Menu

সিরাজদ্দৌলা নাটকের বড়ো প্রশ্নোত্তর – মাধ্যমিক বাংলা

সিরাজদ্দৌলা নাটকের বড়ো প্রশ্নোত্তর ; আজকের এই আর্টিকেলে আমরা WBBSE BOARD এর মাধ্যমিকের বাংলা সিরাজদ্দৌলা নাটকের বড়ো প্রশ্নোত্তর গুলি তুলে ধরা হয়েছে যা তোমাদের আগামী মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য বিশেষভাবে সহায়ক হয়ে উঠবে।

সিরাজদ্দৌলা নাটকের বড়ো প্রশ্নোত্তর – কমবেশি ১২৫ টি শব্দে উত্তর দাওঃ

 

১. ‘যদি জয়ী হয়,  তা হলে হয়তো আর যুদ্ধ হবে না – আর যদি পরাজিত হই,  তা হলে তো নয়ই।‘ – বক্তা কাকে এই কথাগুলি বলেছেন?একথা বলার কারন যুক্তিসহ লেখো।

 

উত্তরঃ বিখ্যাত নাট্যকার শচীন্দ্রনাথ সেনগুপ্তের ‘জিরাজদ্দৌলা’ নাটক থেকে উদ্ধৃত আলোচ্য অংশটির বক্তা স্বয়ং নবাব সিরাজদ্দৌলা, তিনি মহিষী লুৎফাকে এই কথাগুলি বলেছেন।

সিংহাসনে আরোহণের পর থেকে বিভিন্ন ষড়যন্ত্রের শিকার হতে হয় সিরাজদ্দৌলাক। তিনি যখন বোঝেন তার আত্মীয় – পরিজন বিশেষত নিজের মাসি, নিজের বিশিষ্ট ও বিশ্বস্ত কর্মচারীদের অনেকে এই ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তখন তীব্র হতাশা, ভয় ও গ্লানি তাঁকে গ্রাস করে। ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকার থাকার জন্য ইংরেজ প্রতিনিধি ওয়াটসকে দরবার থেকে চিরকালের মতো বিতাড়িত করেন। কিন্তু উপলব্ধি করেন যেখানে মীরজাফর, জগৎ শেঠ, রাজবল্লভের মতো বিশ্বস্ত কর্মচারীরা এর সঙ্গে যুক্ত। তার নিজের মাসি ঘসেটি বেগমও এই ষড়যন্ত্রের অন্যতম স্বরযন্ত্রী। গোপনে ইংরেজদের সঙ্গে পত্র বিনিময় হয় তার বিশ্বাসঘাতক কর্মচারীদের, তখন ইংরেজরা সহজে নবাবের বশ্যতা স্বীকার করবে না, বা নবাবের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ তথা যুদ্ধ ঘোষণা করতে চাইবে।

তাই যুদ্ধ যে অনিবার্য এবিষয়ে নিশ্চিত ছিলেন সিরাজ। তাঁর বিশ্বাস সমবেতভাবে যুদ্ধ করলে জয় নিশ্চিত, আর এই জয় নিশ্চিত হলে ইংরেজদের তাড়াতে নবাবের বিন্দুমাত্র অসুবিধা হবে না। কিন্তু যতই জাতি বা দেশপ্রেমের কথা বলুন না কেন বিশ্বাসঘাতকদের উপর নবাবের পুরোপুরি বিশ্বাস ছিল না। তাই পরাজয়ের বিষয়টিও তিনি ভেবে রেখেছিলেন এবং এও উপলব্ধি করেছিলেন তাঁর পরাজয়ের অর্থ যেমন নিজের মৃত্যু তেমনি বাংলার ভাগ্যাকাশে ইংরেজ রাজত্বের প্রতিস্থাও। তাই তিনি জয়ী হলে ইংরেজদের তাড়াবেন, ষড়যন্ত্রকারীদের দমন করবেন ফলে ভবিষ্যতে যুদ্ধ হওয়ার সম্ভবনা কম। তেমনি তাঁর পরাজয় হলে তাঁকে ইংরেজরা বাঁচিয়ে রাখবে না, ফলে ভবিষ্যতে আর কোনো দিন তাঁকে যুদ্ধ করতে হবে না। গভীর উপলব্ধি থেকেই নবাব সিরাজদ্দৌলা এই কথাগুলি বলেছিলেন।

 

আরো পড়ুন সিন্ধুতীরে কবিতার বড়ো প্রশ্নোত্তর মাধ্যমিক বাংলা

 

সিরাজদ্দৌলা নাটকের বড়ো প্রশ্নোত্তর – মাধ্যমিক বাংলা
সিরাজদ্দৌলা নাটকের বড়ো প্রশ্নোত্তর – মাধ্যমিক বাংলা

২. ‘কিন্তু ভদ্রতার অযোগ্য তোমরা’ – কে, কাকে কথাগুলি বলেছিল? একথা বলার কারন স্বরূপ বক্তার যুক্তি কী ছিল?

