ভাষাবিজ্ঞানের বৈশিষ্ট, অবিধান কত রকমের হতে পারে তা সংক্ষেপে আলোচনা করো; আজকের আমাদের এই আর্টিকেলের আলোচনার বিষয় দ্বাদশ শ্রেণীর ভাষা বিজ্ঞানের অন্তর্গত একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে দুটি প্রস্ন এবং তাদের ব্যাখ্যা মূলক উত্তর যা তোমাদের আগামী বার্ষিক পরীক্ষার জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
প্রশ্নঃ ভাষাবিজ্ঞান বলতে কী বোঝানো হয়েছে? ভাষাবিজ্ঞানের বৈশিষ্ট গুলি উল্লেখ করো?
উত্তরঃ ভাষার বিজ্ঞান হল ভাষা বিজ্ঞান। যেখানে ভাষার উৎপত্তি বিষয়ক নানা তথ্য সূত্রের সাহায্যে প্রকাশ করা হয়। ভাষা বিজ্ঞান হল ভাষার বিজ্ঞান সন্মত চর্চা। কোনো নির্দিষ্ট ভাষা এর আলোচ্য বিষয় নয়, সাধারণ ভাবে মানুষের মুখের ভাষাই ভাষা বিজ্ঞানের আলোচ্য বিষয়।
ভাষাবিজ্ঞানের বৈশিষ্ট গুলি হল –
১) মানুষের কথ্য ভাষাই হল ভাষা বিজ্ঞানের আলোচ্য বিষয়।
২) বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে ভাষা সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ ও নথি ভুক্তকরন করা হয়।
৩) ভাষা বিজ্ঞানী এই সকল সংগৃহীত তথ্যের ওপর নির্ভর করে ভাষা তাত্ত্বিক সূত্রের সন্ধান পান।
৪) ভাষা বিজ্ঞানের গতি হল বিশেষ থেকে সাধারণের দিকে বিশেষ দৃষ্টান্ত পর্যবেক্ষণ করে তার থেকে সাধারণ সূত্র আবিষ্কার করা হয়।
Read More ঐতিহাসিক ভাষাবিজ্ঞানের বৈশিষ্টগুলি সূত্রাকারে লেখো।
প্রশ্নঃ অবিধান কত রকমের হতে পারে তা সংক্ষেপে আলোচনা করো।
উত্তরঃ যাস্কের নিরুক্ত থেকেই অভিধান রচনার সূত্রপাত হয় ভারতে। ত্রয়োদশ শতাব্দীতে জন গারল্যান্ড প্রথম অভিধান বোঝাতে Dictionarius শব্দটি ব্যবহার করেন।
অভিধান অনেক রকমের হতে পারে। ভাষার নিরিখে অভিধান মূলত দুই রকমের। যথা – একভাষিক অভিধান এবং দ্বিভাষিক অভিধান।
একভাষিক অভিধানঃ
একভাষিক অভিধানে এক ভাষার শব্দকে সেই ভাষাতেই ব্যাখ্যা করা হয়। যেমন বাংলা থেকে বাংলা অভিধান, ইংরেজি থেকে ইংরেজি অভিধান প্রভৃতি।
দ্বিভাষিক অভিধানঃ
দ্বিভাষিক অভিধানে এক ভাষার শব্দ অন্য ভাষায় ব্যাখ্যা করা হয়ে থাকে, যেমন ইংরেজি থেকে বাংলা অভিধান অথবা বাংলা থেকে ইংরেজি অভিধান।
এই একভাষিক ও দ্বিভাষিক অভিধান ছাড়াও আরো দুটি ভাগে অভিধানকে ভাগ করা যেতে পারে যেমন ইতিহাস ভিত্তিক অভিধান এবং বিষয় ভিত্তিক অভিধান।
ইতিহাস ভিত্তিক অভিধানঃ
যখন কোনো অভিধানে একটি শব্দ প্রচলনের সময় কী অর্থে ব্যবহৃত হত, পরবর্তী কালে কী কীভাবে অর্থের বদল ঘটে, শব্দটির সাম্প্রতিক রূপ কেমন হয়, এইসব নিয়ে আলোচনা করা হয় তাকে ইতিহাস ভিত্তিক অভিধান বলা হয়।
বিষয় অভিধানঃ
আর একটি, বিষয় হল অভিধান যেখানে কোনো বিষয়ের নানা কিছু অভিধানের মতো করে সাজানো ও ব্যাখ্যা করা থাকে। যেমন – চরিতাবিধান, অর্থনীতির অভিধান প্রভৃতি।
Read More তুলনামূলক ভাষাবিজ্ঞানের সংজ্ঞা ও বৈশিষ্ট্য নির্দেশ করো?
বিঃ দ্রঃ এই আর্টিকেলের ভাষাবিজ্ঞানের বৈশিষ্ট, অবিধান কত রকমের হতে পারে তা সংক্ষেপে আলোচনা করো প্রশ্নোত্তর গুলি কিছু অভিজ্ঞ শিক্ষক ও কিছু বইয়ের সাহায্যে এবং নিজের চেষ্টায় তৈরি। ভাষাবিজ্ঞানের বৈশিষ্ট, অবিধান কত রকমের হতে পারে তা সংক্ষেপে আলোচনা করো তৈরির পর শিক্ষকদের অনুমতি নেওয়া হলেও প্রকাশকদের কাছ থেকে কোনো অনুমতি নেওয়া হয়ে ওঠেনি। এবিষয়ে আপনাদের কারো যদি কোনো অসুবিধা থাকে তবে যোগাযোগ করুন আমাদের সাথে এবং জানান আপনার কথা। আমাদের ইমেল [email protected]