সংসার – সব কিছু থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রেখেছিলেন। তাই জগদীশ বাবু তাঁকে তীর্থ ভ্রমণের জন্য টাকা দিতে চাইলেও তিনি তা ফিরিয়ে দেন। আসলে এই ভাবে বহুরূপী পেশাটাকেই তিনি যোগ্য সন্মান দিয়েছিলেন, কারণ এই পেশা ছিল তাঁর ভালোবাসা যার জন্য সে কোনোদিনই একঘেয়েমির কোনো চাকরি করেননি জীবনে যদিও ইচ্ছে করলেই করতে পারতেন অনায়াসেই।

 

আরো পড়ুন অদল বদল গল্পের নামকরণ এর সার্থকতা বিচার করো

 

অবশেষে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সময় করে WBBSE board এর দশম শ্রেণী বা মাধ্যমিক সিলেবাসের অন্তর্গত বহুরূপী গল্পের উৎস, বিষয়সংক্ষেপ এর এই আর্টিকেলটি পড়ার জন্য, আর এভাবেই আর্টস স্কুল ডট ইন এর পাশে থেকে তোমাদের সাপোর্ট দেখিয়ো যাতে ভবিষ্যতে আমরা আরো গুরুত্বপূর্ণ নোটস গুলি তোমাদের সামনে তুলে ধরতে পারি।

বিঃদ্রঃ বহুরূপী গল্পের উৎস, বিষয়সংক্ষেপ এর এই আর্টিকেলটি তৈরি করা হয়েছে কিছু শিক্ষক এর পরামর্শে এবং তার সাথে কিছু বইয়ের ও সাহায্য নেওয়া হয়েছে। তাই এই আর্টিকেলটি নিয়ে আপনাদের কারো যদি কোনো সমস্যা থেকে থাকে তবে আমাদের ইমেল করুন [email protected] এই ঠিকানায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!