Menu

কেবাঁচায় কেবাঁচে ছোট প্রশ্নোত্তর – দ্বাদশ শ্রেণি বাংলা

কেবাঁচায় কেবাঁচে ছোট প্রশ্নোত্তর; আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটিতে আমরা নিয়ে এসেছি দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা সিলেবাসের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ গল্প কে বাঁচায় কে বাঁচে থেকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ছোটো প্রশ্নোত্তর, চলে তাহলে দেখে নেওয়া যাক কেবাঁচায় কেবাঁচে ছোট প্রশ্নোত্তর গুলি –

 

কে বাঁচায় কে বাঁচে

মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়

কেবাঁচায় কেবাঁচে ছোট প্রশ্নোত্তর:

 

১. ফুটপাতে হাঁটা মৃত্যুঞ্জয়ের বেশি প্রয়োজন হয় না কেন?

উত্তর:  বাড়ি থেকে বেরিয়ে দু পা হেটে মৃত্যুঞ্জয় ট্রামে উঠে,  আর প্রায় অফিসের ওই দরজায় নামে,  তাই ফুটপাতে হাটা বেশি প্রয়োজন হয়না মৃত্যুঞ্জয়ের.

 ২. নিখিল কেমন প্রকৃতির লোক?

উত্তর:  নিখিল রোগা তীক্ষ্ণ বুদ্ধি এবং একটু আলসে প্রকৃতির লোক.

৩.  নিখিলের মৃত্যুঞ্জয় কে ভালো লাগার কারণ কি ছিল?

উত্তর:  মৃত্যুঞ্জয়ের শান্ত নিরীহ মানবদরদী সরল এবং প্রাচীন ঐতিহ্য আদর্শবাদের মূর্ত প্রতীক বলে নিখিলের মৃত্যুঞ্জয় কে ভাল লেগেছিল.

৪.  মৃত্যুঞ্জয় নিজেকে ধিক্কার দিয়েছিল কেন?

উত্তর:  অনাহারী মানুষের মৃত্যু দেখে মৃত্যুঞ্জয় মানসিকভাবে অস্থির হয়ে ওঠে সেভাবে লোকের অভাব ওয়ার্ক যেখানে হয় না সেখানে সময় কাটানোর কাজ পাওয়া যায় না.  এই ভাবনা থেকে সে নিজেকে ধিক্কার দেয়.

 ৫. আমায় একটা কিছু করতে হবে ভাই –  কে কাকে এই কথাটি বলেছিল?

উত্তর:  মৃত্যুঞ্জয় নিখিলকে লক্ষ করে  এই উক্তিটি করেছিল.

 ৬. আমি পারবো না –  কে কি পারবেনা বলে বলেছিল?

উত্তর:  নিখিল মৃত্যুঞ্জয়ের পুরো টাকাটা কোন রিলিফ ফান্ডে দিয়ে আসতে পারবেনা.

৭.  মৃত্যুঞ্জয়ের অবস্থা কেমন হয়েছিল?

উত্তর: অনাহারে মৃত্যু দেখে মৃত্যুঞ্জয়ের রাতে ঘুম হয় না,  খেতে বসলে সে খেতে পারেনা,  এক বেলার খাবার সে ছেড়ে দেয়.

৮.  মন্তব্য শুনে মৃত্যুঞ্জয় ঝাঝিয়ে উঠলো –  কার কোন মন্তব্যে মৃত্যুঞ্জয় ঝাঁজিয়ে ওঠে?

উত্তর:  টুনুর মায়ের শারীরিক অবস্থা দেখে নিখিল মন্তব্য করেছিলো যে এক বেলা খাওয়ার পেলে টুনুর মা পনেরো-কুড়ি দিনের বেশি বাঁচতে পারবে না –  নিখিলের এই কথা শুনেই মৃত্যুঞ্জয় ঝাঁজিয়ে ওঠে.

 ৯. মৃত্যুঞ্জয়  মগ হাতে করে কি বলেছিল?

উত্তর:  ফুটপাতে বসবাসকারী মানুষদের সাথে মিশে মৃত্যুঞ্জয় মগ হাতে করে বলতে থাকে –  গা থেকে এইচি খেতে পাইনি বাবা আমায় খেতে দাও.

১০.  মনে আঘাত পেলে মৃত্যুঞ্জয়ের প্রতিক্রিয়া কেমন হয়?

উত্তর:  মনে আঘাত পেলে মৃত্যুঞ্জয়ের শরীরে তার প্রতিক্রিয়া হয়,  মানসিক বেদনাবোধের সঙ্গে চলতে থাকে শারীরিক কষ্ট বোধ.

