রূপনারাণের কূলে বড় প্রশ্নোত্তর; আজকে আমরা আমাদের এই আর্টিকেলে তোমাদের জন্য বিশেষ করে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের জন্য তোমাদের WBCHSE নির্দেশিত বাংলা সিলেবাসের অন্তর্গত রূপনারাণের কূলে বড় প্রশ্নোত্তর গুলি যা তোমাদের আগামী পরিক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
রূপনারাণের কূলে বড় প্রশ্নোত্তর
দ্বাদশ শ্রেণি – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
১) আমৃত্যু দুঃখের তপস্যা এ জীবন– জীবনকে দুঃখের তপস্যা বলে মনে করেছেন কেন?
জগত এবং জীবন সম্পর্কে গভীরভাবে চিন্তাশীল কবি রবীন্দ্রনাথের রূপনারানের কূলে কবিতাটি তে ফুটে উঠেছে জগৎ ও জীবনের স্বরূপ উপলব্ধি করার মানসিকতা. নিজের জীবন পথে ঘটে যাওয়া নানা শোকাবহ ঘটনার মাধ্যমে উপলব্ধি করেছিলেন প্রকৃত সত্য। সত্য অত্যন্ত কঠিন ও নির্মম, কিন্তু এই সত্যের সংস্পর্শেই দূর হয় জাগতিক বিভ্রম। কোভিদ কাছে জীবন হলো আগাত, দ্বন্দ্ব, ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে সত্যকে উপলব্ধি করা।
সত্যের স্পর্শে যেমন জীবন উদ্ভাসিত হয়, তেমনি সত্যের কঠিন রোগ অনেক আঘাতও দেয়। কিন্তু তবুও সত্যই একমাত্র পারে জীবনের প্রকৃত চলার পথ নির্মাণ করতে। সত্য কখনও বঞ্চনা করেনা, প্রলোভনের ফাঁদ পেতে জীবনকে বিপর্যস্ত করে না। জীবনের প্রকৃত সত্য লাভ করতে গেলে দুঃখের সাগরে নিমজ্জিত হতে হয়। সকল প্রকার জন্য তাকে মুছে ফেলে সত্যানুসন্ধানের জন্য দুঃখের সাধনা করতে হবে। তাই মানব জীবনকে কবি আমৃত্যু দুঃখের তপস্যা বলেছেন।
২) সে কখনো করে না বঞ্চনা – কে কখনও বঞ্চনা করেনা? কবি কিভাবে এমন ভাবনায় উপনীত হয়েছেন?
আলোচ্য অংশটি রবীন্দ্রনাথের শেষ লেখা কাব্যগ্রন্থের 11 সংখ্যক কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে যেখানে রবীন্দ্রনাথের জীবন দর্শনের এক সার্থক প্রতিফলন ঘটেছে। তাই কোভিদ মতো কখনও বঞ্চনা করেনা।
সত্য নির্মম সত্য কঠিন সে কখনো স্বপ্নের বেড়াজালে জীবনকে আবদ্ধ করে রাখে না।
বেদনা যন্ত্রণা রক্তক্ষরণ এর মাধ্যমে খুঁজে পেয়েছেন জীবনের চরম সত্য। ব্যক্তিগত জীবনে ঘটে নানা ঘটনা কবিকে মানসিকভাবে আরো দৃঢ় ও কঠোর করে তুলেছে। সত্যকে অর্জন করার পথে বহু বাধার সম্মুখীন হতে হয়, মনবালনা হারিয়ে দুঃখের তিমির রাত্রি অতিক্রম করে সত্যকে লাভ করতে হয়। এই সত্য কখনও বঞ্চনা করেনা। জীবন সায়াহ্নে পৌঁছে কবি উপলব্ধি করেছেন এই চরম সত্য। জীবন আসলে দুঃখের তপস্যা। সত্য অনেক দুঃখ দাবি নিয়ে আসে। কিন্তু কাউকে বঞ্চনা করেনা। কল্পনা সপ্ন বিলাস এর দ্বারা জীবনে সত্যিটাকে এড়িয়ে যাওয়ার অর্থ জীবনের স্বাভাবিক গতি কে অস্বীকার করা। সত্য কঠিন জেনেও তার যথার্থ স্বরূপকে চিনেছেন বলেই কবি বলতে পারেন – সত্য যে কঠিন, কঠিনেরে ভালোবাসিলাম।
আরো পড়ুন বাংলা চিত্রকলার ইতিহাসে রামকিঙ্কর বেইজের অবদান আলোচনা করো।
বিঃদ্রঃ রূপনারায়ণের কূলে বড় প্রশ্নোত্তর দুটি তৈরি করার জন্য আমাদের কিছু পাঠ্য বইয়ের সাহায্যও নিতে হয়েছে, যদিও এর জন্য আমাদের তরফ থেকে কোনো প্রকাশকের সাথে যোগাযোগ করা হয়ে ওঠেনি তাই, রূপনারায়ণের কূলে বড় প্রশ্নোত্তর দুটি নিয়ে আপনাদের কারো যদি কোনোরকম সমস্যা হয়ে থাকে। তাহলে আমাদের ইমেল করুন [email protected] এই ঠিকানায়, আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করবো আপনাদের সমস্যা সমাধান করার। আর এভাবেই https://artsschool.in এর পাশে থেকে তোমাদের সাপোর্ট দেখিয়ো যাতে ভবিষ্যতে আমরা আরো এরকম তথ্য তোমাদের সামনে তুলে ধরতে পারি। ধন্যবাদ।