ভারতের বামপন্থী আন্দোলনে মানবেন্দ্রনাথ রায়ের ভুমিকা কি ছিল লেখ?
ভারতের বামপন্থী আন্দোলনে মানবেন্দ্রনাথ; বিশ শতকের দ্বিতীয় দশক থেকে ১৯১৭ খ্রিষ্টাব্দে রাশিয়ায় বলশেভিক বিপ্লব সংঘটিত হলে ভারতেও সাম্যবাদী বা বামপন্থী ভাবধারা জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। ভারতে বামপন্থী ভাবধারা ও আন্দোলনের প্রসারে যারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন তাদের মধ্যে সর্বাধিক অগ্রগণ্য হলেন মানবেন্দ্রনাথ রায়। তার আসল নাম নরেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য , গুপ্ত বিপ্লবী কাজে তিনি মিঃ মার্টিন , মানবেন্দ্রনাথ রায়, হরি সিং, ডঃ মাহমুদ, মিঃ হোয়াইট ও মিঃ ব্যানার্জী প্রভৃতি ছদ্মনাম ব্যবহার করতেন। বিপ্লবী কর্মকাণ্ডে অভিযুক্ত হয়ে ও ১৯১০ খ্রিষ্টাব্দে হাওড়া শিবপুর মামলায় অভিযুক্ত হয়ে ৪ বছর জেল খাটেন এবং সেখান থেকে মুক্তির পর ১৯১৫ তে বার্লিনে ভারতীয় বিপ্লবী কমিটি গড়ে তোলেন।
![ভারতের বামপন্থী আন্দোলনে মানবেন্দ্রনাথ রায়ের ভুমিকা](https://artsschool.in/wp-content/uploads/2020/10/ভারতের-বামপন্থী-আন্দোলনে-মানবেন্দ্রনাথ-রায়ের-ভুমিকা.png)
তিনি মস্কোয় অনুষ্ঠিত কমিউনিস্ট আন্তর্জাতিকের দ্বিতীয় সন্মেলনে যোগ দেওয়ার উদ্দেশ্যে রাশিয়ায় যান ও তাসখন্দে অবনি মুখার্জী, মহন্মদ আলি, মহন্মদ সাফিক প্রমুখের সহযোগিতায় ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি প্রতিষ্ঠা করেন এবং মস্কোতে শ্রমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁর অনুপ্রেরণায় ভ্যানগার্ড অব ইন্ডিয়ান ইনডিপেন্ডেন্স নামে একটি পত্রিকা প্রকাশিত হয় যেটি ডাকযোগে ভারতে পাঠানো হত। পরবর্তীকালে ব্রিটিশ সরকার এটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন।
মানবেন্দ্রনাথ রায়ের অনুপ্রেরণায় বিভিন্ন কমিউনিস্ট নেতা ভারতের সাধারণ মানুষের মধ্যে কমিউনিস্ট ভাবধারার প্রচারের কাজে নেমে পরেন এবং তিনি পশ্চিম ভারতের এস.এ ডাঙ্গে ও কলকাতার মুজাফফর আহমেদের সাথে যোগাযোগ গড়ে তোলেন। ১৯৩০ খ্রিষ্টাব্দে দেশে ফিরে অভিযুক্ত হয়ে ৬ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করেন এবং মুক্তির পর কংগ্রেসে যোগদান করে বামপন্থী ধারার প্রসার ঘটানোর জন্য ‘লিগ অব র্যাডিক্যাল কংগ্রেসমেন’ প্রতিষ্ঠা করেন।
কংগ্রেসের ভিতরে বামপন্থী ধারার প্রসারের সম্ভাবনা না থাকার কারনে মানবেন্দ্র নাথ কংগ্রেস থেকে বেরিয়ে এসে ১৯৪০ খ্রিষ্টাব্দে ‘র্যাডিক্যাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি’ গঠন করেন আর এভাবেই আমৃত্যু বামপন্থার পক্ষে লড়াই চালিয়ে গিয়েছিলেন মানবেন্দ্রনাথ রায়। তিনি ভারতীয় ইতিহাস ও আন্দোলন নিয়ে যুব সম্প্রদায়কে জাগ্রত করে তুলতে অনেকগুলি বই রচনা করেছিলেন, যার মধ্যে কিছু উল্লেখযোগ্য বই হল ইন্ডিয়া ইন ট্রানজিশন, ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অবক্ষয় ও পতন, বিজ্ঞান ও কুসংস্কার, নব মানবতাবাদ প্রভৃতি, যেগুলি বামপন্থার পক্ষে সবসময় লড়াই চালিয়ে যায়।
আরো পড়ুন মানবেন্দ্রনাথ রায় সম্পর্কে যা জানো লেখ
অবশেষে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সময় করে ভারতের বামপন্থী আন্দোলনে মানবেন্দ্রনাথ রায়ের ভুমিকা এর এই আর্টিকেলটি পুরোপুরি পড়ার জন্য, এভাবেই চিরদিন www.artsschool.in ব্লগের পাশে থেকে তোমাদের সাপোর্ট দেখিয়ো যাতে ভবিষ্যতে আমরা ভারতের বামপন্থী আন্দোলনে মানবেন্দ্র নাথ রায়ের ভুমিকা এর মতো আরো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তোমাদের সামনে তুলে ধরতে পারি এবং সেগুলো পড়ে তোমরা তোমাদের জ্ঞানের ভাণ্ডারকে সমৃদ্ধ করে তুলতে পারো।
বিঃদ্রঃ ভারতের বামপন্থী আন্দোলনে মানবেন্দ্রনাথ রায়ের ভুমিকা এর এই আর্টিকেলটি তৈরি করা হয়েছে কিছু অভিজ্ঞ শিক্ষক ও পাঠ্য বইয়ের সাহায্যে, যেক্ষেত্রে আমরা শিক্ষকদের কাছ থেকে অনুমতি নিয়েছি কিন্তু কোনো প্রকাশকের সাথে যোগাযোগ করাও সম্ভব হয়নি তাই ভারতের বামপন্থী আন্দোলনে মানবেন্দ্রনাথ রায়ের ভুমিকা এর এই আর্টিকেলটি নিয়ে তোমাদের কারো যদি কোন অসুবিধা থাকে তবে আমাদের জানান ইমেল এর মাধ্যমে, আমাদের ইমেল Address হল – [email protected] Thank You