Menu

সহপাঠক্রমিক কার্যাবলির শিক্ষামূলক গুরুত্ব

সহপাঠক্রমিক কার্যাবলির শিক্ষামূলক গুরুত্ব; আজকের আমাদের এই আর্টিকেলে আমরা সহপাঠক্রমিক কার্যাবলির শিক্ষামূলক গুরুত্ব সন্মন্ধে আলোচনা করবো যা তোমাদের আগামী একাদশ শ্রেণির শিক্ষাবিজ্ঞান (Education) এর বার্ষিক পরীক্ষার জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।

সহপাঠক্রমিক কার্যাবলির শিক্ষামূলক গুরুত্ব বা উপযোগিতা আলোচনা করো।

 

উত্তরঃ সহপাঠক্রমিক কার্যাবলির শিক্ষামূলক গুরুত্ব বা উপযোগিতা নিয়ে আধুনিক শিক্ষাবিদদের মধ্যে তেমন কোনো মতবিরোধ নেই। তবে কিছু শিক্ষক শিক্ষিকা এবং অভিভাবক অভিভাবিকাদের মধ্যে এবিষয়ে এখনও যথেষ্ট অজ্ঞতা রয়েছে। সার্বিক শিক্ষার প্রয়োজনে সেই অজ্ঞতা দ্রুত দূর করা প্রয়োজন। প্রয়োজন মতো কিছু পরিবর্তন বা সংস্কার করে নিয়ে বিদ্যালয়ের পাঠক্রমের সাথে সহপাঠক্রমিক কার্যাবলীকে যুক্ত করলে, এগুলি আগামী দিনে আরও বেশি সফল হয়ে উঠবে। সহপাঠক্রমিক কার্যাবলির শিক্ষামূলক গুরুত্ব বা উপযোগিতাগুলি হল-

১) শিক্ষার্থীর চাহিদার পরিতৃপ্তি, ২) সামাজিক বিকাশ, ৩) আত্মবিশ্বাস গড়ে তোলা, ৪) একঘেয়েমি দূর করা, ৫) বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ ও ৬) শিক্ষক শিক্ষার্থীর সম্পর্ক স্থাপন।

নীচে সহপাঠক্রমিক কার্যাবলির শিক্ষামূলক গুরুত্ব বা উপযোগিতাগুলি বিষদে আলোচনা করা হল-

 

১) শিক্ষার্থীর চাহিদার পরিতৃপ্তিঃ

সহপাঠক্রমিক কার্যাবলি শিক্ষার্থীর চাহিদা পরিতৃপ্তিতে বিশেষ সাহায্য করে। শিশু জন্মের পর থেকেই পরিবেশের বিভিন্ন উপাদানের সাথে মিথোস্ক্রিয়াতে অংশ নেয়। ওই সময় তার মধ্যে বিভিন্ন চাহিদার সৃষ্টি হয়। শিক্ষার্থীর চাহিদা ও প্রবণতা অনুযায়ী সহপাথক্রমিক কার্যাবলি নির্দিষ্ট করা হয়। এই কাজগুলি সম্পন্ন করার মধ্যে দিয়ে তার চাহিদার পরিতৃপ্তি ঘটে।

২) সামাজিক বিকাশঃ

সহপাঠক্রমিক কার্যাবলি যথাযথ সংগঠনের ফলে শিক্ষার্থীরদের মধ্যে সহযোগিতা, সমবেদনা, ভাতৃত্ববোধ, পারস্পরিক বোঝাপড়া প্রভৃতি গুনের বিকাশ হয়। যা প্রতিটি সমাজের পক্ষে বিশেষ প্রয়োজনীয় বিষয়। গণতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থাকে টিকিয়ে রাখতে গেলে এই গুনগুলির বিকাশ অপরিহার্য।

