ভারতের কৃষি-শিল্প সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর; আজকের আমাদের এই আর্টিকেলের আলোচনার বিষয় যা WBBSE BOARD এর Madhyamik ভূগোলের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তাই তো ভারতের কৃষি-শিল্প সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর গুলি তোমাদের সামনে নিয়ে এসেছি যাতে তোমাদের আগামী মাধ্যমিক পরিক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিতে সহজ হয়।
মাধ্যমিক ভূগোল (অর্থনৈতিক)
ভারতের কৃষি-শিল্প সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
১. শস্যাবর্তন কাকে বলে?
উত্তরঃ কৃষি জমির স্বাভাবিক উর্বরতা বজায় রাখার জন্য যে বিজ্ঞানসন্মত কৃষি ব্যাবস্থায় নির্দিষ্ট ক্রমে, নির্দিষ্ট ধরনের ফসল চাষের পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়, তাকে শস্যাবর্তন কৃষি পদ্ধতি বলে।
উদাহরণঃ কোনো জমিতে প্রথম বছর গম, দ্বিতীয় বছর বীট ও আলু, তৃতীয় বছর যব ও ওট ও চতুর্থ বছর ডাল জাতীয় শস্য চাষ করা হলে, জমির উর্বরতা বজায় থাকে।
২. নগদ শস্য বলতে কী বোঝ?
উত্তরঃ কৃষকেরা বাজারে বিক্রি করে নগদ অর্থ লাভের উদ্দেশ্যে যে সকল ফসলের চাষ করে থাকে, তাদের অর্থকরী ফসল বা নগদ শস্য বলা হয়। নিজের পরিবারের ব্যাবহারের জন্য কৃষক এই প্রকার ফসল উৎপাদন করে না।
উদাহরণঃ কার্পাস, পাট, ইক্ষু এই সকল ফসলকে আমরা সাধারণত নগদ শস্য বলে চিনে থাকি।
৩. তৈলবীজ কাকে বলে? কয়েকটি উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ যেসব শস্যের বীজ থেকে তেল পাওয়া যায়, তাদের তৈলবীজ বলে। ভারতে উৎপন্ন তৈলবীজ গুলি হল সরিষা, তিল, তিসি, সয়াবিন, সূর্যমুখী ইত্যাদি।
৪. ইস্পাত শিল্পে কী কী কাঁচামাল প্রয়োজন হয়ে থাকে?
উত্তরঃ আকরিক লোহা, স্ক্র্যাপ লোহা, কয়লা থেকে তৈরি কোক কয়লা, চুনাপাথর, ডলোমাইট, ম্যাঙ্গানিজ, নিকেল, টাংস্টেন প্রভৃতি হল ইস্পাত শিল্পের প্রয়োজনীয় কাঁচামাল।
৫. অনুসারী শিল্প কাকে বলে?
উত্তরঃ বৃহদায়তন মূল শিল্পের প্রয়োজনে মূল শিল্পের পাশে যে অসংখ্য ছোটো ছোটো শিল্প গড়ে ওঠে, সেই প্রথমটিকে কেন্দ্রীয় শিল্প ও তার ওপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠা অন্যান্য শিল্প গুলিকে অনুসারী শিল্প বলে। পেট্রোরসায়ন শিল্পের সাথে অসংখ্য অনুসারী শিল্প গড়ে উঠতে দেখা যায়।
৬. উদীয়মান শিল্প বলতে কী বোঝ?
উত্তরঃ ক্রম বর্ধমান উৎপাদনশীলতার জন্য ভবিষ্যতে যে শিল্পের সম্ভাবনা অত্যন্ত উজ্জ্বল তাকে উদীয়মান শিল্প বলে। যে শিল্পগুলির বিগত কয়েক দশকে দ্রুতহারে বিকাশ ঘটেছে তার মধ্যে পেট্রোরাসায়ন শিল্প অন্যতম বলে একে উদীয়মান শিল্প বলে।
৭. তথ্য প্রযুক্তি শিল্প কাকে বলে?
উত্তরঃ মানুষের প্রয়োজনে বিভিন্ন তথ্য অত্যন্ত কম সময়ে পৌঁছে দেওয়ার পদ্ধতিই হল তথ্য প্রযুক্তি। এর মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ, বিশ্লেষণ, সংরক্ষণ, প্রেরন ইত্যাদি করা হয়ে থাকে। অর্থাৎ তথ্য প্রযুক্তি পরিষেবা সংক্রান্ত কাজকর্মকেই তথ্য প্রযুক্তি শিল্প বলা হয়।
৮. আমেদাবাদকে ভারতের ম্যাঞ্চেস্টার বলা হয় কেন?
উত্তরঃ ইংল্যান্ডের ম্যাঞ্চেস্টার এর মতো ভারতের গুজরাট রাজ্যের আমেদাবাদ অঞ্চল কার্পাস বস্ত্র উৎপাদন ও রপ্তানিতে উন্নতি লাভ করেছে। দুটি স্থানের মধ্যে কিছু সাদৃশ্য থাকায় আমেদাবাদকে ভারতের ম্যাঞ্চেস্টার বলা হয়। এদের মধ্যেকার সাদৃশ্য গুলি হল –
অবস্থানগত সাদৃশ্যঃ
ম্যাঞ্চেস্টার মার্শেই নদীর তীরে এবং আমেদাবাদ সবরমতী নদীর তীরে অবস্থিত।
জলবায়ুগত সাদৃশ্যঃ
ম্যাঞ্চেস্টার ও আমেদাবাদ উভয় শহরেই আর্দ্র জলবায়ু বিরাজ করে।
বন্দরের সান্নিধ্যঃ
ম্যাঞ্চেস্টার লিভারপুল বন্দরের মাধ্যমে এবং আমেদাবাদ কান্দালা বন্দরের মাধ্যমে শিল্পজাত দ্রব্য বিদেশে রপ্তানি করে।
আন্তর্জাতিক চাহিদাঃ
আন্তর্জাতিক বাজারে উভয় অঞ্চলের উৎপন্ন কার্পাস বস্ত্রের যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে।
আরো পড়ুন পূর্ব-মধ্য ভারতে অধিকাংশ ইস্পাত কেন্দ্র গড়ে উঠেছে কেন?
অবশেষে আপনাকে / তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সময় করে এই ভারতের কৃষি-শিল্প সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর এর পুরো আর্টিকেলটি পড়ার জন্য। এভাবেই চিরকাল www.artsschool.in এর পাশে থেকে তোমার সাপোর্ট দেখিয়ো যাতে ভবিষ্যতে আমরা ভারতের কৃষি-শিল্প সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর গুলির মতো আরো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তোমাদের সামনে তুলে ধরতে পারি।
বিঃদ্রঃ ভারতের কৃষি-শিল্প সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর এর এই নোটস টি তৈরি করা হয়েছে কিছু শিক্ষক ও পাঠ্য বইয়ের সহায়তায়, যদিও শিক্ষকদের পরামর্শ নেওয়া হয়েছে কিন্তু কোনো প্রকাশকের সাথে আমাদের যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি, তাই ভারতের কৃষি-শিল্প সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর গুলি নিয়ে আপনাদের কারো যদি কোনো সমস্যা থেকে থাকে তবে ইমেল করুন আমাদের [email protected] ঠিকানায়।