বাংলা চিত্রকলার জগতে রবীন্দ্রনাথ; আজকের আমাদের আর্টিকেলের আলোচনার বিষয় দ্বাদশ শ্রেণীর বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসের বাংলার চিত্রকলার ইতিহাস অধ্যায় থেকে নেওয়া হয়েছে, যেটি হল বাংলা চিত্রকলার জগতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অবদান আলোচনা করো। তোমাদের আগামী বার্ষিক পরীক্ষার জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। তাই তোমাদের সকলের কাছে অনুরোধ রইলো পুরো আর্টিকেলটি ভালোভাবে পড়ো এবং যদি সম্ভব হয় তাহলে আর্টিকেলটি তোমাদের খাতায় বা নোটবুকে নোট করে নাও যাতে ভবিষ্যতেও প্রয়োজনে এটাকে পড়তে পারো।
দ্বাদশশ্রেণি – বাংলা
সাহিত্যের ইতিহাস – বাংলা চিত্রকলার ইতিহাস
প্রস্নঃ বাংলা চিত্রকলার জগতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অবদান আলোচনা করো।
উত্তরঃ পৌঢ়ত্বের দ্বারপ্রান্তে উপনীত হয়ে রবীন্দ্রনাথ চিত্রকলার জগতে প্রবেশ করেছিলেন। চিত্রশিল্পী করবেন বলেই নয় পূরবী কাব্য গ্রন্থের পান্ডুলিপির পাতায় কাটাকুটি করার খেলাতেই গড়ে উঠেছিল নানারূপ, যেগুলি থেকে পরবর্তীকালে ধীরে ধীরে ছবি আঁকার প্রতি তার ঝোঁক বেড়ে যায়। আড়াইহাজার ছবির স্রষ্টা রবীন্দ্রনাথ ছবি আঁকা শুরু করেছিলেন 1927 খ্রিস্টাব্দে। ভিক্টোরিয়া ওকাম্পোর অনুপ্রেরণায় উৎসাহিত হয়ে রবীন্দ্রনাথ ছবি আঁকা শুরু করেন।
![বাংলা চিত্রকলার জগতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অবদান আলোচনা করো।](https://artsschool.in/wp-content/uploads/2021/09/বাংলা-চিত্রকলার-জগতে-রবীন্দ্রনাথ-ঠাকুরের-অবদান-আলোচনা-করো-1024x576.png)
রবীন্দ্রনাথের চিত্রশিল্পের বিস্তৃতিঃ
দেশের সীমানা ছাড়িয়ে তিনি বহু বহু দেশে ছুটে গিয়েছেন নানা কাজে ঘুরে বেড়িয়েছেন মনের খেয়ালে, এবং সেখান থেকে প্রকৃতির সমৃদ্ধ হয়ে তার রূপ দান করেছেন তার আঁকায়। পাশ্চাত্য শিল্প এবং সংস্কৃতিকে গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করেছেন তিনি। তার সেই ভাবধারা প্রকাশ ধরা পড়েছে তারা আঁকা বিভিন্ন ছবিতে। কেবলমাত্র পাশ্চাত্য চিত্রকলা নয় আধুনিক ভারতীয় চিত্রকলার প্রভাব ও তার ছবিতে দেখা যায়। তার ছবির চরিত্ররা কেউ দেশীয় নয় প্রতিটি আন্তর্জাতিক।
রবীন্দ্র নাথ ঠাকুরের চিত্র রীতির বিশেষ বিশেষ বৈশিষ্ট গুলিঃ
তার ছবির বিবর্তনের কতগুলি পর্যায়ে স্পষ্ট ভাবে লক্ষ্য করা যায়। অস্পষ্ট অবয়ব থেকে ক্রমশ তা মূর্ত হয়ে ওঠে। কখনো রঙিন পেন্সিল, কখনো জলরং, কখনো তেল রং, আবার কখনো প্রাকৃতিক উপাদান রূপে ব্যবহার করে শিল্পী রবীন্দ্রনাথ ছবি আঁকতেন। তাঁর ছবির বিষয় কখনো ফুল পাখি আবার কখনোবা মানুষের মনের কোণে লুকিয়ে থাকা লোভ হিংসা এবং বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য গুলি তুলে ধরতে চেষ্টা করতেন।
শান্তিনিকেতনে কলাভবন প্রতিস্থাঃ
শিল্পের প্রতি আগ্রহ থেকেই তৈরি করেছিলেন শান্তিনিকেতনের কলাভবন। তার কয়েকটি বিখ্যাত সৃষ্টি হল – অহল্যা হল পাষানী, কচ ও দেবযানী, আবু হোসেন, প্রভৃতি। ছবির বিষয় এবং রঙের ব্যবহার চিত্রশিল্পের জগতে সাহিত্যিক রবীন্দ্রনাথকে এক নতুন পরিচয় বিশ্বের দরবারে উপস্থিত করে।
সে কখনো করে না বঞ্চনা – কে কখনো বঞ্চনা করে না? কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কিভাবে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন তা আলোচনা করো।
N:B: আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি, যা কিনা বাংলা চিত্রকলার জগতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অবদান আলোচনা করো তৈরি করার জন্য আমাদের কিছু পাঠ্যপুস্তকেও সহায়তা নিতে হয়েছে। যদিও যার জন্য আমাদের তরফ থেকে কোনো প্রকাশকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়ে ওঠেনি। তাই আমাদের আজকের এই বাংলা চিত্রকলার জগতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অবদান আলোচনা করো আর্টিকেলটি নিয়ে তোমাদের কারো যদি কোনরকম সমস্যা হয়ে থাকে, তাহলে আমাদের ইমেইল করুন [email protected] এই ঠিকানায়. আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব আপনার সমস্যা দূরীকরণের।
আর এভাবেই আমাদের ব্লগ https://artsschool.in এর পাশে থেকে তোমাদের সাপোর্ট দেখিও যাতে ভবিষ্যতে আমরা তোমাদের প্রয়োজনীয় এইরকম আরও গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল গুলি উপস্থাপন করতে পারি. ধন্যবাদ.