Menu

বায়ুচাপের তারতম্যের কারন গুলি লেখ মাধ্যমিক ভূগোল

বায়ুচাপের তারতম্যের কারন; আজকের আমাদের এই আর্টিকেলের মূল আলোচনার বিষয় হল বায়ুচাপের তারতম্যের কারনগুলি যা তোমাদের মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ। তাই মনোযোগ দিয়ে পড়ে নিও বায়ুচাপের তারতম্যের কারনগুলি এর এই নোটসটি যাতে তোমাদের মাধ্যমিক পরীক্ষায় বায়ুচাপের তারতম্যের কারন প্রশ্নটি আসলে তোমরা খুব ভালো ভাবে লিখে আসতে পারো।

বায়ুচাপের তারতম্যের কারন লেখ? 

Madhyamik Geography 

 

বায়ুমণ্ডলের বিভিন্ন অংশে চাপ সমান হয় না। বিভিন্ন কারনে এই বায়ুমণ্ডলের চাপের তারতম্য ঘটতে দেখা যায়। বায়ুমণ্ডলের এই বায়ুচাপের তারতম্যের কারন গুলি হল-

 

১. উষ্ণতাঃ বায়ুচাপের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ নিয়ন্ত্রক হল উষ্ণতা। বায়ুর উষ্ণতার সাথে বায়ুমণ্ডলের বায়ুচাপের সম্পর্ক বিপরীতমুখী। উষ্ণতা বাড়লে বায়ুর ঘনত্ব কমে, বায়ু প্রসারিত হয় এবং হালকা হয়ে ওপরে উথে যায়, ফলে বায়ুচাপ কমে যায়। আবার উষ্ণতা কমলে বায়ুর ঘনত্ব বাড়ে, এবং বায়ু সংকুচিত হয় যার ফলে ভারি হয়ে নীচে অবস্থান করে।

২. উচ্চতাঃ উচ্চতা বৃদ্ধিতে বায়ুর ওজন ও ঘনত্ব কমতে থাকে বলে বায়ুর চাপও কমে। মাধ্যাকর্ষণ শক্তির কারনে বায়ুকনাগুলির অধিকাংশ ভৃপৃষ্ট সংলগ্ন অঞ্চলে অবস্থান করে বলে বায়ুর ঘনত্ব বেশি এবং বায়ুর চাপও বেশি। তাই পর্বতের উপরে বায়ুচাপ কম, সমভূমিতে বেশি।

৩. জলীয় বাষ্পঃ জলীয় বাষ্পপূর্ণ বায়ু সাধারণ বায়ুর থেকে হালকা এবং ঘনত্ব কম বলে প্রসারিত হয়ে ঊর্ধ্বমুখী হয়। ফলে বায়ুর চাপও কমে। তাই যে বায়ুতে জলীয় বাষ্প যত বেশি, সেই বায়ুর চাপও বেশি। যার ফলে শুষ্ক বায়ুর চাপ কম হয়।

৪. পৃথিবীর আবর্তনঃ পৃথিবীর আবর্তনের প্রভাবে যে কেন্দ্রবিমুখ অর্থাৎ কোরিওলিস বলের সৃষ্টি হয়, তার ফলে বায়ু বিক্ষিপ্ত হয়। বায়ু বিক্ষিপ্ত হলে বায়ুর ঘনত্ব কমে এবং সেই বায়ুর চাপ কম থাকে।

৫. স্থলভাগ ও জলভাগের বণ্টনঃ প্রকৃতির নিয়মে স্থলভাগ অপেক্ষা জলভাগ তাড়াতাড়ি উত্তপ্ত হয় না অর্থাৎ স্থলভাগ তাড়াতাড়ি উত্তপ্ত হয় এবং তাড়াতাড়ি ঠাণ্ডাও হয়ে যায়। উপকূল অঞ্চলে তাই দিনের বেলা স্থলভাগে বায়ুচাপ কম এবং জলভাগে বায়ুর চাপ বেশি। আবার রাত্রে ঠিক এর বিপরীত অবস্থার সৃষ্টি হয় অর্থাৎ রাতের বেলা স্থলভাগের বায়ুচাপ বেশি এবং জলভাগের বায়ুচাপ কম হয়।

 

আরো পড়ুন সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা, বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ

আরো পড়ুন সবুজ বিপ্লব বলতে কি বোঝ? মাধ্যমিক ভূগোল

অবশেষে আপনাকে / তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সময় করে এই পুরো আর্টিকেলটি পড়ার জন্য। এভাবেই চিরকাল www.artsschool.in এর পাশে থেকে তোমাদের সাপোর্ট দেখিয়ো যাতে ভবিষ্যতে আমরা এর মতো আরো গুরুত্বপূর্ণ নোটস তোমাদের সামনে তুলে ধরতে পারি এবং তোমরা সেগুলো পড়ে নিজেদের জ্ঞানের ভাণ্ডারকে সমৃদ্ধ করতে পারো।

 

বিঃদ্রঃ বায়ুচাপের তারতম্যের কারন এর এই পুরো আর্টিকেলটি পাবলিশ করা হয়েছে কেবলমাত্র শিক্ষার উদ্দেশ্য।  এই নোটসটি তৈরি করা হয়েছে কিছু অভিজ্ঞ শিক্ষক ও পাঠ্য বইয়ের সাহায্য নিয়ে। যদিও শিক্ষকদের কাছ থেকে অনুমতি নেওয়া হয়েছে কিন্তু কোনো প্রকাশকের সাথে যোগাযোগ করা হয়ে ওঠেনি। এই আর্টিকেলটি নিয়ে আপনাদের কারো যদি কোনোরকম অভিযোগ বা জিজ্ঞাসা থেকে থাকে তবে ইমেল করুন, আমাদের ইমেল এর ঠিকানা [email protected] Thank You

 

Comments 2

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!