৩) আত্মবিশ্বাস গড়ে তোলাঃ

শিক্ষার্থীদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস গড়ে তোলার ক্ষেত্রে সহপাঠক্রমিক কার্যাবলি বিশেষভাবে প্রয়োজন। শিক্ষার্থী যে বিষয়ে দক্ষ সে বিষয় গুলিকে সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়ে সে নিজেকে নতুনভাবে আবিষ্কার করার সুযোগ পায়। এইভাবে সে আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠে।

৪) একঘেয়েমি দূর করাঃ

সহপাঠক্রমিক কার্যাবলি শিক্ষার্থীরদের বিদ্যালয় জীবনের একঘেয়েমি থেকে মুক্তি দেয়। তত্ত্বগত এবং বাঁধাধরা পাঠক্রমের মধ্যে কিছু বৈচিত্র নিয়ে আসে এর ফলে একঘেয়েমি কেটে গিয়ে বিদ্যালয়ের প্রতি তাদের আকর্ষন বৃদ্ধি পায়। এইভাবে তারা পড়াশুনায় মনোযোগী হয়। বিদ্যালয় তাদের কাছে এক আনন্দময় পরিবেশ গড়ে তোলে।

৫) বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণঃ

বিদ্যালয়ের সহপাঠক্রমিক কার্যাবলির মাধ্যমে অনেকসময় বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়। শিক্ষার্থীরা সেইসমস্ত বৃত্তি প্রশিক্ষণ নিয়ে বারবার সেগুলি অনুশীলন করে তারা এই শিক্ষাগুলি এমনভাবে আয়ত্ব করে যা কোনো কোনো শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ জীবনের জীবিকা অর্জনে সহায়তা করে। এই দিক থেকে বিচার করলে সহপাঠক্রমিক কার্যাবলির গুরুত্ব অপরিসীম।

৬) শিক্ষক শিক্ষার্থীর সম্পর্ক স্থাপনঃ

বিদ্যালয়ের সহপাঠক্রমিক কার্যাবলীর অনুশীলন শিক্ষক শিক্ষার্থীর সম্পর্ককে অনেকবেশি প্রানবন্ত করে। সাধারণ পাঠক্রমিক কার্যাবলিতে তা কখনই সম্ভব নয়। শিক্ষক শিক্ষার্থীর সম্পর্ক যত মধুর হয় শিক্ষাদান এবং শিক্ষা গ্রহন – এই দুটি আরও তত ভালো হয়। সেই কারনে সহপাঠক্রমিক কার্যাবলির শিক্ষাগত গুরুত্ব বা উপযোগিতা কোনোভাবেই অস্বীকার করা যায় না।

 

আরো পড়ুন শিক্ষা প্রক্রিয়ায় শিক্ষকের ভূমিকা আলোচনা করো

 

অবশেষে আপানাকে / তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সময় করে সহপাঠক্রমিক কার্যাবলির শিক্ষামূলক গুরুত্বের এই পুরো আর্টিকেলটি সময় করে পড়ার জন্য, যা তোমাদের আগামী একাদশ শ্রেণির শিক্ষাবিজ্ঞান (Education) পরীক্ষার জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। এভাবেই চিরকাল www.artsschool.in এর পাশে থেকে তোমাদের সাপোর্ট দেখিয়ো যাতে এর মতো তোমাদের পাঠক্রমের সহযোগী আরো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় গুলি তোমাদের সামনে তুলে ধরতে পারি।

 

বিঃদ্রঃ সহপাঠক্রমিক কার্যাবলির শিক্ষামূলক গুরুত্ব এর এই আর্টিকেলটি তৈরি করা হয়েছে কিছু শিক্ষকের পরামর্শ মেনে তার সাথে সাথে আমাদের কিছু পাঠ্য বইয়েরও সাহায্য নিতে হয়েছে। তাই সহপাঠক্রমিক কার্যাবলির শিক্ষামূলক গুরুত্বের এই আর্টিকেলটি নিয়ে তোমাদের / আপনাদের কারো যদি কোনো সমস্যা থেকে থাকে তবে আমাদের ইমেল করুন [email protected] এই ঠিকানায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!