 

আরো পরুন ওটা পাশবিক স্বার্থপরতা – কে, কোন বিষয়কে পাশবিক স্বার্থপরতা বলে উল্লেখ করেছে? তার এরকম বলার কারণ কী?

 

১১.  মৃত্যুঞ্জয় অফিসে  কি খেয়ে এসেছিল?

উত্তর:  মৃত্যুঞ্জয় অফিসে ভাজা,  ডাল,  তরকারি,  মাছ,  দই  আর ভাত খেয়ে এসেছিল.

 ১২. নিখিলের মতে বড় পাপ কি?

উত্তর:  নিখিলের মতে বড় পাপ হলো 10 জনকে খুন করা থেকে নিজেকে না খাইয়ে মারা.

 ১৩. কারো বুকে নালিশ নেই,  কারো মনে প্রতিবাদ নেই –  আলোচ্য অংশে কারো বলতে কাদের কথা বলা হয়েছে?

উত্তর: আলোচ্য অংশে কারো বলতে ফুটপাতে বসবাসকারী অনাহারে অর্ধমৃত মানুষদের কথা বলা হয়েছে.

১৪.  ওটা পাশবিক স্বার্থপরতা –  মৃত্যুঞ্জয়ের মতে কোন কাজটি পাশবিক স্বার্থপরতা?

উত্তর:  নিখিল যখন আগে নিজেকে বাঁচানোর স্বপক্ষে যুক্তি দেয় তখন মৃত্যুঞ্জয় তারেই আত্মসর্বস্ব তাকে পাশবিক স্বার্থপরতা বলে.

১৫.  নিখিলের মনটাও খারাপ হয়ে যায় –  এর কারণ কি ছিল?

উত্তর:  অনাহার গ্রস্থ মানুষদের দুঃখ-কষ্ট দেখে মৃত্যুঞ্জয় যখন প্রায় পাগল হয়ে ওঠে তার চোখ ছল ছল করে ওঠে তখন নিখিল আবেগপ্রবণ হয়ে ওঠে এবং তার মন খারাপ হয়ে যায়.

১৬.  মৃত্যুঞ্জয় অফিসে যায় না –  মৃত্যুঞ্জয় অফিসে না গিয়ে কোথায় যায়?

উত্তর: মৃত্যুঞ্জয় অফিসে না গিয়ে দুর্ভিক্ষ পীড়িত মানুষদের সাথে ঘুরে বেড়ায়.

১৭.  মৃত্যুঞ্জয়ের হতাশার কারণ কি ছিল?

উত্তর:  মৃত্যুঞ্জয় অনাহারে মানুষদের মুখে অন্ন তুলে দেওয়ার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করেছিল,  কিন্তু তবুও সে বুঝেছিল দুর্ভিক্ষ পীড়িত মানুষগুলির ভালো করা যাবে না তাই সে হতাশ হয়েছিল.

 ১৮. এ আগুন নিভে না ক্ষুধার –  কি করলে ক্ষুধার আগুন নিভে না?

উত্তর:  দেশের সমস্ত দরদ একত্রিত করে ঢাললেও ক্ষুধার্ত মানুষের ক্ষুধা আগুন নেভেনা.

 ১৯. কারো বুকে নালিশ নেই, প্রতিবাদ নেই –  কেন বক্তার একথা মনে হয়েছে?

উত্তর:  দুর্ভিক্ষ পীড়িত মানুষের দল ভাগ্যের হাতে নিজেদের সঁপে দিয়ে মুখ বুজে সব কিছু মেনে নেয় বলেই তাদের কারো বুকে নালিশ নেই, নেই কোন প্রতিবাদ.

 ২০. নিখিল অবসর জীবনটা কিভাবে কাটাতে চায়?

উত্তর:  নিখিল বই পড়ে আর একটা চিন্তা জগত গড়ে তুলে তার অবসর জীবনটা কাটাতে চায়

 

আরো পরুন বাংলা চিত্রকলার ইতিহাসে রামকিঙ্কর বেইজ এর  অবদান আলোচনা করো।

 

N: B: কেবাঁচায় কেবাঁচে ছোট প্রশ্নোত্তর; গুলি তৈরি করতে আমাদের কিছু বইয়ের সাহায্য নিতে হয়েছে, যদিও এর জন্য আমরা কোনো প্রকাশকের সাথে যোগাযোগ করে উঠতে পারিনি, তাই আমাদের কেবাঁচায় কেবাঁচে ছোট প্রশ্নোত্তর এর এই আর্টিকেলটি নিয়ে আপনাদের কারো কোনো অভিজোগ থাকলে আমাদের ইমেল করুন [email protected] এই ঠিকানায়, আমরা যথাসাধ্য ব্যবস্থা নেবো এই ব্যাপারে। ধন্যবাদ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!