ওটা পাশবিক স্বার্থপরতা; পশ্চিমবঙ্গ উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদের উচ্চমাধ্যমিক অর্থাৎ দ্বাদশ শ্রেণীর বাংলা সিলেবাসের একটি অন্যতম গল্প হল মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘কে বাঁচায় কে বাঁচে’ গল্প, আজকের আমাদের এই আর্টিকেলে তাই আমরা নিয়ে এসেছি এই গল্পের একটি অন্যতম প্রস্ন এবং তার উত্তর, যা তোমাদের আগামী উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।
প্রশ্নঃ ওটা পাশবিক স্বার্থপরতা – কে, কোন বিষয়কে পাশবিক স্বার্থপরতা বলে উল্লেখ করেছে? তার এরকম বলার কারণ কী?
উত্তরঃ মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কে বাঁচায় কে বাঁচে গল্প থেকে গৃহীত আলোচ্য অংশটির বক্তা হলেন মৃত্যুঞ্জয়।
মৃত্যুঞ্জয় শহরের ফুটপাতে যখন অনাহারে মৃত্যু দেখে তখনই সে প্রায় অস্থির হয়ে ওঠে। ওই মানুষ গুলিকে সাহায্য করার দৃঢ় সংকল্পে সে তার সংসার তার জীবনকে উপেক্ষা করতে শুরু করলে নিখিল তাকে সচেতন করার চেষ্টা করতে থাকে।
নিখিল যখন সমাজ ধর্মের নিরিখে মৃত্যুঞ্জয়কে বোঝাতে যায় – দশ জনকে খুন করার চেয়ে নিজেকে না খাইয়ে মারা বড়ো পাপ – নিখিলের এই কথাকেই মৃত্যুঞ্জয় পাশবিক স্বার্থপরতা বলে উল্লেখ করেছে।
নিখিলের মতোই মৃত্যুঞ্জয় ও যথেষ্ট যুক্তিবাদী। তার যুক্তি থাকলেও তার আবেগ দরদ এতটাই বেশি যে তার পরিবারের প্রতি তার তার অবহেলা দিন দিন বাড়তে থাকে। তার স্ত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ে। কিন্তু সে মনে করে সে সামাজিক কল্যাণ করছে।
আর তার জন্য সে সব কিছু ত্যাগ করতে পারে। মৃত্যুঞ্জয়ের মতে যাদের জন্য সে করছে তারা সবাই দেশের মানুষ। দেশের কল্যাণে সে ব্যক্তি স্বার্থকে সহজেই উপেক্ষা করতে পারে। তাই নিখিলের কথার প্রতিবাদের মাধ্যমে সে তার যুক্তিকেই প্রতিষ্ঠিত করতে চায়।
বিঃদ্রঃ আমাদের আজকের আর্টিকেলের ওটা পাশবিক স্বার্থপরতা – কে, কোন বিষয়কে পাশবিক স্বার্থপরতা বলে উল্লেখ করেছে? তার এরকম বলার কারণ কী?, প্রশ্নের উত্তরটি তৈরি করতে আমাদেরকে কিছু বইয়েরও সাহায্য নিতে হয়েছে তাই, আমাদের এই মৃত্যুঞ্জয়ের বাড়ির অবস্থা শোচনীয় – মৃত্যুঞ্জয়ের বাড়ির শোচনীয় অবস্থার বিবরণ দাও এবং এই বিষয়ে লেখকের ভাবনা প্রকাশ করো প্রশ্নের উত্তরটি নিয়ে আপনাদের কারো যদি কোনোরকম সমস্যা থেকে থাকে তাহলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন, আপনার অভিযোগ বা জিজ্ঞাসা জানার জন্য আমাদের ইমেল করুন; আমাদের ইমেল এর ঠিকানা – [email protected] Thank You.