 

উত্তরঃ বিখ্যাত নাট্যকার শচীন্দ্রনাথ সেনগুপ্তের লেখা ‘সিরাজদ্দৌলা’ নাটকের কেন্দ্রীয় চরিত্র নবাব সিরাজদ্দৌলা তাঁর দরবারের ইংরেজ প্রতিনিধি ওয়াটসকে উদ্দেশ্য করে এই কথাগুলি বলেছিল।

বিশ্বস্ত সূত্রে নবাব জানতে পারেন যে তাঁর দরবারের ইংরেজ প্রতিনিধি ওয়াটস তাঁরই বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। সিরাজের বিরুদ্ধে কেবল যুদ্ধের প্রস্তুতি নয়, নবাবের কর্মচারীদেরও এই ষড়যন্ত্রে যুক্ত করে নবাবের বিরুদ্ধে প্ররোচিত করেছেন তিনি। নবাব ওয়াটসকে লেখা ওয়াটসনের পত্র মুন্সিজিকে দিয়ে পড়িয়ে শোনান সবাইকে। যেখানে ওয়াটসন লেখেন ওয়াটসের কথামতো আরো সৈন্য এবং জাহাজ তিনি বাংলায় পাঠানোর ব্যবস্থা করবেন। সেখানে আরও বক্তব্য ছিল – ‘বাংলায় আমি এমন আগুন জ্বালাবই যাহা গঙ্গার সমস্ত জল দিয়াও নিভানো যাইবে না’ – তাঁর ভাষায় – ‘I will kindle such a flame in your country as all the water in the Ganges hall not be able to extinguish.’

ওয়াটস এখানে ওয়াটসন কেন লিখেছেন তা বুঝতে পারছে না বলে চাতুরির চেষ্টা করলে নবাব ওয়াটসনকে লেখা ওয়াটসনকে লেখা ওয়াটসের পত্রের প্রতিলিপি বার করেন যেখানে নবাবকে উপেক্ষা করে নবাবের আদেশ লঙ্ঘন করে চন্দননগর আক্রমণ করার কথা উল্লেখ করা হয়েছে – ‘It is impossible to rely upon the Nabab and it will be wise to attack Chandernagore.’

ইংরেজদের এই অভদ্রতা ও অসভ্যতার বিষয়গুলি প্রমানসহ সকলের সামনে তুলে ধরেন নবাব। এবং কোনো রকম দ্বিধা না করে জানান, অনেক কিছু জেনেও ক্ষমার চোখে দেখে এতদিন ভদ্র ব্যবহার করে এসেছেন তিনি, কিন্তু সবকিছু যখন সিমা লঙ্ঘন করেছে, তখন সহ্য করতে না পেরে বাংলার দুর্দিনের জন্য প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে যে ইংরেজরা দায়ী তা বুঝতে পেরে নবাব সিরাজদ্দৌলা এই কথাগুলি বলেছিলেন।

 

আরো পড়ুন রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর – কোনি মাধ্যমিক বাংলা

Read More দ্বীপান্তরের বন্দিনী বড়ো প্রশ্নোত্তর, কবি কাজী নজরুল ইসলাম

Click here to Download the PDF version of – সিরাজদ্দৌলা নাটকের বড়ো প্রশ্নোত্তর

অবশেষে আপনাকে / তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সময় করে আমাদের এই সিরাজদ্দৌলা নাটকের বড়ো প্রশ্নোত্তর এর আর্টিকেলটি পুরোপুরি পড়ার জন্য। এভাবেই চিরদিন আর্টস স্কুল ডট ইন এর পাশে থেকে তোমাদের সাপোর্ট দেখিয়ো যাতে ভবিষ্যতে আমরা সিরাজদ্দৌলা নাটকের বড়ো প্রশ্নোত্তর এর মতো আরো গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর গুলি তোমাদের সামনে তুলে ধরতে পারি এবং সেগুলি পড়ে তোমরা তোমাদের জ্ঞানের ভাণ্ডারকে সমৃদ্ধ করে তুলতে পারো।

 

বিঃদ্রঃ সিরাজদ্দৌলা নাটকের বড়ো প্রশ্নোত্তর এর এই আর্টিকেলটি তৈরি করা হয়েছে কিছু অভিজ্ঞ শিক্ষক ও পাঠ্য বইয়ের সাহায্য নিয়ে। যদিও শিক্ষকদের কাছ থেকে অনুমতি নেওয়া হয়েছে কিন্তু কোনো প্রকাশকের সাথে যোগাযোগ করা হয়ে ওঠেনি, তাই সিরাজদ্দৌলা নাটকের বড়ো প্রশ্নোত্তর নিয়ে আপনাদের / তোমাদের কারো কোনো সমস্যা থেকে থাকে তবে আমাদের ইমেল করুন – [email protected] এই ঠিকানায়।

Comments 2

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!